বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রোগ চিকিৎসায় ইসলামী বিধান

মাওলানা আবদুর রশিদ

আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে ইবাদতে আত্মস্থ হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। যে কারণে ইসলামে শারীরিক ও মানসিকভাবে মুমিনরা যাতে সুস্থ থাকে সে ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দুর্বল মুমিনের তুলনায় সবল মুমিন অধিক কল্যাণকর ও আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। তবে উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে।’ (মুসলিম)। ইসলাম সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্য পরিচর্যাকে গুরুত্ব দিয়েছে। অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সুস্থ থাকাকে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন কিয়ামতের দিন বান্দাকে নেয়ামত সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করা হবে তা হলো তার সুস্থতা সম্পর্কে। তাকে বলা হবে আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি (তিরমিজি)। মানুষ অসুস্থ হলে যাতে চিকিৎসা গ্রহণ করে সে ব্যাপারে রসুল (সা.) অনুসারীদের উৎসাহিত করেছেন। তিনি নিজে অসুস্থ হলে চিকিৎসা গ্রহণ করতেন। রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, হে আল্লাহর বান্দাগণ, তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর, কেননা মহান আল্লাহতায়ালা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। তবে একটি রোগ আছে যার কোনো প্রতিষেধক নেই, সেটি হলো বার্ধক্য। (আবু দাউদ)। ইসলামে রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হলেও হারাম জিনিসকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহারে নিষেধ করা হয়েছে। রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহতায়ালা রোগ দেন, রোগের প্রতিষেধকও নাজিল করেছেন। প্রতিটি রোগের চিকিৎসা রয়েছে। সুতরাং তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর তবে হারাম দ্রব্য দ্বারা চিকিৎসা নিও না। তিনি আরও ইরশাদ করেছেন, হারাম বস্তুতে আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য আরোগ্য বা রোগমুক্তি রাখেননি। (যাদুল মাআদ)

চিকিৎসা সম্পর্কে ইসলামের গাইড লাইন হলো রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা করা। রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, রোগ অনুযায়ী চিকিৎসা হলেই আল্লাহর হুকুমে আরোগ্য হয়। (মুসলিম)।

     লেখক : ইসলামী গবেষক

সর্বশেষ খবর