রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি

অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করুন

জাতীয় পরিচয়পত্রেও ধরা পড়েছে ভয়ঙ্কর জালিয়াতি। ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ অভিন্ন ব্যক্তির হলেও বাকি সব তথ্য অন্যের বা পুরোপুরি ভুয়া। এভাবে পরিচয়পত্র তৈরি করে নারী পাচার ও জালিয়াত চক্রের এক সদস্য ২০১০ সালে পাসপোর্ট পেয়েছেন। ২০১৪ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টেরও অধিকারী হয়েছেন। র‌্যাবের এক অভিযানে এ জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের চোখ রীতিমতো কপালে উঠেছে। নির্বাচন কমিশন যারা জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সঙ্গে জড়িত তারাও জালিয়াতদের কেরামতিতে স্তম্ভিত। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানব পাচারের মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত থাকায় জাহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে র‌্যাব। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমের আদালত প্রতারক জাহিদুর রহমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। বর্তমানে জাহিদুর রহমান কারাগারেও আছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি কোনো ছোটখাটো অপরাধ নয়। জাহিদ মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছিলেন অপরাধ সংঘটিত করার পরও যাতে তার টিকিটিও ছোঁয়া না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য। পাসপোর্ট করার পর চীন নেপাল মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ তিনি সফর করেছেন। আবাসন আইন ভঙ্গ করে কিছু নারীকে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর ১০ ফকিরাপুলের মডেল এভিয়েশন সার্ভিসে অভিযান চালায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। গ্রেফতার করা হয় জাহিদুরসহ তিনজনকে। নিজের নামে লাইসেন্স না থাকলেও জাহিদুর মডেল এভিয়েশন সার্ভিসের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দালালদের মাধ্যমে সহজ-সরল নারীদের লিবিয়া, মালয়েশিয়া, দুবাই, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। জাহিদের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ধরা পড়ে জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবা-মায়ের যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে তা তাদের নাম নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র নাগরিকদের পরিচয়ের নির্ভরযোগ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত।  এক্ষেত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া গুরুতর অপরাধের শামিল। যে কারণে নারী পাচারকারী চক্রের হোতা জাহিদুর রহমানের জালিয়াতির বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত।  জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তাও তদন্ত করে দেখা উচিত।

সর্বশেষ খবর