শিরোনাম
বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

রপ্তানির পরাশক্তি হবে বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়ন আশাজাগানিয়া

রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ পূর্ব এশিয়ার পরাশক্তিতে পরিণত হতে পারে এমন আভাসই দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ‘রপ্তানি বাণিজ্যে দক্ষিণ এশিয়ার পরাশক্তি হওয়ার পালা :  প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে নীতি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছে, যুব কর্মশক্তি ও বৈশ্বিক জনমিতির বিবেচনায় বাংলাদেশের সামনে এমন সম্ভাবনার হাতছানি রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়নে শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও দ্রুত নগরায়ণের সুবিধায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের মোট যুবশক্তির এক-চতুর্থাংশ থাকবে দক্ষিণ এশিয়ার দখলে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে বছরে ১৩ শতাংশ হারে। বাংলাদেশের দুর্বলতা হলো পোশাকের ওপর নির্ভরতা, মোট রপ্তানির ৮০ ভাগই পোশাক। এসব পোশাক আবার কম দামের।  প্রতিবেদনে রপ্তানি আয় বাড়াতে বাংলাদেশকে পণ্যের বৈচিত্র্য এবং মানের দিকে লক্ষ্য দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শ্রমনির্ভর জুতা শিল্প, হালকা প্রকৌশল এবং বৈদ্যুতিক পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে বড় সম্ভাবনার হাতছানির কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের বিদ্যমান সমস্যার পাশাপাশি সম্ভাবনার যে আভাস দেওয়া হয়েছে তা আশাজাগানিয়া ঘটনা। বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক বড় অংশই তরুণ বয়সী। উৎপাদনের ক্ষেত্রে যুবশক্তি সব দেশেই বড় ভরসা হিসেবে বিবেচিত হয়। মজুরি বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা পূর্ব এশিয়া ছেড়ে দক্ষিণ এশিয়ার দিকে ঝুঁকছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এ সুযোগকে কাজে লাগানোর ব্যাপক প্রস্তুতিও আমাদের নিতে হবে। রপ্তানির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাকের অবস্থান ধরে রেখে পণ্যের বৈচিত্র্য ও মানোন্নয়নে উদ্যোগী হতে হবে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের সুযোগকেও কাজে লাগাতে হবে যথাযথভাবে। যুবসমাজকে প্রশিক্ষিত করে তোলার জন্যও নিতে হবে উদ্যোগ। উৎপাদনমুখী পরিবেশ বজায় রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি রোধেও নিতে হবে ব্যবস্থা।  আমলাতান্ত্রিকতা যাতে বিনিয়োগের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেদিক থেকেও সতর্ক থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর