শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সাফল্য

জাতীয় অগ্রগতির পথ দেখাবে

আজকের যুগ হলো প্রযুক্তির যুগ। কৃষি উৎপাদনেও সাফল্য পেতে হলে চাই প্রযুক্তির ব্যবহার। শিক্ষাদীক্ষা থেকে জীবনের এমন কোনো পর্যায় নেই যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। প্রযুক্তি ব্যবহারে ইন্ধন শক্তির জোগান দেয় বিদ্যুৎ। আজকের যুগে উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিতে হলে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন অপরিহার্য শর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করে। সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে কুইক রেন্টাল পদ্ধতির পথ বেছে নেওয়া হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ পদ্ধতিতে বাড়তি খরচ হলেও কম সময়ের মধ্যে ইন্ধন শক্তি জোগানের সেটিই ছিল প্রকৃষ্ট পথ। বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের সঠিক পথ বেছে নেওয়ায় গত ৭ বছরে উৎপাদন তিনগুণ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ-২০১৬ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত সাত বছরে তার সরকার ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ সময়ে এক কোটি ১৪ লাখ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সে সুবাদে দেশের ৭৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা উপভোগ করছে। উন্নয়নের প্রথম সোপানই হলো বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ। এর মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়। সেদিকে লক্ষ রেখেই সরকার বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ভুটান ও নেপালে উৎপাদন করে সে বিদ্যুৎ নিয়ে আসা হবে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের কাজ শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকার সৌরবিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এ দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে এগিয়ে নিতে ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণই শুধু নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার প্রধানের রূপরেখা আশাজাগানিয়াও বটে।  আমরা আশা করব উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যুৎ-সংক্রান্ত পরিকল্পনার বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর