শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পূজা ও আশুরার নিরাপত্তা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুনাম অক্ষুণ্ন থাকুক

দেশে একই সময় দুর্গাপূজা ও আশুরা এবং ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার তাগিদ সৃষ্টি করেছে। দুর্গাপূজা দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব। যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের ঐতিহ্য রয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজামণ্ডপগুলোয় অন্যান্য ধর্মের মানুষও ভিড় করেন দর্শনার্থী হিসেবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হিসেবেও যা বিবেচিত হয়। আশুরা মুসলমানদের কাছে একটি স্পর্শকাতর দিন। ধর্মীয় বিশ্বাস মতে, এ দিনে ঘটেছে অনেক তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা। কারবালার প্রান্তরে এ পবিত্র দিনেই বিভেদকামী অশুভ শক্তির প্রতিভূ ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন মহানবী (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)। এই শোকাবহ দিনটি স্মরণ করে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা তাজিয়া মিছিল বের করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো বিভেদকামী শক্তির প্রতিভূ জঙ্গিদের হামলার লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলো। এ প্রেক্ষাপটে আশুরা উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার তাগিদ সৃষ্টি হয়েছে। গুলশানের জঙ্গি হামলার পর ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আস্থা রেখে ইংল্যান্ড দল ঢাকা সফরে এসেছে। তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া শুধু সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নয়, পুরো জাতির জাতীয় কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়গুলো মনে রেখে সরকারের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা, আশুরা ও ইংল্যান্ড দলের সফর নির্বিঘ্ন করতে রেড অ্যালার্ট অবলম্বন প্রশংসার দাবিদার। আমরা আশা করব দেশের সুনামের স্বার্থে শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার সব পদক্ষেপই নেওয়া হবে। শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টের যে কোনো ঘটনাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে বিভেদকামী শক্তির প্রতিভূরা যাতে থাবা বিস্তার না করতে পারে সে ব্যাপারেও থাকতে হবে সতর্ক। বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই সফরকারী সব দলের নিরাপত্তার ব্যাপারে আপসহীন হতে হবে। প্রমাণ করতে হবে বাংলাদেশ সভ্য বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত  একটি দেশ। যে দেশে জঙ্গি নামের জংলি মানসিকতার কোনো ঠাঁই নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর