শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্টেশন

তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নেবে

আজকের যুগ তথ্যপ্রযুক্তির। এই যুগে বিশ্বজনীন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে উৎকর্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। চীন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া পশ্চাত্পদ অবস্থা থেকে বিশ্ব পরিসরে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তিকে সম্বল করে। বাংলাদেশেও এগিয়ে যাওয়ার রোডম্যাপে তথ্যপ্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে পটুয়াখালীতে চালু হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এটি চালু হলে এক হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সুবিধাসহ নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটে যুক্ত হবে বাংলাদেশ। কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন স্টেশনের চেয়ে এটি আটগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন। দেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটি। বর্তমানে কক্সবাজারে সবেধন নীলমণি একটি মাত্র সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হচ্ছে। এ সাবমেরিন স্টেশনটির কেবল লাইন কাটা পড়লে নেটওয়ার্ক সরবরাহের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় গ্রাহকদের প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয়। বিশেষ করে কক্সবাজারে নির্মিত ২০০ জিবিপিএস ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেশনটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলে অচলাবস্থার আশঙ্কাও রয়েছে। আশার কথা পটুয়াখালীর স্টেশন তার আগেই চালু হবে এবং তা গোটা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সরবরাহ করতে পারবে। কুয়াকাটায় ২০১৩ সালের শেষের দিকে ১০ একর জমির ওপর ৬৬০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয়। সাগরের নিচ দিয়ে ফ্রান্স থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ কেবল লাইন এসে এখানে সংযুক্ত হবে। কুয়াকাটার স্টেশন থেকে মাত্র সাড়ে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে উপকূলের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে আসা লাইনটির সঙ্গে স্টেশনকে যুক্ত করেই চালু করা হবে দ্বিতীয় সাবমেরিন প্রকল্প। দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্টেশন তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকল্প পূরণেও তা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

আমরা আশা করব দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি  ঘোষিত সময়ের মধ্যে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প

বাস্তবায়নেও নেওয়া হবে যথাযথ সতর্কতা।

সর্বশেষ খবর