শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

অপদখল উচ্ছেদে ব্যবস্থা নিন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে বলা হয় দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা। দেশের আমদানি-রপ্তানির বড় অংশই এ মহাসড়কের ওপর নির্ভরশীল। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগেরও এটি প্রধান মাধ্যম। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্ব অনুধাবন করেই হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এ সড়ককে চার লেনে রূপান্তর করা হয়। এর যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর অংশ রূপান্তর করা হয় আট লেন। কিন্তু অপদখলের মহোৎসবে মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর অংশের আট লেনের চার লেনই এখন যাচ্ছেতাই অবস্থার শিকার। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নিচ থেকে শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, মাতুয়াইল, সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড, আদমজী ইপিজেড, শিমরাইল এবং কাঁচপুর ব্রিজের বিভিন্ন পয়েন্টে মূল সড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট। বাস, ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান, পিকআপের স্থায়ী পার্কিং জোন হয়ে উঠেছে এ এলাকাটি। এলোমেলো পার্কিং, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, রাস্তা দখল করে যাত্রী ডাকা এবং রাস্তার মূল অংশে দোকানপাট বসিয়ে আট লেনের রাস্তা সরু হয়ে চার লেনে পরিণত হয়েছে। ফলে এক মিনিটের পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে ১০ মিনিটে। কখনো কখনো মাতুয়াইল থেকে দনিয়া কলেজ পর্যন্ত আসতেই চলে যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। অপদখলের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে চার লেনে উন্নীত হওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা। যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের মুখ থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত অংশে মূল রাস্তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেলসহ নানা ধরনের অযান্ত্রিক যান চলাচল করায় সৃষ্টি হচ্ছে অচলাচস্থা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে দেশবাসীর ট্যাক্সের টাকায়। কিন্তু এ মহাসড়কের এক বড় অংশ বেদখল হয়ে পড়ায় তার সুফল দেশের সাধারণ মানুষ কিংবা মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা নয়, ভোগ করছে অপদখলকারীরা। মহাসড়ককে কেন্দ্র করে এলাকার সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক টাউটদের চাঁদাবাজিও চলছে অবাধে। তারা মহাসড়কে দোকানপাট ও বাজার বসিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করছে।  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে অপদখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ কুম্ভকর্ণের ঘুম থেকে জেগে উঠবেন আমরা এমনটিই দেখতে চাই। মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের কাছেও তা প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর