শিরোনাম
শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
ইতিহাস

মুসলিম লীগের উত্থান

জিন্নাহ মুসলিম লীগে যোগদানের আগে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে এ দলের কোনো প্রভাবই ছিল না। অভিজাত মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করত এ দলটি। জিন্নাহ মুসলিম লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করার পরও তার টার্গেট ছিল মুসলিম স্বার্থ রক্ষা করা। ভারত বিভক্তির কথা তিনি ভাবেননি। মুসলিম লীগের তথাকথিত পাকিস্তান প্রস্তাবও ছিল একটি ইউটোপিয়া প্রস্তাব। দর কষাকষির জন্য এ প্রস্তাব তোলা হয়। জিন্নাহ পাকিস্তানের পক্ষে ভারতীয় মুসলমানদের সমর্থন নিশ্চিত করতে ব্যাপক সাংগঠনিক তত্পরতা শুরু করেন। এ তত্পরতাকে নস্যাৎ করতে কংগ্রেস নেতারা মুসলমান ধর্মীয় নেতাদের মাঠে নামিয়ে দেন। ‘জামিয়াতে ওলামায়ে হিন্দ’ নেতারা পাকিস্তান প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মাঠে নামলে বাধ্য হয়ে জিন্নাহও মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের অন্য অংশকে মাঠে নামান। লক্ষ্যণীয়, কংগ্রেসের মদদে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধাচরণে দেওবন্দপন্থি আলেমদের যে সংগঠন জামিয়তে ওলামায়ে হিন্দকে মাঠে নামানো হয়, তারা ছিলেন অপেক্ষাকৃত গোড়া। সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে তাদের প্রভাব ছিল কম। পক্ষান্তরে মুসলিম লীগ নেতারা প্রভাবশালী পীর বা সুফিবাদী ধর্মবেত্তাদের নিজেদের পক্ষে আনেন। যাদের প্রভাব মুসলিম লীগের পায়ের তলায় মাটি এনে দেয়। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে পাঞ্জাবে মুসলিম লীগ ৮৬টি মুসলিম আসনের মধ্যে ৭৯টিতে জয়ী হয়। অথচ ১৯৩০ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। অবিভক্ত বাংলায় মুসলিম লীগ বিরোধীরাই বাঙালি মুসলমানদের সমর্থন পেয়েছেন আগাগোড়া। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির পেছনেও ছিল সাধারণ মুসলমানদের সমর্থন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর