মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সবুজ পোশাকশিল্প

বাংলাদেশের শীর্ষ অবস্থান আশাজাগানিয়া

সবুজ পোশাকশিল্পে বাংলাদেশই এখন শীর্ষে। রানা প্লাজার ধস ও তাজরীন গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প ভাবমূর্তির সংকটে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র এ অজুহাতে বাংলাদেশকে দেওয়া জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করে। কিন্তু সমালোচকদের মুখে ছাই দিয়ে পরিবেশবান্ধব সবুজ পোশাকশিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশকেই হার মানিয়েছে। দাপুটে অর্থনীতির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, আয়ারল্যান্ড ও ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে সবুজ পোশাকশিল্পে ইতিমধ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এ শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন শুধু এক নম্বরেই নয়, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী কারখানার ৫টিই বাংলাদেশে— এমন স্বীকৃতিও মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলে (ইউএসজিবিসি) নিবন্ধিত ১৯৫টি বাংলাদেশি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে ৩৬টি লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন লিড সনদ পেয়েছে। নিবন্ধিত আরও ১৫৯টি বাংলাদেশি সবুজ পোশাক কারখানা লিড সনদ পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের মতে, বাংলাদেশের মতো এত বেশি সবুজ কারখানা  বিশ্বে আর কোনো দেশে নেই। দেশের উদ্যোক্তারা যে হারে সবুজ কারখানা স্থাপনের দিকে ঝুঁকছেন, তাতে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অনন্য নজির স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্মর্তব্য, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্ব পরিসরে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের পোশাক খাতের বার্ষিক রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালে ছিল ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার, ২০১২ সালে ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আয় ক্রমান্বয়ে বাড়লেও এ খাতের চ্যালেঞ্জও কম নয়। ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া দ্রুতবেগে এগিয়ে যাচ্ছে। পোশাক রপ্তানিতে তাদের প্রবৃদ্ধির হারও বেশি। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও কম দামের পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবেই বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করছে। এ খাতে দ্রুত অগ্রগতির জন্য দেশের পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা সবুজ পোশাকশিল্পের দিকে ঝুঁকছেন। মানসম্মত পোশাক তৈরির ক্ষেত্রেও চলছে চিন্তা-ভাবনা। বিশ্ববাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে টিকে থাকতে যে বিষয়টি প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর