শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

বিমানে শনির আছর

ফ্লাইটের নিরাপত্তার দিকে নজর দিন

বাংলাদেশ বিমানের ওপর থেকে শনির আছর কিছুতেই সরছে না। অঘটন যেন তাদের নিয়তির লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বপরিসরে যেসব বিমান সংস্থা নিকৃষ্ট বলে বিবেচিত বাংলাদেশ বিমানের অবস্থান তার ওপরের দিকে। অব্যবস্থাপনার কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিমানের সব ধরনের ফ্লাইট। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ভিআইপি ফ্লাইটও ঝুঁকিমুক্ত রাখা যাচ্ছে না। সর্বশেষ অঘটনের অবতারণা ঘটেছে ২২ ডিসেম্বর। ওমানের মাস্কাট থেকে চট্টগ্রামগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ঢাকায় জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। এ সময় উড়োজাহাজ ভারসাম্যহীনতার শিকার হওয়ায় একটি চাকা ফেটে যায়। তবে বিমানের যাত্রী ও ক্রুরা সবাই নিরাপদে ছিলেন। গত ১০ বছর দেশে-বিদেশে ছোটখাটো আটটি দুর্ঘটনায় পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। বার বার অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন ভিভিআইপি ও সাধারণ যাত্রীরা। গত জুনে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের পাইলট রানওয়েতে ধাতব বস্তু দেখতে পান। বিপজ্জনক সেই বস্তুটি সরানোর পর বিমানটি রানওয়েতে অবতরণ করে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি দীর্ঘ সময় আকাশে থাকে। ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে বিমানে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তুর্কমেনিস্তানের রাজধানীতে তা জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। এ ঘটনার জের না কাটতেই পরদিন ঢাকা-কলকাতা ফ্লাইটও দুই দফা যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হয়। এর আগে চলতি বছরের ৩ মার্চ শাহজালালের রানওয়ের শেষ প্রান্তের ব্যারিয়ার ভেঙে উড্ডয়ন করে জেদ্দাগামী বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্রাফট। অলৌকিকভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান ৩৭৪ যাত্রী। অব্যবস্থাপনার কারণেই বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইট থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ চলা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বার বার অলৌকিকভাবেই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন ভিভিআইপি ও সাধারণ যাত্রীরা। পাইলটদের অদক্ষতা, অজ্ঞতা এবং প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনায় বিমানযাত্রা যেভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে তা উদ্বেগজনক। বড় ধরনের বিপর্যয় না চাইলে বিমান কর্তৃপক্ষকে যে কোনো ফ্লাইটের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর