রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

জাতীয় পরিচয়পত্র বিড়ম্বনা

ভোগান্তি অবসানের উদ্যোগ নিন

নির্বাচন কমিশন দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া বন্ধ রাখায় ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্মার্টকার্ড দেওয়ার নামে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে দেশে ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি হলেও ৯ কোটি ভোটারের হাতে দেওয়া হচ্ছে স্মার্টকার্ড। সে ক্ষেত্রে বাকি নাগরিকদের কাগুজে জাতীয় পরিচয়পত্র নাকি স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট করে এখনো জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। খাতাপত্রে অনলাইন থেকে সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও কার্যত সেবাও পাচ্ছেন না নাগরিকরা। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে সাময়িক জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য লগইন করেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত হওয়া নতুন ভোটারদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় জরুরি বিভিন্ন কাজে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব নতুন ভোটারকে স্মার্টকার্ড দেওয়ার কথা থাকলেও রাজধানীর ভোটারদের তা পেতে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আর গ্রামগঞ্জের ভোটারদের স্মার্টকার্ড পাওয়ার জন্য আগামী বছরের মাঝামাঝি এমনকি ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ৯ কোটি ভোটারের হাতে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে। বাকি ১ কোটি ভোটারের ভাগ্যে কী ঘটবে যে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি তহবিল থেকে তাদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। তবে কবে নাগাদ তারা স্মাটকার্ড পাবেন সে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। জাতীয় পরিচয়পত্র একজন নাগরিকের নাগরিকত্বের দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়। নানা ক্ষেত্রে এর ব্যবহার অপরিহার্য হওয়ায় এক কোটি মানুষকে অনিবার্যভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এ দুরবস্থার অবসানে নির্বাচন কমিশন স্মার্টকার্ড দেওয়ার আগ পর্যন্ত সাময়িক পরিচয়পত্র দানের বিষয়টি চালু রাখতে পারে। সব ভোটারের কাছে যাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করারও উদ্যোগ নিতে হবে। স্মার্টকার্ড বিতরণেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিতে হবে। ইতিমধ্যে এর বিতরণ শুরু হলেও অব্যবস্থাপনার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। যা কাম্য হওয়া উচিত নয়।

সর্বশেষ খবর