শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সূচক

সক্ষমতা অর্জনে আরও এগোতে হবে

বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) এ সংক্রান্ত যে বিশ্বজনীন সূচক তৈরি করেছে তাতে ১৩৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ১০৬তম। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ১০৭ থেকে ১০৬তম অর্থাৎ একধাপ এগোলেও বাংলাদেশের স্কোর আগের বছরের মতোই ৩ দশমিক ৮ রয়ে গেছে। সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থা উন্নতির ইঙ্গিত দেওয়া হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র পাকিস্তান এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। ভারতের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো এবং নেপাল ও ভুটানও এগিয়েছে প্রশংসনীয়ভাবে। প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থা, অবকাঠামো, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, পণ্যবাজারে ও শ্রমবাজারে দক্ষতা, আর্থিক খাতের উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি, বাজারের আকার, বাজারের সংবেদনশীলতাগুলো সূচক বিবেচনা করে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ব্যবসায়িক পরিবেশ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মতামতের বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। এবারও অবকাঠামো দুর্বলতাকে তারা সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে উল্লেখ করেছেন। দ্বিতীয় বড় বাধা হিসেবে দেখা হয়েছে দুর্নীতিকে। এর পরেই রয়েছে অর্থায়নের সমস্যা, আমলাতান্ত্রিক দুর্বলতা, কর হার, দক্ষ জনবলের অভাব, নীতি সহায়তার দুর্বলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইত্যাদি। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতার সূচকে কোন দেশে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের কতটা ইতিবাচক পরিবেশ রয়েছে তার ইঙ্গিত মেলে। চলতি বছরও গতবারের মতো সূচকে শীর্ষস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড, তাদের স্কোর ৫ দশমিক ৮। এরপরই রয়েছে সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, জাপান, হংকং ও ফিনল্যান্ড। চীন রয়েছে ২৮তম অবস্থানে। ভারত গত বছরের ৫৫ থেকে এক বছরেই ১৬ ধাপ এগিয়ে ৩৯ অবস্থানে উঠে এসেছে। নেপাল ১০০ থেকে ৯৮তম অবস্থানে, ভুটান ১০৫ থেকে ৯৭তম অবস্থানে এবং পাকিস্তান ১২৬ থেকে ১২২তম অবস্থানে উঠে এসেছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা ৬৮ থেকে ৭১তম অবস্থানে নেমে গেছে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে একধাপ এগোলেও তাতে যে আত্মসন্তুষ্টির সুযোগ নেই তা স্পষ্ট।  কারণ বিশ্বের ১৩৮টি দেশের মধ্যে ১০৬তম অবস্থানে আত্মপ্রসাদের কোনো সুযোগ নেই। প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলে বাংলাদেশ কেন সে সক্ষমতা দেখাতে পারবে না সে ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। যেসব কারণে সক্ষমতার ঘাটতি পড়ছে, তা নিরাময়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর