রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পরমত অসহিষ্ণুতা ইয়ুরলের জন্ম দেয়

তুষার কণা খোন্দকার

পরমত অসহিষ্ণুতা ইয়ুরলের জন্ম দেয়

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সান্টোস এ বছর শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। অনেক বছর পরে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ এমন একজন মানুষের হাতে গেল যিনি নিজ যোগ্যতায় এটি অর্জন করেছেন। ফার্ক গেরিলা দলের প্রধান টিমোচেনেকাকে নোবেল প্রাইজের ভাগিদার হিসেবে রাখলে আমরা আরও খুশি হতাম। কলম্বিয়ায় বায়ান্ন বছর ধরে গেরিলা যুদ্ধ চলছিল। ফার্ক গেরিলা ও সরকারের মধ্যে চার বছর ধরে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার পরে এ বছর সেপ্টেম্বরে দুই পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি সই হয়েছে। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের আগে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সান্টোস চুক্তির ওপর হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করেছিলেন। খুব সামান্য কটি ভোটের ব্যবধানে কলম্বিয়ায় ‘না’ ভোট জিতে গেছে। তার পরও আমার দৃঢ়বিশ্বাস, শান্তির পক্ষে ও দেশে যে আলোচনা শুরু হয়েছে তা বন্ধ করে দিয়ে আবার যুদ্ধ শুরু করার সুযোগ কোনো পক্ষেরই নেই। শান্তিচুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মুনির অনেক মত থাকলেও আমার কাছে মনে হয়েছে চুক্তিটি মূল্যবান। কারণ কলম্বিয়ার মানুষের সামনে শান্তির কোনো বিকল্প ছিল না। ফার্কের রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক এজেন্ডা কী ছিল সে সম্পর্কে আমি খুব একটা ওয়াকিবহাল নই। কোন সব দাবি আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে তারা যুদ্ধ শুরু করেছিল আর বায়ান্ন বছর পরে কী দাবি আদায় করে তারা সরকারের সঙ্গে আপস করে যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দিল, সে কেচ্ছা জানার ব্যাপারে আমি কৌতূহল বোধ করছি না। আমি জানি, বায়ান্ন বছর সুদীর্ঘ সময়। এ সময়ে পৃথিবী অনেক বদলে গেছে। নতুন বিশ্বের নতুন প্রেক্ষাপটে দ্য রেভলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া ফার্ক যুদ্ধ করে তাদের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেটাতে পারবে না এই সত্য তারা বুঝে গেছে। কাজেই তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য ইতিবাচক পথে চিন্তা করতে রাজি হয়েছে।

ফার্কের সঙ্গে কলম্বিয়ান সরকারের শান্তিচুক্তি নিয়ে হরেক খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বার বার প্রচার হওয়ার কারণে স্বাধীন দেশ কলম্বিয়ার মাটিতে ফার্ক সৃষ্টি হওয়ার সত্যিকার কারণ জানার জন্য আমার কৌতূহল হলো। মনে প্রশ্ন জাগল, স্বাধীন একটা দেশে সরকার এবং জনগণের মধ্যে কী এমন দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল যার কারণে সে দেশের এতগুলো মানুষ গেরিলা যুদ্ধে চলে গেল এবং দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে পক্ষে-বিপক্ষে এতগুলো মানুষকে প্রাণ দিতে হলো। কোনো দেশ এবং সমাজ সম্পর্কে খুব দরকারি সত্য জানতে চাইলে আমি সেই দেশের সাধারণ মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করি। কলম্বিয়ার ক্ষেত্রেও তেমন একটা সুযোগের সন্ধানে ছিলাম যা ১ অক্টোবরের দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে একটি বিদ্রোহী মেয়ের জবানিতে পেয়ে গেলাম। মেয়েটি যখন চৌদ্দ বছরের কিশোরী তখন সে যুদ্ধে গিয়েছিল। এ বছর অস্ত্র সমর্পণের সময় তার বয়স ৩৪ বছর। অর্থাৎ পাক্কা ২০ বছর সে কলম্বিয়ার বনেজঙ্গলে যুদ্ধ করে কাটিয়েছে। মেয়েটির নাম ইয়ুরলে মেনডোজা।

ইয়ুরলে মেনডোজা ১৪ বছর বয়সে ফার্ক গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিয়ে পরিবার ছেড়ে জঙ্গলের জীবন বেছে নিয়েছিল। ২০ বছর ধরে কলম্বিয়ান সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ৩২ বছর বয়সে সে অস্ত্র সমর্পণ করতে এসে সাংবাদিকদের সামনে বসে প্রশ্ন করছে, ‘তুমি কি জান, ২০ বছর একটানা যুদ্ধ ক্ষেত্রে থাকতে কেমন লাগে?’ ইয়ুরলে একা নয়, তার মতো আরও অনেক মেয়ে গেরিলা যুদ্ধে যোগ দিয়ে কলম্বিয়ার বনে-পাহারে ভবঘুরের দুর্বিষহ জীবন কাটিয়েছে। ২০ বছর ধরে ইয়ুরলে ঝরনার পানিতে গোসল করেছে, বনের মধ্যে ক্যাম্পের আগুনের পাশে মাটির বিছানায় ঘুমিয়েছে। ইয়ুরলের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকের মনে হয়েছে ইয়ুরলে যেন টাইম মেশিনে চেপে পুরনো সময় পেছনে ফেলে অন্য একটা সময়ে চলে এসেছে। সে জানে না ইন্টারনেট কী। ইয়ুরলে জীবনে কোনো দিন সাগর দেখেনি, কোনো একটি সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা তার নেই। দিনের পর দিন সে না খেয়ে লুকিয়ে থেকেছে। যুদ্ধ করতে গিয়ে ঊরুতে গুলি খেয়েছে। খুব কাছে বোমা ফাটার কারণে তার একটা কান বধির হয়ে গেছে। সহযোদ্ধা ছয়জনের মৃতদেহ ডিঙিয়ে নিজের জান নিয়ে পালিয়ে বাঁচা কত কষ্টের সে কথাও সে বর্ণনা করেছে। তার পরও সাংবাদিকের মনে হয়েছে, ইয়ুরলে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত তবে অনুতপ্ত নয়। ইয়ুরলের কষ্টের কাহিনী পড়তে গিয়ে মনে প্রশ্ন জাগে, কি সেই কারণ যার জন্য মাত্র ১৪ বছর বয়সের কিশোরী একটি মেয়ে গেরিলা যোদ্ধার কষ্টের জীবন বেছে নিল?

তার যুদ্ধে যাওয়ার প্রকৃত কারণ সে নিজ মুখে বর্ণনা করেছে। কলম্বিয়ার প্রত্যন্ত দক্ষিণের গ্রামের মেয়ে ইয়ুরলে। আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতো সে আট বছর বয়সে কফি বিন তোলা আর ঘরবাড়ি সাফ-সুতরার কাজে মায়ের সঙ্গে হাত লাগিয়েছিল। কিন্তু এক দিনের ঘটনা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল। তখন ইয়ুরলের বয়স সাত বছর। এক উৎসবের দিনে সে তার বাবার সঙ্গে শহরে গিয়েছিল। একটা গানের দল শহরে বড় এক মাঠের মধ্যে লোকজনকে গান শুনিয়ে মাতিয়ে তুলছিল। ইয়ুরলের বাবা শহরের গানের দলকে একটা জনপ্রিয় লোকগান শোনাতে অনুরোধ করলে লোকগুলো মনের আনন্দে সেই গানটি গাইতে শুরু করল। সেই গানের কলিতে ফার্কের প্রতিষ্ঠাতা মানুয়েল মারুলান্ডার কথা ছিল। আর তাতেই গোলযোগ বেধে গেল। দুজন পুলিশ অফিসার এগিয়ে এসে কর্কশ গলায় জানতে চাইল ‘এ গান কে শুনতে চেয়েছে’। গায়কদল আঙ্গুল তুলে ইয়ুরলের বাবাকে দেখিয়ে দিল। পুলিশ অফিসাররা কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে লোকটাকে মাটিতে ফেলে লাথি মারতে মারতে রক্তাক্ত করে টেনেহিঁচড়ে জেলে নিয়ে গেল। ভীতসন্ত্রস্ত ইয়ুরলে দৌড়ে বাড়ির দিকে ছুটল ওর মাকে খবরটা জানাতে। ওর মা তখন সন্তানসম্ভবা। সে অবস্থায় দিশা না পেয়ে সে ইয়ুরলেকে ফের শহরে পাঠাল ওর বাবার অবস্থা জানতে। পুলিশ অফিসার দুজন ওর বাবাকে মারধর করে সারা রাত এত ছোট একটা রুমে বন্দী করে রেখেছিল যেখানে সে ঠিকমতো বসতেও পারছিল না। দরজার নিচের সামান্য ফাঁক দিয়ে ইয়ুরলে ওর কচি দুটো হাত বন্দী বাবার দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। ইয়ুরলের বাবা প্রবল আবেগে কিশোরী মেয়ের ছোট দুটি হাত ছুঁয়ে বাঁচার আশ্বাস খুঁজে ছিল। অনেক রাত পর্যন্ত ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত ইয়ুরলে সেখানেই বাবার হাত ছুঁয়ে বসে ছিল। সেই রাতে হাজতখানার দরজার বাইরে বসে কিশোরী মেয়েটির দুই চোখে ঘুম নয়, ভয় নয় শুধু আক্রোশ দানা বেঁধেছিল। ভেবেছিল, সে কবে বড় হবে? বড় হয়ে নিজ শক্তিতে এ বর্বর মানুষগুলোকে বুঝিয়ে দেবে, তারা যা করছে তা তারা করতে পারে না। কাজটা অমানবিক।

সমাজ ও রাজনীতির বিশ্লেষকরা ফার্কের ইতিহাস বলবেন। বলবেন ফার্ক গেরিলারা কোকেন পাচারকারী, ওরা কত মানুষ হত্যা করেছে, কত মানুষ জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করেছে। আরেক পক্ষ মার্কসইজমের ধুয়া তুলে ফার্ক গেরিলাদের বিদ্রোহের যৌক্তিকতা শোনাবেন। তত্ত্ব আর তথ্যের কচকচানির তলে একদিন ইয়ুরলের বুকে জ্বলে ওঠা আগুনের উৎস চাপা পড়ে যাবে। তত্ত্বজ্ঞানীরা তত্ত্বের বেড়াজালে আটকে ফেলে সত্যকে নিজেদের পক্ষে সাজিয়ে নিতে ওস্তাদ। আমরা সাধারণ মানুষ ইয়ুরলের জীবনের বাস্তবতা সরল চোখে দেখতে চাই যাতে তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কিছু শিখতে পারি। ইয়ুরলের জীবনকাহিনী আপনাদের শোনাচ্ছি কারণ আপনারা ভেবে দেখবেন একটি ঘটনা তাত্ক্ষণিক বিচারে কত তুচ্ছ বলে মনে হয়। কিন্তু তার গভীরে কী ভয়ানক ক্ষোভ তিলে তিলে জমে উঠতে থাকে। আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থার দিকে চেয়ে দেখুন। একটি সুস্থ স্বাভাবিক জমায়েত করতে গিয়ে কত মানুষ যে হেনস্তা হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। সাংবিধানিক অধিকারের আওতায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে গিয়ে যে ছেলে কিংবা মেয়ে পুলিশের হাতে নিগৃহীত হচ্ছে, পুলিশ কিংবা অন্য কারও লাঠির আঘাতে যাদের পিঠ রক্তাক্ত হচ্ছে তার শরীরের ক্ষত একদিন শুকিয়ে যাবে কিন্তু ওদের মনের দাগ কি সময়ের প্রলেপে কোনো দিন মুছবে? পরমতের প্রতি অসহিষ্ণু হয়ে মারধর করতে থাকলে সেই কাজ একটা দেশের জন্য কী ভয়ানক পরিণাম ডেকে আনতে পারে কলম্বিয়া তার উদাহরণ। ইয়ুরলে একা নয়, সেদিনের সেই ঘটনা তার দুই বোনকেও যুদ্ধক্ষেত্রে টেনে নিয়ে গেছে। তার এক ভাই সরকারি সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মারা গেছে।

ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আমরা ভুলে যাই বিন্দু জলেই সিন্ধু সৃষ্টি হয়, আগুনের ফুলকি থেকেই দাবানলের সৃষ্টি। প্রতিকারহীন জবরদস্তি যত ছোটই হোক একদিন তা বড় বিপদ টেনে আনে। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে কত তুচ্ছ কারণে মানুষের ওপর জেল-জুলুম চলছে যা একটু সহনশীল হলে এড়িয়ে যাওয়া যেত। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সব সমস্যা সমাধান করার জন্য ইদানীং শক্তি প্রয়োগে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে। বাহিনীগুলো একা কাজটি করছে তা নয়, তাদের সঙ্গে সরকারি দলের লোকজন জড়ো হয়ে যেখানে সেখানে যখন তখন তাণ্ডব জুড়ে দিচ্ছে। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করে যারা শহীদ মিনারে সমবেত হয়েছিলেন তাদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া কি খুব জরুরি ছিল? সরকারি বাহিনী ও সরকারি দল সমবেত আক্রমণে জমায়েতকারীদের যেভাবে কাবু করল তাতে মনে হচ্ছিল প্রতিবাদকারীরা একদল ক্রিমিনাল। অথচ ওই আন্দোলনকারীরা তাদের ব্যক্তিস্বার্থের জন্য কাজটি করছে এমন কথা কল্পনা করা সম্ভব নয়। আন্দোলনকারীরা সুন্দরবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে সরকারকে মানা করছে। তারা শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে মাইক লাগিয়ে মানুষকে এটি বললে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা ছিল বলে আমাদের মনে হয়নি। অথচ পুলিশবাহিনী ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনকারীদের মারধর করে সমস্যার কী সমাধান করল তা বুঝলাম না।  ভিন্নমতের মানুষদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে তারা দেশ কিংবা সমাজের কল্যাণ করছে বলে কি কেউ বিশ্বাস করবে? অতি উৎসাহীরা তাদের অপকর্ম দিয়ে একজন নাগরিক এবং তার পরিবারের গায়ে যে গভীর ক্ষতচিহ্ন তৈরি করছে তা কি ভবিষ্যতে প্রতিকারের পথ খুঁজবে না? যে কোনো বিষয়ের পক্ষে যেমন যুক্তি থাকে তেমন বিপক্ষে তার চেয়ে জোরালো যুক্তি থাকতে পারে। উভয় পক্ষের কথা শুনলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানো কোনো কঠিন কাজ নয়। দুনিয়ার সবাই জানে, কয়লা পুড়িয়ে বানানো বিদ্যুৎ ‘আনক্লিন এনার্জি’। কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ বানাতে গেলে চারপাশের পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এটি যে বাংলাদেশের একার সমস্যা তা তো নয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার প্রথমবার নির্বাচনী প্রচারের সময় কয়লাকে বিদ্যুতের ‘আনক্লিন সোর্স’ উল্লেখ করে একে নিরুৎসাহিত করবেন বলে অঙ্গীকার করেছিলেন। যারা রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির প্রতিবাদ করছেন তারা একটি সাহসী কাজ করছেন। সরকারের ‘আনক্লিন’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করার সাহস যদি ছাত্রলীগের না থাকে তারা চুপ করে থাকতে পারে। তা না করে ছাত্রলীগ পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে শান্তিপূর্ণ জমায়েতে হামলা করতে যাচ্ছে কেন? ভিন্নমত প্রকাশ করলেই তাদের ওপর হামলে পড়ে লাঠিপেটা করে অনেকের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করার কাজটি ছাত্রলীগের পবিত্র দায়িত্ব। কিন্তু যেদিন সময় আসবে সেদিন মানুষের গা থেকে ক্ষতের দাগ কে মুছবে— আওয়ামী লীগ নাকি ছাত্রলীগ?

লেখক : কথাসাহিত্যিক।

সর্বশেষ খবর