শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি

সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠাই বড় চ্যালেঞ্জ

আজকের যুগকে বলা হয় তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। একটা জাতি বিশ্ব পরিসরে অগ্রগতির সোপানে ওঠার ক্ষেত্রে কতটা সক্ষমতা অর্জন করবে তা তথ্যপ্রযুক্তি সক্ষমতার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। বাংলাদেশকে অগ্রসর দেশগুলোর কাতারে নিতে বর্তমান সরকারের আমলে তথ্য প্রযুক্তিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকল্পকে সামনে রেখে এক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে দেশ তাত্পর্যপূর্ণ অগ্রগতির মুখও দেখেছে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সফটওয়্যার রপ্তানিতে বাংলাদেশ প্রতিবছরই এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ এ খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয়ের স্বপ্ন দেখছে সরকার। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের তথ্যউপাত্তে বলা হয়েছে দেশ থেকে এখন ৭০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সফটওয়্যার পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৫১ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সফটওয়্যার রপ্তানি হয়েছে। সফটওয়্যার রপ্তানি খাতের আয়ের হিসাব সংক্রান্ত পার্থক্যের পেছনে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো তথ্যের সীমাবদ্ধতা দায়ী বলে মনে করা হয়। সফটওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার আয়ের আশা করছে। এক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তরুণ উদ্যোক্তা এবং পেশাজীবী তৈরির কাজও চলছে সরকারি উদ্যোগে। কারওয়ান বাজারের বহুল আলোচিত জনতা টাওয়ারের সফটওয়্যার পার্কে উদ্যোক্তাদের স্বল্পমূল্যে অফিস সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। স্মর্তব্য, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীর সংখ্যা সাত লাখেরও বেশি। পেশাজীবীর বাইরে ফ্রিল্যান্স আউট সোর্সিংয়ে জড়িত প্রায় চার লাখ মানুষ। যাদের সিংহভাগই তরুণ তরুণী। সরকার ২০১৮ সালের মধ্যে  এ খাতের পেশাজীবীর সংখ্যা ১০ লাখে উন্নীত করতে চায়। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে আশা জাগানিয়া। তবে অগ্রসর দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশ যে এখনো অনেক পিছিয়ে তা একটি বাস্তবতা। এ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে এ ক্ষেত্রে জাতিকে জোর কদমে এগিয়ে যাওয়াকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর