রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পুণ্ড্রনগরীর কেচ্ছা

মাকিদ হায়দার

পুণ্ড্রনগরীর কেচ্ছা

ভারতবর্ষের প্রায় প্রতি প্রদেশেরই নাম ও সীমা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়েছে। শাসন কাজের সুবিধার জন্য ইংরেজ আমলে বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে পুণ্ড্র ও বরেন্দ্র এবং পশ্চিমবঙ্গে রাঢ় ও তাম্রলিপি এবং দক্ষিণ ও পূর্ববঙ্গে বঙ্গ সমতট, হরিকেল ও বঙ্গাল প্রভৃতি দেশ ছিল। মুসলমান যুগেই সর্বপ্রথম এসব দেশ একত্রে বাঙালা বা বাংলা নামে পরিচিতি লাভ করেছিল। আইন-ই-আকবরী গ্রন্থের প্রণেতা আবুল ফজল জানিয়েছেন এই দেশের প্রাচীন নাম ছিল বঙ্গ। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের নদীর নাম আমরা শুনতে পাই— যমুনা, পদ্মা, মেঘনা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া। তিস্তা এবং করতোয়া উত্তরবঙ্গের নদী। তবে পদ্মা যমুনা ছাড়াও আছে কপোতাক্ষসহ অসংখ্য নদ-নদী। সেই করতোয়া শুকিয়ে গেছে, যেমন গেছে অন্যগুলো। ইতিমধ্যে মরে গেছে, মেরে ফেলা হয়েছে নব্য ধনীদের অত্যাচারে। করতোয়া তীরেই বাংলার প্রাচীন রাজধানী পুণ্ড্রবর্ধন নগর ছিল একদা, যার ফলে করতোয়াকে ‘করতোয়া মাহাত্ম্য’ নাম দেওয়া হয়েছিল। ১৭৮৭ সালের প্রচণ্ড বন্যায় করতোয়া, ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হয়। পূর্ণ স্রোতবাহী করতোয়াকে প্রথম দেখি ১৯৬৪ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। মাধ্যমিক পরীক্ষার কিছুদিন আগে আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক মথুরানাথ মুখোপাধ্যায়। একদিন নবম এবং দশম শ্রেণির ছাত্রদের জন্য একটি সুখবর দিলেন, বিশেষত আমরা যারা দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম তাদের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘তোমরা যদি বগুড়ার মহাস্থানগড় দেখতে যেতে চাও, আগামী নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে যেতে পারবে, অপূর্ব কুমার গোস্বামীর সঙ্গে। প্রতি ছাত্রকে যাতায়াতে, থাকা এবং খাওয়াসহ মাত্র ১০ টাকা দিতে হবে। পাবনা থেকে বাসে যেতে হবে ঈশ্বরদী। ঈশ্বরদী থেকে ট্রেনে সান্তাহার বগুড়া।

যথারীতি আমরা যারা দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম তারা অনেকেই অপূর্ব স্যারের কাছে ১০ টাকা জমা দিলাম এবং জেনে নিলাম, জামা-কাপড় কি কি নিতে হবে। স্যার জানালেন একটি শার্ট, একটি পাজামা, লুঙ্গি আর গামছা হলেই চলবে। অপূর্ব গোস্বামী জানতেন প্রতিটি ছাত্রের এক জোড়া শার্ট, পাজামা থাকাটা খুবই অস্বাভাবিক ছিল। স্কুলজীবনের শেষ দিকে একজোড়া স্যান্ডেল এবং বাটা স্যু কোম্পানির এক জোড়া জুতা থাকলেই নিজেকে ধন্য মনে করতাম। ঘড়ি হাতে দেওয়ার স্বপ্ন থাকলেও সেটি আর বাস্তবে হয়নি, হয়েছিল মাধ্যমিকের পর। পিতা শখ করে কিনে দিয়েছিলেন— ‘ফেভার লিউবা’ নামের একটি ঘড়ি ৪২ টাকা দিয়ে। বগুড়া যাওয়ার আগের দিন হেডমাস্টার জানালেন, বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অপূর্বসহ তোমরা যে কুড়িজন বগুড়া যাচ্ছ, সবাই থাকবে জিলা স্কুলের বড় হলরুমে, বগুড়াতে গিয়ে মহাস্থানগড়, করতোয়া নদী এবং মুজিবর রহমান ভাণ্ডারীর কম্বল কারখানাসহ জামিল অ্যান্ড কোম্পানির গ্লিসারিন সাবান ‘জান-এ সাবা’, সাবান ফ্যাক্টরি দেখবে এবং জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক তোমাদের জানাবেন পুণ্ড্রনগরী বরেন্দ্রনগর সম্পর্কে। মহানন্দে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আমাদের নিয়ে অপূর্ব স্যার যথারীতি ঈশ্বরদী হয়ে সান্তাহার পাড়ি দিয়ে নিয়ে গেলেন জিলা স্কুলের সেই বিশাল হলরুমে। পৌঁছানোর খবর পেয়েই বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ আরও দুজন শিক্ষক এলেন। ওইসব শিক্ষক আমাদের অপূর্ব স্যারের সঙ্গে কি কি সব জরুরি কথা শেষ করেই জানালেন, তোমাদের জন্য হলরুমে রাতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে, এমনকি সকালে, দুপুরে রাতের খাবারও তোমরা পাবে। এমন সময় অপূর্ব স্যার আমাদের জানালেন আগামীকালকে আমরা মহাস্থানগড় দেখতে যাব, শহর থেকে উত্তরে, দূরত্ব সাত-আট মাইল। সারা দিন তোমরা মহাস্থান ঘুরবে এবং গড়ের পাশেই আছে মহাস্থানগড় সম্পর্কিত বিশাল সাইনবোর্ডে যাবতীয় তথ্য এবং পুণ্ড্র ও বরেন্দ্র সম্পর্কের ইতিহাসের প্রধান অংশের কিছু তথ্য। সহপাঠী গোপাল ঘোষ, আশিষ রাখাল রায়, শেখ আবদুল হাদী, স্বপন সাহা, আরশাদ আলী, ইয়াকুব আলী, কৃষ্ণপাল, আবুল কালাম আজাদসহ অপূর্ব স্যারের নির্দেশে প্রথম দিন দেখতে গেলাম করতোয়া নদী। শখের বসে স্যারই উৎসাহ দিলেন নৌকায় চড়তে। বিশাল একটি নৌকায় আমরা ২১ জন, বেশ কয়েক মাইল পালে হাওয়া লাগিয়ে সেদিনের সেই নৌকা ভ্রমণ সাঙ্গ হলো দুপুরের অনেক পরে। যাওয়ার সময় গুড়, চিড়া, মুড়ি, বাতাসা এবং ‘লই’ কিনে দিলেন অপূর্ব স্যার— ইতিপূর্বে লই খাইনি, লোভটি আমার মতো অনেকেরই ছিল। যেহেতু পাবনা বড়বাজারে চিড়া মুড়ি বাতাসা পাওয়া গেলেও লই কখনো খাইনি, লই কিছুই নয়, গুড়টা তরল অবস্থায় থাকাকালীন অল্প আগুনের জ্বালে চালের গুঁড়া মিশিয়ে দিয়ে লম্বা কাঠি লজেন্সের চেয়েও অনেক বড় সাইজের বানানোর পরে মাঝখানে ভেঙে দিলে হয় লই। আর ভেঙে না দিলে বগুড়াবাসী সেটিকে বলেন মই। সেই লই ভাঙা অবস্থায় আমরা চিড়া-মুড়ির সঙ্গে করতোয়ার স্বচ্ছ পানি দিয়ে খেয়েছিলাম। সে ছিল আরেক অপূর্ব স্বাদ। অনাবিল আনন্দ।

 

 

অপূর্ব স্যারের নেতৃত্বে পরের দিন দেখতে পেলাম সেই বিখ্যাত মহাস্থানগড়। যাওয়ার পথে বাসের ভেতরে স্যার আমাদের জানালেন ‘পুণ্ড্র’ একটি প্রাচীন জাতির নাম। এই জাতি উত্তরবঙ্গে বাস করত বলে এই অঞ্চল পুণ্ড্রদেশ ও পুণ্ড্রবর্ধন নামে পরিচিত ছিল। পুণ্ড্র দেশের রাজধানীর নামও ছিল পুণ্ড্রবর্ধন। প্রাচীনকালে এটি ছিল প্রসিদ্ধ নগরী। আজকের এই মহাস্থানগড়কেই প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধনের ধ্বংসাবশেষ বলেই ইতিহাসবিদরা অনুমান করেন। কারণ, মৌর্য যুগের শাসনামলের সময় একটি শিলালিপিতে এই জায়গাটিকেই পুণ্ড্রনগরী বলা হয়েছে। বরেন্দ্র উত্তরবঙ্গের একটি বিশাল জনপদ। রামচরিত কাব্যে ‘বরেন্দ্র মণ্ডল’। গঙ্গা ও করতোয়া নদের কথা বলা হয়েছে। অপূর্ব স্যার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললেন, খাবার সময় হয়েছে বেলা দ্বিপ্রহর উত্তীর্ণ প্রায়। আমরা ইঁদুরেরা হ্যামিলনের বংশীবাদকের সেই বাঁশির সুরে ওঠে পড়লাম একটি শীর্ণ বাসে, ফিরে এলাম জিলা স্কুলের হলরুমে। বিকালের দিকে যেতে হবে শহরের প্রধান বাজার সংলগ্ন রেললাইন পেরিয়ে যেখানে একই স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির এবং মুসলমানদের মসজিদ দেখাতে নিয়ে গেলেন স্যার এবং তিনি জানালেন, হিন্দু-মুসলমানদের সহাবস্থানের কথা।

বিকালের বেশ কিছু পরে ফেরার পথে অপূর্ব স্যার নতুন একটি দেশের নাম জানালেন সেটির নাম গৌড়, তিনি আরও জানালেন বাংলার পরাক্রান্ত পাল ও সেন রাজগণের ‘গৌড়েশ্বর’ উপাধি ছিল। যতদূর মনে পড়ে স্যার এক সময় জানিয়েছিলেন বাংলার আদিম অধিবাসীরা আর্য জাতির বংশোদ্ভূত নয়। আজ বাজারে ‘সাঁওতাল’দের তোমরা নিশ্চয় দেখেছ, বাংলার ১. কোল ২. শবর ৩. পুলিন্দ ৪. হাড়ি ৫. ডোম ৬. চণ্ডাল এসব অন্ত্যজ জাতিই আদিবাসীদের বংশধর। স্যার সবশেষে সেদিন জানিয়েছিলেন, যদিও আমি অঙ্কের শিক্ষক, ইতিহাস বিষয়টি আমার খুবই প্রিয়, তোমাদের পুণ্ড্রনগরী মহাস্থানগড়সহ অন্যান্য ইতিহাস্রিত কথা বললাম, সেগুলো আমি শ্রী রমেশ চন্দ্র মজুমদার মশায়ের ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’ গ্রন্থ পড়ে নিয়েছিলাম আমাদের গোপাল চন্দ্র ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মথুর স্যারের নির্দেশে, এ জন্য তোমাদের সংক্ষিপ্তাকারে জানাতে পারলাম প্রাচীন নগরী বগুড়া সম্পর্কে। পরের দিন আমরা দেখতে গিয়েছিলাম ভাণ্ডারীদের কম্বল ফ্যাক্টরিতে কীভাবে কম্বল বানায়। মুজিবর রহমান ভাণ্ডারী অপূর্ব কুমার গোস্বামীকে একটি কম্বল উপহার দিয়েছিলেন। আর আমাদের দিয়েছিলেন একটি করে ‘রাইটার’ কলম। আনন্দের আতিশয্যে কেউ কেউ মুজিবর ভাণ্ডারীকে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ভালো লেখাপড়া করলে ভবিষ্যতে পৃথিবীর অনেক দেশ দেখতে পাবে।

জনাব ভাণ্ডারীর কথা আমার বেলায় প্রযোজ্য হয়েছে, অন্যের বেলায় কতটা হয়েছিল আজ আর মনে নেই। সেই ১৯৬৪ সালের পর গত ৭ এবং ৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে দুদিনব্যাপী বগুড়া লেখক চক্রের ২৮তম জন্মবার্ষিকীতে আমাকে বগুড়া যেতে হয়েছিল। দুদিনের সেই কবি সম্মেলনে সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য গুণী ব্যক্তিদের ক্রেস্টসহ সম্মাননা জানানো হয়। কবিতায় গোলাম কিবরিয়া মিনু, সাংবাদিকতায় ওয়াসিকুর রহমান বেচান, লোকসাহিত্যে ড. বেলাল হোসেন, লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনায় আবদুল মান্নান স্বপন এবং কালিপদ সেন টিপু। সেই দুদিনের বগুড়া লেখক চক্রের মিলনমেলায় সমগ্র বাংলাদেশ থেকে ২৪৮ জন কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, গল্পকার এসেছিলেন। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন কবি আমিনুল ইসলাম। প্রধান  অতিথি ছিলাম আমি। সম্মাননা প্রদান পর্বে অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ছড়াকার আলম তালুকদার। নূরুল করিম নাসিম গল্পকার এবং আরেক গল্পকার রাফিকুর রশিদ। আযিযুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শামসুল আলম, কবি মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, রাজশাহীর কবি কুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা পলাশ খন্দকার, কবি শিবলী মুকতাদির, শিশুসংগঠক আবদুল খালেক, কবি সিকতা কাজল, কামরুন নাহার কোহেলী এবং বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি কবি ইসলাম রফিক। শুভেচ্ছা জানালেন লেখক চক্রের সাধারণ সম্পাদক আমির খসরু গোলাম। সব শেষে বক্তব্য রাখলেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি কবি প্রদীপ ভট্টাচার্য শংকর, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আমজাদ হোসেন মিন্টু এবং সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী ও বিশিষ্ট নাট্যজন তৌফিক হাসান ময়না। ষাট দশকের গোড়ার দিকে বগুড়া থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হতো লিটল ম্যাগ, বিপ্রতীপ, লেখক কবিদের মধ্যে মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, শাহনুর খান, মহাদেব সাহা, আতাউল হক সিদ্দিকী, আবদুর রবসহ অজস্র লেখক-কবিদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল বিপ্রতীপের দ্বার। বিপ্রতীপের অনেকেই এখন অজানা দেশের নাগরিক, তবে বগুড়া লেখক চক্রের সদা প্রাণপুরুষরা, অন্তপ্রাণ তাদের এই সংগঠনটির জন্য। বিগত বছরগুলোতে গুণীজনদের সম্মানিত করেছিলেন, এবারও করলেন। আমার এবার দিয়ে বেশ কয়েকবারই যেতে হলো আমাদের উত্তরবঙ্গের পুণ্ড্রনগরীর কবি সম্মেলনে। কামরুল বাহার আরিফ কবিতা লেখেন দীর্ঘদিন থেকে। তাকে পেয়েছিলাম সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আমাদের হায়দার পরিবারের অনুজ কবি, নাট্যকার আরিফ হায়দার। অধিক কথা লিখলেও বিপদ, কেননা বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক সুমন পালিত আগেই জানিয়েছেন, বেশি জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। সম্পাদক নঈম নিজাম নিজেও আজকাল দীর্ঘ লেখা লিখছেন না। অতএব, জায়গা পাওয়াটাই দুষ্কর। তবে এবার পতিসর গিয়ে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি দেখতে গিয়ে মনে পড়ল তারই লেখা ছিন্ন পত্রাবলীর পত্র ১০৩-এর কিছু কথা। শিল্পতত্ত্ব নিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ যে মন্তব্যটি করেছিলেন সেটির নাম সৃষ্টি।

‘সৃষ্টি কখনোই সুখের হতে পারে না। যতক্ষণ অপূর্ণতা ততক্ষণ অভাব, ততক্ষণ দুঃখ থাকবেই। জগৎ যদি জগৎ না হয়ে ঈশ্বর হতো তাহলেই কোথায়ও কোনো খুঁত থাকত না— কিন্তু ততদূর পর্যন্ত দরবার করতে সাহস হয় না।’  পারস্য প্রবন্ধে আরও জানিয়েছেন, ‘সুবিহিত সম্পত্তির মধ্যেই আর্টের প্রাপ্তি।’

সেই আর্ট কালচারকে নিয়েই বগুড়া লেখক চক্রের ২৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হলো। আমার স্কুলজীবনের সেই করতোয়াকে মৃতপ্রায় মনে হলো— শুনলাম ভাণ্ডারীদের ব্যবসা নেই, জামিল গ্রুপের অবস্থাও তথৈবচ। তবু আশা থেকে গেল আগামীর জন্য। পুণ্ড্রবর্ধনের জন্য।

     লেখক : কবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর