বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতু চালু হলে মংলা হবে ঢাকার কাছের বন্দর

বিশেষ সাক্ষাৎকারে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ

পদ্মা সেতু চালু হলে মংলা হবে ঢাকার কাছের বন্দর

নব্বই দশক থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মংলা বন্দর মানেই ছিল লোকসানি প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ১৮ বছর লোকসানের বোঝা টানার পর মংলা বন্দর এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের নেক নজর এবং এ বন্দর ব্যবহারকারীদের একান্ত সদিচ্ছায়। মংলা বন্দরের লাভ-লোকসানের ইতিকথা নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের বাগেরহাট প্রতিনিধি—

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : নৌবাহিনীর কর্মকর্তা হয়েও আপনি প্রেষণে চট্টগ্রাম বন্দর, খুলনা শিপইয়ার্ড ও মংলা বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন এ বিষয়টি আপনি কীভাবে উপভোগ বা মূল্যায়ন করেন?

বন্দর চেয়ারম্যান : এ জন্য আমি প্রথমে আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করি। এ ছাড়া সরকারের নিকটও আমি কৃতজ্ঞ, কারণ সরকার আমাকে এ সুযোগ দিয়েছে। নৌবাহিনীর সদস্য হিসেবে যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমার ক্যারিয়ার গড়ে উঠেছে তাতে যে কোনো সময় আমার পদবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নৌবাহিনীতে যে কোনো দায়িত্ব পালনে আমার কোনো প্রকার অসুবিধা হয়নি। বরঞ্চ আমি প্রেষণে চাকরির অভিজ্ঞতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকি। প্রেষণে আমি যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেছি/করছি তার প্রত্যেকটিতে প্রতিনিয়ত নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে। এতে সামগ্রিকভাবে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা অনেকাংশে অনেক উন্নত হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আমাদের আমদানি-রপ্তানি প্রধানত নৌ পথে হয়ে থাকে এবং মোংলা বন্দর দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর হওয়া সত্ত্বেও কেন এটা লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল?

বন্দর চেয়ারম্যান : আমাদের আমদানি-রপ্তানির শতকরা ৯৮ ভাগ সমুদ্র পথে অর্থাৎ সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আশ্চর্যজনক অথবা হতাশাজনক হলেও এটা সত্য যে, দেশে দুটো সমুদ্র বন্দর থাকা সত্ত্বেও সমুদ্র পথের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা একটি মাত্র বন্দর অর্থাৎ চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। নিম্নে বর্ণিত কারণে এ বন্দরকে আমরা ব্যবহারকারীদের নিকট আকৃষ্ট করতে পারিনি বলে আমি মনে করি :

(১) ইতিপূর্বে এ বন্দরের সঠিক সেবার মান বৃদ্ধিকল্পে বন্দর, কাস্টমস ও ব্যাংক সুবিধাবলি ব্যবসাবান্ধব করার ব্যাপারে সময় উপযোগী উদ্যোগের অভাবে ৯০ দশক থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময় এ বন্দরটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানের হিসেবে চিহ্নিত হয়।

(২) সরকার কর্তৃক বন্দরের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে নিয়োগপ্রাপ্ত সিনিয়র কর্মকর্তাদের এ বন্দরে কাজ করার অনাগ্রহ।

 (৩) মংলা বন্দরের সঙ্গে Hinterland এর নৌ পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলেও সড়কপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ ছাড়া রেল যোগাযোগ অদ্যাবধি নেই।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এ বন্দরে কাজ করার অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন : বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেন?

বন্দর চেয়ারম্যান : উদাহরণ স্বরূপ, বিগত ৬৫ বছরের মোট ৪৬ জন কর্মকর্তা প্রধান নির্বাহী/চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের মধ্যে ১৯ জন অতিরিক্ত/চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে বন্দর একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। সিভিল/মিলিটারি যে সার্ভিস থেকেই এখানে যাকে নিয়োগ দেওয়া হোক তাকে কিন্তু উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়ার পূর্বে বন্দর সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা অর্জন করতে কিছুটা সময় ব্যয় করতে হয়। কাজেই একজন চেয়ারম্যান/সদস্যের ন্যূনতম ৩-৪ বছর এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত থাকা প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক বলে আমি মনে করি।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : এ মুহূর্তে আপনি মংলা বন্দরকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

বন্দর চেয়ারম্যান : ২০০৯ সাল থেকে মংলা বন্দরের যথাযথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকার এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে করে বন্দর ব্যবহারকারীগণ পূর্বের চেয়ে এ বন্দর ব্যবহারে ক্রমান্বয়ে অনেক আগ্রহী হচ্ছে। প্রতি বছরই আমাদের কার্যক্রম পূর্বের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুই বছর আমাদের কার্গো হ্যান্ডলিং-এর প্রবৃদ্ধি শতকরা ২৮ ভাগের ঊর্ধ্বে। এটা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি। আমি আশাকরি আল্লাহ্র রহমত, সরকারের সহযোগিতা এবং বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে। ২০১৮ পরবর্তীতে পদ্মা সেতু সমাপ্ত, খুলনা-মংলা বন্দর রেল যোগাযোগ স্থাপন, ফয়লায় বিমানবন্দর চালু রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন শুরু, এবং বেজার (BEZA) কার্যক্রমসহ বিভিন্ন প্রাইভেট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের পর মংলা বন্দরের প্রবৃদ্ধি আরও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ্। মংলা বন্দরকে ঘিরে বর্তমান সরকারের গৃহীত মেগা মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন হলেই বিশেষ করে বহুমুখী পদ্মা সেতু। তখন মংলা বন্দরের দূরত্ব কমে চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় মংলা বন্দরই হবে ঢাকার কাছের বন্দর। ওই সময় পাল্টে যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনমানুষের জীবনযাত্রার প্রেক্ষাপট। তখন মংলা বন্দরই জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বিশেষজ্ঞমহল মনে করেন।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : ২০১৮ এবং তার পরবর্তীতে যে প্রবৃদ্ধি আপনি আশা করছেন সে অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বন্দরের সুযোগ-সুবিধা তথা সেবার মান অনেক উন্নত হওয়া প্রয়োজন বলে বন্দর ব্যবহারকারীরা মনে করেন । এ ব্যাপারে বন্দরের পরিকল্পনা কী?

বন্দর চেয়ারম্যান : ২০০৯ থেকে আমরা ইতিমধ্যে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। এতে বন্দরের সেবার মান পূর্বের তুলনায় অনেকটাই ভালো। আরও কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট স্বল্প মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে যা ২০১৮ এর মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি। এগুলো বাস্তবায়ন হলে বন্দরে আমরা আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে পারব ইনশাআল্লাহ্। এ ছাড়া আরও কিছু মধ্য মেয়াদি প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে যেগুলো আগামী ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এই মধ্য মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হব বলে আশা করছি। পরিকল্পিত এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে প্রধান প্রকল্পগুলো হচ্ছে—

ক। প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপে একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনা-এ ব্যাপারে আমরা ইতিমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। শিগগিরই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

খ। অটোমেশন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণ- প্রকল্পটি বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

গ। দূষণ রোধকল্পে Spilled Oil Collection Vessel সংগ্রহ- এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

 ঘ। Vessel Traffic Management & Information System স্থাপন- এ প্রকল্পটি সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে আগামী জানুয়ারি ২০১৭-এ আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করব ইনশাআল্লাহ্।

ঙ। চীনা অর্থায়নে আটটি কম্পোনেন্টের সমন্বয়ে একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন-এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে সরকারি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করা যাবে বলে আশা করা যায়। এ প্রকল্পের প্রধান কয়েকটি অংশ হলো—

(১) একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ।

(২) একটি কন্টেইনার ডেলিভারি ইয়ার্ড নির্মাণ।

(৩) একটি বহুতল কার ইয়ার্ড নির্মাণ।

(৪) বন্দর চ্যানেলে অনেক পুরাতন রেক (ডুবে থাকা কার্গো বার্জ) উত্তোলন।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : বিগত বছরগুলোতে যে বন্দর ব্যবহারকারীদের ততটা আকৃষ্ট করতে পারেনি সে বন্দর আগামীতে কীভাবে তাদের আকৃষ্ট করবে?

বন্দর চেয়ারম্যান : যে কোনো সমুদ্র বন্দরের প্রধান তিনটি দিক থাকে অর্থাৎ— চ্যানেলের নাব্যতা, বন্দর ও কাস্টমস সুবিধা এবং বন্দর থেকে গন্তব্য স্থলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। আশ্চর্যজনক এবং দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে, দীর্ঘদিন যাবৎ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের অবহেলার কারণে দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর হওয়া সত্ত্বেও ওই তিনটি দিকের কোনোটিই যথাযথভাবে উন্নয়ন/ রক্ষণাবেক্ষণ না করায় মংলা বন্দর প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে নাই। তবে বিগত ২০০৯ হতে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তিনটি দিকই যথেষ্ট উন্নয়ন করা হয়েছে/হচ্ছে— যার অধিকাংশই আগামী ২০১৮-২০১৯ এর মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের কারণে ইতিমধ্যে আমরা অভূতপূর্ব সুফল পেতে শুরু করেছি। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, আমাদের বিগত দুই বছরের কার্গো হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি ২৮%। এ ব্যাপারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এটা প্রকাশ পেয়েছে যে, শুধু পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ হলে মংলা বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং আরও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। আর একটি বিষয় আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই যে, বন্দর ট্যারিফ ক্ষেত্র বিশেষে আমরা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি ব্যবসাবান্ধব করেছি। কাজেই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ২০১৮ এর পর মংলা বন্দরে স্থাপিত শিল্পকারখানার মালিক ও বন্দর-ব্যবহারকারীদের অনেক বেশি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সমুদ্র বন্দরের প্রধান যে তিনটি দিকের কথা আপনি বলেছেন, মংলা বন্দর সংশ্লিষ্ট এগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে মংলা বন্দর ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীদের কতটা উন্নত সেবা প্রদান করতে পারবে বলে আপনি মনে করেন?

বন্দর চেয়ারম্যান : প্রথমত, নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা ইতিমধ্যে হারবার এলাকার ড্রেজিং সম্পন্ন করেছি। বন্দর এলাকা থেকে রামপাল পর্যন্ত এলাকার ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আউটার বার এলাকার ড্রেজিং প্রকল্প সরকারের অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ প্রকল্প দুটি ২০১৮-২০১৯ এর মধ্যে আমরা সম্পন্ন করব ইনশাআল্লাহ্। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের ফলে বর্তমান ৮.৫ মিটার ড্রফটের পরিবর্তে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ এ বন্দরে আসতে পারবে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ কন্টেইনার টার্মিনাল, বহুতল কার ইয়ার্ড, বন্দর এলাকার রাস্তা ০৬ (ছয়) লেনে উন্নয়ন, আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অটোমেশন ইত্যাদি প্রকল্পসমূহ পর্যায়ক্রমে ২০১৮-২০২০ এর মধ্যে সম্পন্নের মাধ্যমে বন্দরের সেবার মান উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নত হবে বলে আমি আশাবাদী। দ্বিতীয়ত, পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষে সড়ক পথে ঢাকা থেকে মংলা বন্দরের দূরত্ব ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব অপেক্ষা প্রায় ৯০ কি.মি. কম হবে— ফলে ঢাকা কেন্দ্রিক বেশ কিছু কার্গো বিশেষত গার্মেন্টস সামগ্রী এ বন্দরের মাধ্যমে পরিবাহিত হওয়ার একটি সহজ সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া খুলনা-মংলা রেল যোগাযোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেল পথেও মংলা বন্দরের কার্গো পরিবহনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ভাবে তিনটি দিকই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে মংলা বন্দর ২০১৮-২০১৯ হতে এ বন্দর ব্যবহারকারীদের অত্যন্ত উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : দেশি-বিদেশি কিছু মহল মনে করে সুন্দরবন রক্ষার স্বার্থে ড্রেজিং কার্যক্রমসহ মংলা বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ রাখা উচিত- এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?

বন্দর চেয়ারম্যান : নিজস্ব দৃষ্টি ভঙ্গিতে এ বিষয়ে আমার মতামত হলো—

ক। প্রথমত, মংলা বন্দর এমন কোনো বন্দর নয় যা আমরা নতুনভাবে নির্মাণ করছি। বরঞ্চ এটা আমাদের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর যা আমরা বিগত ৬৬ বছর যাবৎ ব্যবহার করছি।

খ। দ্বিতীয়ত, এ বন্দর নির্মাণের সময় সুন্দরবনের গুরুত্ব এবং এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই দেশি-বিদেশি একাধিক বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের আলোকেই এ বন্দরের সব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে, বর্তমানেও হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।

গ। তৃতীয়ত, সুন্দরবন অবশ্যই আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং World Heritage হিসেবে স্বীকৃত- এটা আমাদের জন্য যতটা গর্বের বিষয়; আমার মতে তার চেয়েও বেশি গর্বের বিষয় যে এই World Heritage-টি আমাদের দেশে অবস্থিত। কাজেই এর নিরাপত্তার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের চেয়ে অন্য কারও অধিক উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।

ঘ। চতুর্থত, বাংলাদেশ একটি উন্ননশীল দেশ এবং স্বভাবতই আমাদের উন্নয়ন আমদানি-রপ্তানির ওপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আমাদের বর্তমান GDP প্রবৃদ্ধি যেখানে ৭.১১% সেখানে আমাদের সমুদ্র পথের Trade প্রবৃদ্ধি ২২% এর উপরে। আমাদের Trade এর শতকরা ৯৮ ভাগই সমুদ্র পথে পরিবাহিত হয়। এই বিশাল Trade এর সিংহ ভাগ এখনো আমাদের প্রধান সমুদ্র বন্দর অর্থাৎ চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। আমরা এও জানি যে, চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান অবস্থায় আমাদের Trade Growth এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে তার একার পক্ষে চলা মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ কারণেই দেশের টেকসহ উন্নয়ন নিশ্চিত রাখার লক্ষ্যে আমাদের Trade তথা আমদানি-রপ্তানি সহজতর রাখার লক্ষ্যে দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর তথা মংলা বন্দরের পরিকল্পিত উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।

ঙ। পঞ্চমত, মংলা বন্দর একটি Tidal Port বিধায় বন্দর চ্যানেলে পলি পরার হার অনেক বেশি এবং পশুর নদীর তীর ভাঙার কারণে Occassional ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ বন্দরের নাব্যতা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে নাব্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই Occassional ড্রেজিং এই চ্যানেলের প্রয়োজনীয় পানির প্রবাহ ও পরিমাণ নিশ্চিত করে বলে এটা সুন্দরবন এলাকার জীববৈচিত্র্যের জন্য সহায়ক বলেই আমার মনে হয়।

চ। ষষ্ঠত, যে কোনো দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য একটি বন্দরের ওপর নির্ভরশীল থাকা Strategic দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কাজেই বিকল্প একাধিক সমুদ্র বন্দর যে কোনো Meritime Nation এর জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া যেহেতু চট্টগ্রাম বা মংলা কোনো বন্দরেই বড় জাহাজ যেতে পারে না এবং দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিশ্চিত কল্পে বর্ধিত Trade Growth বিবেচনায় নিয়ে অনেক বড় জাহাজ আগমনের সুবিধার্থে পায়রায় একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার স্বার্থে ভবিষ্যতের প্রয়োজনে আরও একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের আবশ্যকতাও দেখা দিতে পারে।

ছ। সবশেষ কথা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে মংলা বন্দরের টেকসই উন্নয়ন এবং সুন্দরবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখার বিষয় পাশাপাশি চলমান রাখতে হবে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : পর্যায়ক্রমে মংলা বন্দরের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সেবার মান বৃদ্ধি পেলেও কাস্টমস-এর সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় সামগ্রিকভাবে বন্দর ব্যবহারে অনেক ব্যবহারকারীদের অনাগ্রহের কথা শোনা যায়- এ বিষয়টি আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

বন্দর চেয়ারম্যান : সমুদ্র, বিমান বা স্থল যে কোনো বন্দরেই- বন্দর এবং কাস্টমস সুবিধা উন্নতও দ্রুত না হলে সে বন্দর ব্যবহারে ব্যবহারকারীদের অনাগ্রহ থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক। মংলা বন্দরও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে একটি বিষয় আমাদের সবার মনে রাখা প্রয়োজন যে, সেবার মান উন্নয়ন একটি Continuous Process। মংলা কাস্টমসের বেশ কিছু সফলতা কিন্তু ইতিমধ্যে হয়েছে। মংলা ইপিজেড ও মংলা বন্দরের বেশ কিছু কক্ষ ভাড়া নিয়ে তারা কিন্তু খুলনার পাশাপাশি মংলায় তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ছাড়া তাদের পূর্ণাঙ্গ অফিস ও আবাসিক ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে মংলা বন্দরের বেশ কিছু জমি ইতিমধ্যে তারা লিজ নিয়েছে এবং নির্মাণ প্রকল্প সরকারের অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমার জানা মতে দ্রুততার সঙ্গে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর নিকট ভবিষ্যতে খুলনা থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে তারা মংলায় স্থানান্তর করবে। অন্য একটি বিষয় হচ্ছে মংলা বন্দরে এখনো কোনো কন্টেইনার স্ক্যানার না থাকায় কন্টেইনার আমদানিকৃত পণ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের অভিযোগ-অনুযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এ ব্যাপারেও আমি জানি যে, মংলা কাস্টমস ইতিমধ্যে প্রথম স্ক্যানারটি সংগ্রহ করেছে যা বর্তমানে বন্দর এলাকায় সংরক্ষিত আছে এবং উহা স্থাপনের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এটি স্থাপনের পর এতদসংশ্লিষ্ট সেবার মান উন্নত হবে। আমি এও জানি যে, আরও অধিক সংখ্যক কন্টেইনার স্ক্যানার ক্রয় ও স্থাপনের পরিকল্পনা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের আছে। এ ছাড়া জনবল স্বল্পতার বিষয়টিও তারা পর্যায়ক্রমে সমাধান করছে।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গরূপে শুরু হলে মংলা বন্দরের প্রয়োজনীয়তা অনেকটা কমে যাবে একটি মহলে এরূপ নেতিবাচক কথা শোনা যায় এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

বন্দর চেয়ারম্যান : একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের উন্নয়ন প্রধানত আমদানি-রপ্তানি নির্ভরশীল আমাদের সমুদ্র পথের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ২২% এর ঊর্ধ্বে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের আমাদের বন্ধুপ্রতিম অনেক দেশ তাদের প্রয়োজনে ও সুবিধার্থে আমাদের সমুদ্র বন্দরসমূহ ব্যবহার করবে। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে আমাদের সরকারের বিভিন্ন ধরনের চুক্তি/সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরও হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সীমিত আকারে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাবে। সামগ্রিকভাবে বিচার করলে দেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে আগত তুলনামূলকভাবে ছোট জাহাজের পাশাপাশি বৃহদাকার জাহাজ আনার সুবিধা সৃষ্টি করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। প্রধানত এ কারণেই পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। এ বন্দর পূর্ণাঙ্গরূপে নির্মিত হওয়ার পর আমাদের দেশের জন্য চতুর্থ বন্দর নির্মাণের প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিতে পারে। কাজেই আমি মনে করি উন্নয়নশীল Meritime Nation হিসেবে আমাদের ৩-৪টি সমুদ্র বন্দর থাকা দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন বিধায় কোনো বন্দরের প্রয়োজনীয়তাই শেষ হবে না।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আমাদের দেশের সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মংলা বন্দরের ভূমিকা বা উন্নয়ন পরিকল্পনা কী?

বন্দর চেয়ারম্যান : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১-এর অর্থ হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। স্বভাবতই এ ভিশনকে সামনে রেখে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে/করছে। আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। আমাদের চলমান প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি Strategic Master Plan নামে একটি প্রকল্প ইতিমধ্যে আমরা হাতে নিয়েছি। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি এ প্রকল্পটি সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি। ওই Strategic Master Plan অনুযায়ী আমরা পরিকল্পিত কিছু অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দরের সেবার মান আরও উন্নত করব। সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার মাধ্যমে পরিকল্পিত উপায়ে ২০৪১ সালের পূর্বেই মংলা বন্দর একটি উন্নত ও আধুনিক সমুদ্র বন্দরে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ্।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনার দীর্ঘ দিন বন্দর পরিচালনার অভিজ্ঞতার আলোকে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের উন্নয়নের ব্যাপারে কিছু বলতে বললে আপনি কী বলবেন?

বন্দর চেয়াম্যান : উভয় বন্দরের নিজস্ব কর্তৃপক্ষ রয়েছে এবং তারা পরিকল্পিত উপায়ে সরকারের সহযোগিতায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমার মতামত যথাযথ নাও হতে পারে। তবুও এ ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত সংক্ষিপ্ত অভিমত হলো—

ক। চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কর্ণফুলী নদীর তীরে নতুন কোনো অবকাঠামো নির্মাণ না করাই উত্তম। তবে তাদের বে-টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনাটি অত্যন্ত যুগোপযোগী- এ প্রকল্প অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

খ। পায়রা বন্দরের ক্ষেত্রে সড়ক ও রেল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্দরের সঙ্গে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে Hinterland এর যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ বন্দরের জেটি/টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি একই সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে বন্দর ব্যবহারকারীদের এ বন্দর ব্যবহারে আকৃষ্ট করা যাবে না।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : সামগ্রিকভাবে সব সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন ও এদের পরিকল্পিত ব্যবহার কীভাবে আরও যুগোপযোগী করা যায় বলে আপনি মনে করেন?

বন্দর চেয়ারম্যান : নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বন্দর কর্তৃপক্ষই পরিকল্পনা করছে এবং উন্নয়নও করে যাচ্ছে। তথাপি দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা দেখছি যে, আমাদের আমদানি-রপ্তানি প্রধানত চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক- এতে করে এ বন্দরের ওপর চাপ ক্রমান্নয়ে বেড়েই চলেছে। চট্টগ্রামের আউটার অ্যাংকোরেজ ও কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ জট, জেটিতে কন্টেইনার জট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাফিক জট প্রতিনিয়ত মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে অদ্যাবধি মংলা বন্দরের ৫০% সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রয়েছে। আমার মতে পরামর্শ প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত ব্যবহারের লক্ষ্যে একটি সামগ্রিক বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রতিটি বন্দরের জাহাজ ধারণ ক্ষমতা, বন্দরে কার্গো ধারণ ক্ষমতা, বন্দর হতে Hinterland Connectivity ব্যবস্থা, পণ্য উৎপাদন স্থান ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এ জাতীয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে যেখানে প্রতিটি বন্দরের উন্নয়নের ব্যাপারে একটি দিক নির্দেশনা থাকবে। ওই দিক নির্দেশনার আলোকে প্রতিটি বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজ নিজ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। এ জাতীয় একটি পরামর্শ প্রকল্পের ব্যাপারে আমি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনাও দিয়েছি।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : আপনার মূল্যবান সময় ক্ষেপণ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রতিদিন পরিবার থেকে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

বন্দর চেয়ারম্যান : আপনাকে এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন কর্তৃপক্ষকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

সর্বশেষ খবর