শিরোনাম
শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র ও গণহত্যার এক নিষ্ঠুর সংযোগ

লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান

গণতন্ত্র ও গণহত্যার এক নিষ্ঠুর সংযোগ

গণতন্ত্র ও গণহত্যার এক নিষ্ঠুর সংযোগ ঘটে চলেছে বর্তমানে মিয়ানমারে। ভৌগোলিকভাবে ব্রহ্মদেশ ও বাংলাদেশের অবস্থান পাশাপাশি। অতি নিকট প্রতিবেশী। ঐতিহাসিকভাবে আমরা নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। দুই দেশই দীর্ঘদিন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকেছে। উপনিবেশমুক্ত হয়েছে মোটামুটি কাছাকাছি সময়ে। পূর্ব পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে আর বার্মা ’৪৮ সালে। কিন্তু উভয় দেশেরই জনগণ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি। গণতন্ত্র আসেনি। সামরিক শাসনে দুই দেশই বার বার দংশিত হয়েছে। গণতন্ত্র আহত হয়েছে, মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানুষের মুক্তি আসেনি। মিয়ানমার সামরিক শাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘ সময় পিষ্ট হয়েছে। স্বাধীন মিয়ানমার, জেনারেল অং সানের কন্যা অং সান সু চির নিরলস কঠিন সংগ্রামে সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করেছে। সু চি গণতন্ত্রের মানসকন্যা। একমাত্র তিনিই মিয়ানমারে সামরিক শাসনের পতন ঘটাতে পারলেন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিলেন। এ এক বিস্ময়কর বিজয়। এক অভূতপূর্ব অর্জন। পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়। এক পিতৃহারা, স্বামীহারা, স্বজনহারা, নির্যাতিত, নিপীড়িত, গণমানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন, নিজ ঘরে যুগ যুগ ধরে অবরুদ্ধ এক নারী সু চি। তিনি যুগের পর যুগ বিরামহীন যুদ্ধ করে চলেছেন। যুদ্ধ করে চলেছেন জেনারেলদের দ্বারা শাসিত এক সামরিক স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে। তারা শত চেষ্টা করেও তাকে বিচ্যুত করতে পারেনি তার অব্যর্থ লক্ষ্য, গণতন্ত্র থেকে। ধন্যি পিতার ধন্যি কন্যা অং সান সু চি। তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) আজ গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতায়। মিয়ানমারের ইতিহাসে এটি একটি মাহেন্দ্রক্ষণ, যা দেশটি অতীতে কখনো উপভোগ করেনি। রবীন্দ্রনাথের কথায়, ‘স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?’ আজ মিয়ানমারের জনগণ মহান বিপ্লবী অং সানের স্বপ্নের বাস্তবায়ন প্রত্যক্ষ করছে। সামরিক শাসনের অবসান ঘটে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঘটনাটি ব্রিটিশ নাগপাশ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার মতোই এক বিশাল ঘটনা। এক অভূতপূর্ব অর্জন। এক যুগান্তকারী কীর্তি। জয় হোক স্বাধীনতার। জয় হোক অং সানের। জয় হোক অং সান সু চির। জয় হোক গণতন্ত্রের। জয় হোক মিয়ানমারের জনগণের।

গভীর পরিতাপের বিষয়, মিয়ানমারে যখন আমি গণতন্ত্রের জয়গান শুনছি তখন দেখছি সেখানে আকাশ-বাতাস দলিত-মথিত হচ্ছে নিপীড়িত-নির্যাতিত এক অসহায় মানবগোষ্ঠীর আর্তনাদ আর ক্রন্দন রোলে। কী নিদারুণ, কী নির্মম বৈপরীত্য। মিয়ানমারে মানবতার চরম লঙ্ঘন চলছে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর চালিত হচ্ছে নৃশংস রাষ্ট্রীয় উত্পীড়ন, নিপীড়ন, নির্যাতন আর সন্ত্রাস। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আজ বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছে। ২০১৫ সালে অসলোয় ডেসমন্ড টুটু, শিরিন এবাদিসহ সাতজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর জরুরি আহ্বানকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। ওই নোবেল বিজয়ীরা জাতিগত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘনকে গণহত্যার অপরাধসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং তা বন্ধে মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে তার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেন। নিউইয়র্ক টাইমস দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের মার্কিন সিদ্ধান্তকে এখন অপরিপক্ব হিসেবে চিহ্নিত করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একে ethnic cleansing and crime against humanity হিসেবে উল্লেখ করেছে। এটা উদ্বেগজনক যে মিয়ানমারের গণতন্ত্র রোহিঙ্গাদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনেনি বরং তারা আরও দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় হয়ে পড়েছে। লন্ডনভিত্তিক International State Initiative এ বিষয়টিকে genocidal হিসেবে গণ্য করেছে।

 

 

আমার মনে পড়ছে, আমি মিরপুর কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে স্নাতক শেষে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ রাইফেলস (বর্তমানে বিজিবি) পরিচালক অপারেশন ও প্রশিক্ষণ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হই। ’৭৯ সালের শুরুর দিকের কথা। বার্মার সীমান্তরক্ষী পুলিশ, নাসাকা বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে আরাকান প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানরা প্রাণ নিয়ে মংডু হয়ে নাফ নদ অতিক্রম করে বাংলাদেশের কক্সবাজার, টেকনাফ, নাইক্ষ্যংছড়ি অনুপ্রবেশ করে। অনুপ্রবেশ করে বিপুল সংখ্যায় স্রোতধারার মতো। তখন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শাসন ক্ষমতায়। তিনি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেন। বন্ধ সীমান্ত উন্মুক্ত করেন। বিডিআর তাদের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করেনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ত্রাণশিবির নির্মাণ করে তিনি তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নেয়। আমি কক্সবাজারের নিকটবর্তী এসব ত্রাণশিবির পরিদর্শনে গিয়েছি। রোহিঙ্গাদের চরম অসহায়ত্ব ও দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেছি। সাধ্যমতো তাদের সহযোগিতা করতে বিডিআরকে বিভিন্ন নির্দেশ দিয়েছি। বার্মা সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও কূটনৈতিক তত্পরতা তখন নেওয়া হয়। কিন্তু বার্মার সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নিয়ে শুধু দীর্ঘসূত্রতাই অবলম্বন ও সময় ক্ষেপণ করেছে। রোহিঙ্গাদের এক বড় সংখ্যা (প্রায় লাখ দুয়েকের মতো) বাংলাদেশেই স্থায়ীভাবে থেকে গেছে যা ইতিমধ্যে বেসরকারি হিসাবমতে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের নির্যাতন-নির্মমতা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে। নির্যাতন ও ভয়াবহতা এতটাই ব্যাপক যে, সে দেশে বর্তমানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা যেন বেঁচেও মৃত। আর যেসব রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে রাখাইন প্রদেশ ছেড়ে প্রাণভয়ে পালিয়েছে তারাও অনাহার-অর্ধাহারে ঝোপে, ঝাড়ে, জঙ্গলে এবং মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে আত্মরক্ষা করেছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ১০ অক্টোবর থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যে চিরুনি অভিযান চলছে তাতে প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছে। ধর্ষিত হয়েছে দুই শতাধিক নারী। শত শত বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা পুরুষ ও যুবককে।

মিয়ানমারে অং সান সু চির এনএলডি ক্ষমতায় আসায় বিশ্ববাসী আশা করেছিল বঞ্চিত, অবহেলিত রোহিঙ্গারা অধিকার ফিরে পাবে, ফিরে পাবে বাঁচার অধিকার, নাগরিক অধিকার। কিছু দিন আগে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে প্রধান করে রোহিঙ্গা কমিশন গঠন এ প্রত্যাশাকে আরও জোরদার করেছিল। সন্ত্রাস দমনের নামে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সেনাবাহিনীর নির্বিচার হামলা, আক্রমণ ও হত্যায় সব আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে। দুঃস্বপ্নে রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির সরকার হত্যাযজ্ঞ রোধ ও রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এতটুকুও উদ্যোগ নেয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, চরম হতাশার ও গভীর যন্ত্রণার। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বিশ্ব হতবাক। রোহিঙ্গারা পুড়ছে। মরছে। অঙ্গার হচ্ছে। শিশু, নারী, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা কেউই রেহাই পাচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চলছে। তাদের অত্যাচার করে, নিপীড়ন করে বিতাড়িত করা হচ্ছে এবং নির্দ্বিধায় হত্যা করে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। এটা পোড়া মাটির নীতি, সবাইকে হত্যা কর, সবকিছু লুণ্ঠন কর, সবকিছু জ্বালিয়ে দাও (scorch earth, kill all, loot all, burn all)-এর নির্মম বাস্তবায়ন। রোহিঙ্গাদের ওপর আজ মিয়ানমারে শাব্দিক অর্থে তাই হচ্ছে। রোহিঙ্গারা আজ সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত, সবচেয়ে অসহায়। তারা ধ্বংসোন্মুখ এক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী। সহায়হীন, সম্বলহীন, আশ্রয়হীন নিরস্ত্র এক জনগোষ্ঠী। রাষ্ট্র পরিচালিত ও সেনা পরিকল্পিত নিষ্ঠুরতম সহিংসতার এক নগ্ন উদাহরণ।

রোহিঙ্গা সমস্যা মানবতার সমস্যা, এক মানবিক সমস্যা। একটি মানবগোষ্ঠীর সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হওয়ার  (ethnic cleansing) সমস্যা। এ সমস্যা কাশ্মীর, প্যালেস্টাইনের চেয়ে আরও করুণ, আরও ভয়ঙ্কর, আরও মর্মন্তুদ। ১০ লাখ রোহিঙ্গা আরাকানের (রাখাইন প্রদেশের) অধিবাসী। তারা অধিবাসী, অভিবাসী নয়। বহিরাগতও নয়। ইতিহাসের বিবর্তনে পরিবর্তনে নানা ঘাত-প্রতিঘাতেও তারা বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হয়নি। তারা পূর্বপুুরুষ হতে মিয়ানমারের মুসলমান। সে ঐতিহ্য বিসর্জন দেয়নি। মিয়ানমারের জাতীয় জীবনের সঙ্গে সমন্বিত থেকে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অংশ নিয়েছে। মিয়ানমারবাসী বলে গর্ব করছে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে চলেছে। অস্ত্র হাতে কখনো বিদ্রোহ ঘোষণা করেনি, বিদ্রোহী হয়নি। অবৈধ সংগঠন তৈরি করেনি। সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটায়নি। তারা নিদারুণ নিরীহ এক মুসলিম জনগোষ্ঠী। শান্তিবাদী, শান্তিকামী। তারা বাঁচতে চায়। চায় মানবাধিকার। চায় তাদের হৃত নাগরিকত্ব, নাগরিক অধিকার। চায় অন্য মিয়ানমারবাসীর মতো মাথা উঁচু করে সম্মান নিয়ে বাঁচতে। মানুষের মতো বাঁচতে।

একটা দেশে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অবস্থান করা একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নাগরিক অধিকার পায় না, আধুনিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় ভাবা যায় কি? বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি অনেক জোরদার করা প্রয়োজন। গোটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে আরও সোচ্চার হতে হবে। বিশ্ব জনমত তৈরি করতে হবে। ওআইসিকে জাগ্রত হতে হবে। বিশ্ববিবেককে নাড়া দিতে হবে। জাতিসংঘে রেজুলেশন আনতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ মিয়ানমারের অতি নিকটবর্তী প্রতিবেশী, রোহিঙ্গা সমস্যার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অতি স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকে প্রভাবিত করতে বাধ্য। তা ছাড়া রোহিঙ্গারা সবাই মুসলমান আর বাংলাদেশও মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশের অতীতের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এখনো কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাস করছে। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও লিপ্ত হচ্ছে। জনসংখ্যার চাপে নুয়ে পড়া বাংলাদেশের রোহিঙ্গা জনসংখ্যার অতিরিক্ত চাপে আরও পিষ্ট হওয়া অভিপ্রেত নয়। আমরা চাই এর ন্যায়ভিত্তিক মানবতাবাদী রাষ্ট্রীয় সমাধান। আমরা চাই জাতিসংঘ সংশ্লিষ্টতায় মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়োজনীয় সমাধান। এটি একটি চ্যালেঞ্জ। বিশ্বমানবতার জন্য চ্যালেঞ্জ। বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের চ্যালেঞ্জ। মানব সভ্যতার বিকাশ রক্ষায় বিশ্বসভ্যতার চ্যালেঞ্জ। ১০ লাখ মানুষের একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন না হতে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি আর্তমানবতার আর্তনাদ, তার ফরিয়াদ কখনো উপেক্ষিত হতে পারে না। ক্ষীণ হয়ে বাতাসে মিশে যেতে পারে না। বিশ্ববিবেককে তা জাগ্রত করবেই। নাড়া দেবেই। ইতিহাস তাই বলে।

     লেখক : সাবেক সেনাপ্রধান

সর্বশেষ খবর