বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পর্যটন বিসংবাদ

অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করুন

পর্যটনবর্ষেও দেশে পর্যটনের দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। পর্যটন খাতকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সালকে পর্যটনবর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ বছরে দেশে ১০ লাখ পর্যটন আনার লক্ষ্যমাত্রাও ধার্য করা হয়। কিন্তু সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে কিনা সে সংশয় বিরাজ করছে পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। বাংলাদেশে পর্যটনের জন্য অন্তরায় বলে বিবেচিত অবকাঠামোগত সমস্যা। নীতিনির্ধারকদের আন্তরিকতা, দক্ষতা এবং পেশাদারিত্বের অভাবও এ খাতকে পিছিয়ে রাখছে। পর্যটন সংস্কৃতির অভাবও পর্যটকদের বাংলাদেশে আসতে নিরুৎসাহিত করে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলা। দুনিয়ায় জঙ্গি হামলায় আক্রান্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ প্রায় সব দেশ। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বরং অনেক দেশের চেয়ে বেশি। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে পশ্চিমের কোনো কোনো দেশ তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ক্ষেত্রে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করায় পর্যটন খাতের জন্য তা আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অবস্থা এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছে যে, পর্যটনবর্ষ দূরের কথা বিশ্ব পর্যটন দিবসেও কক্সবাজারে হোটেলের সিংহভাগ কক্ষ খালি থাকছে। পর্যটনবর্ষ ঘোষণার ক্ষেত্রেও প্রস্তুতির অভাব ছিল প্রকট। দুনিয়ার অন্য সব দেশে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা হলে দুই-তিন বছর আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। বাংলাদেশে ২০১৬ সালকে পর্যটনবর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয় গত বছর মার্চে। ফলে পর্যটন ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। প্রস্তুতি না থাকায় পর্যটনবর্ষে পর্যটকদের আগমন ৫ ভাগও বাড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছে। দেশে যেসব পর্যটক আসছেন তাদের মধ্যে বিজনেস ভিজিটরের সংখ্যা কত আর নিখাঁদ পর্যটকদের সংখ্যা কত তা নিয়েও রয়েছে নানা সংশয়। পর্যটনবর্ষের সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে গুলশান হামলার ঘটনা। জাপানি পর্যটকদের আগমন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে এ ঘটনার পর থেকে। ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের সতর্কতাও এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব রেখেছে। পর্যটনের স্বার্থেই বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও নিরাপত্তামূলক পরিবেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে ব্যাপক প্রচার দরকার।  পাশাপাশি অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার দ্রুত সম্প্রসারণের উদ্যোগও নিতে হবে। পর্যটনবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতেও নিতে হবে বহুমুখী ব্যবস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর