শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সার্কে শনির আছর

শীর্ষ সম্মেলন পণ্ড দুর্ভাগ্যজনক

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপড়েনে শনির আছর পড়েছে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে। ৯ ও ১০ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনে সার্কভুক্ত আটটি দেশের চারটি দেশ অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে জানিয়ে দেওয়া হয় তারা ইসলামাবাদের সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না। সার্কের বর্তমান সভাপতি নেপালকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মেলনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নিজেদের নেতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। সার্কের আরও দুই সদস্য আফগানিস্তান ও ভুটান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে অনীহা দেখায়। সার্ক সনদ অনুযায়ী আট জাতির শীর্ষ সম্মেলনে কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়। ভারতসহ চারটি দেশ শীর্ষ সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ইসলামাবাদে সার্কের ১৯তম আসর বসছে না তা নিশ্চিত হয়ে যায়। সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সুবাদে সদস্যভুক্ত দেশগুলো নিজেদের সম্পর্ক ঝালাই করার সুযোগ পায়। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে নানা দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও সার্ক গঠনের পর থেকে এ অঞ্চলে বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠেনি। আশা করা হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো কালক্রমে সার্কও আঞ্চলিক সহযোগিতার সংগঠন হিসেবে ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের এক পঞ্চমাংশ মানুষের বসবাস দক্ষিণ এশিয়ায়। এ দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হলে তা এ অঞ্চলের উন্নয়নে অবদান রাখবে। স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের যে টানাপড়েন চলছে তার অবসান ঘটানো সম্ভব হবে। সে প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ না হলেও সার্কের সাফল্যও একেবারে কম নয়। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৪৭ সালের পর বড় ধরনের দুটি যুদ্ধ বাধলেও সার্ক গঠনের পর থেকে সে ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো গেছে। দুই দেশের নেতারা সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সুবাদে নিজেদের অস্বস্তিকর সম্পর্ককে ইতিবাচক দিকে নেওয়ার জন্য বারবার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। সার্কের ইসলামাবাদ শীর্ষ সম্মেলনে সে ধরনের সুযোগ হাতছানি দিলেও কাশ্মীরের উরির ভারতীয় সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি নামের বিভেদকামী শক্তির হামলায় যেভাবে পণ্ড হয়ে গেল তা দুর্ভাগ্যজনক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর