রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

কর্ণফুলী টানেল

বন্দরনগরী বিস্তৃত হবে পূর্ব পাড়েও

চীনের সাংহাই নগরীর আদলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়কে এক সূত্রে গাঁথতে তৈরি হচ্ছে টানেল পথ। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল তৈরির ভৌত অবকাঠামোর কাজ শুরু হবে। এ টানেল নির্মিত হলে কর্ণফুলীর পূর্বতীরের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা চট্টগ্রাম মহানগরীর সঙ্গে যুক্ত হবে। চার বছরের মধ্যে স্বপ্নের এই টানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরকালে আগামী ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি যৌথভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। কর্ণফুলী নদীর তলদেশের নিচে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে পূর্বতীরে যাওয়ার এবং পূর্বতীর থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আসার দুটি ট্যানেল তৈরি করা হবে। প্রতিটি ট্যানেলের প্রস্থ হবে ১০ দশমিক ৮ মিটার। প্রতিটি ট্যানেলে গাড়ি চলাচলের দুটি করে লেন থাকবে। প্রতিটি লেনের প্রস্থ হবে ৩ দশমিক ৬৬ মিটার। দুটি টিউবের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব থাকবে ১১ মিটার। টানেলটি নদীর তলদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ মিটার এবং মাটির সর্বনিম্ন ১২ মিটার গভীরে নির্মিত হবে। নদীর তলদেশে টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ হাজার ৫ মিটার বা তিন কিলোমিটারের বেশি। কর্ণফুলী নদীর দুই তীরকে টানেল পথের মাধ্যমে যুক্ত করার এ প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড টানেলটি নির্মাণ করবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে টানেলের নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব বলে আশা করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল পথ নির্মাণের মাধ্যমে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দুপাড়ের মধ্যে সংযোগ যেমন নিশ্চিত হবে তেমনি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার হ্রাস পাবে। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গেও যুক্ত হবে কর্ণফুলীর দুই পাড়কে সংযুক্তকারী এই টানেল। ঢাকা-চট্টগ্রাম প্রস্তাবিত এক্সপ্রেসওয়ে এবং মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দ্বিতীয় মেরিন ড্রাইভ সড়কও কর্ণফুলীর তলদেশের এই টানেলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চার লেন সড়ক তৈরি হলে তা এই টানেলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবেও বিবেচিত হবে নদীর তল দিয়ে তৈরি দেশের প্রথম টানেলটি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর