শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

নারী-পুরুষের সমতা

বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়

নারী-পুরুষ সমতায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এশীয় দেশগুলোর মধ্যে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সামনের কাতারে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সবার চেয়ে এগিয়ে। নারী-পুরুষ সমতার তত্ত্ব যে দেশটির মুখে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় সেই যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে পতন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যখন প্রথমবারের মতো একজন নারী সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং তার জয়ের সম্ভাবনাও উজ্জ্বলতর, সে সময় নারী-পুরুষ সমতায় তাদের পিছিয়ে পড়ার চিত্র হতাশাজনক। গত বুধবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০১৬ সালের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অগ্রগতির বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। ইনডেক্সে বলা হয়, শ্রমের ক্ষেত্রে অর্জিত আয়ে নারী-পুরুষ অসমতা আগের চেয়ে বাড়লেও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় লিঙ্গ সমতায় বাংলাদেশের অবস্থান ঈর্ষণীয়। ইনডেক্স অনুযায়ী লিঙ্গ সমতায় বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২তম। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের পর প্রতিবেশী ভারত ৮৭তম অবস্থানে রয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তাদের অবস্থান বাংলাদেশের ১৫ ধাপ নিচে। এরপরই আছে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মালদ্বীপ, ভুটান এবং সবশেষে পাকিস্তান। বিশ্ব পরিসরে যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের সূচকে ২৮তম অবস্থানে থাকলেও এবার তারা ৪৫তম স্থানে নেমে এসেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে ১১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯১তম। গত এক দশকে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ১৯ ধাপ উপরে উঠেছে। লিঙ্গ সমতায় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছে। বিশ্ব পরিসরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। মাত্র ৬টি দেশ বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। সূচকের তথ্য অনুযায়ী ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে লিঙ্গ সমতায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭। বিশ্বের সব দেশের মতো বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। দেশ ও সমাজের অগ্রগতিতে নারী ও পুরুষের সমানতালে চলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।  রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের নারীরা দ্রুত এগিয়ে গেলেও আয় বৈষম্য এখনো প্রকট। পুরুষ শাসিত সমাজের সংকীর্ণ মনোভাবের কারণে একই ধরনের পরিশ্রম করেও নারীরা পুরুষের চেয়ে কম আয় করছে। যার অবসান হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর