বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের লড়াই

জনমনে আশা জাগিয়ে তুলুক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের লড়াই দেশবাসীর কাছে আশা জাগানিয়া হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। গত সাত মাসে তিন শতাধিক সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী, ব্যাংক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের। দুর্নীতি বাংলাদেশের মানুষের কাছে এক ভয়াবহ অভিশাপের নাম। দেশের এমন কোনো সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে দুর্নীতি নেই। দেশবাসীর কল্যাণে সরকার যেসব কর্মসূচি নেয় তার এক বড় অংশই চলে যায় দুর্নীতিবাজদের পকেটে। সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও চলে সীমাহীন দুর্নীতি। বলা যায়, ঘুষ-দুর্নীতির দুর্বিপাকে পুরো জাতিই জিম্মি হয়ে পড়ছে ক্রমান্বয়ে। এ প্রেক্ষাপটে সাত মাসে তিন শতাধিক দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ দৃশ্যত খুব বড় ঘটনা নয়। কিন্তু এটি আশা জাগিয়েছে দুদকের স্বরূপে আত্মপ্রকাশের সূচনা হিসেবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন নামের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা করা হলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তা নিজেদের নামের পরিপূরক হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। গত সাত মাস ধরে দুদক স্বরূপে আত্মপ্রকাশের যে চেষ্টা চালাচ্ছে তাতে দুর্নীতিবাজদের মধ্যে কিছুটা হলেও যে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে তা একটি আশা জাগানিয়া ঘটনা। বিশেষত ব্যাংকিং সেক্টরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকের সক্রিয়তায় দেশের সাধারণ মানুষ আশাবাদী হয়ে উঠছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে যে টাকা জমা হয় তা দেশবাসীর টাকা। এ টাকা লোপাট হচ্ছিল বিভিন্ন ব্যাংকের অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজশে। মনে হচ্ছিল ঋণ খেলাপিদের প্রতিরোধের জন্য দেশে কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। দুদকের সময়োচিত পদক্ষেপ সে হতাশা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করছে। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন প্রতিটি রাষ্ট্র ব্যবহার কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। রাষ্ট্রের এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি সে কর্তব্য পালনের মাধ্যমে জনপ্রত্যাশা পূরণে যে ভূমিকা রাখছে তা অভিনন্দনযোগ্য। তাদের তত্পরতায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা নিতে সাধারণ মানুষকে উেকাচ গুনতে হবে না আমরা এমনটিই দেখতে চাই। দুর্নীতি অসততার লাগাম টেনে ধরার এ প্রশংসনীয় উদ্যোগ আরও এগিয়ে নেওয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর