শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে

দরকার পর্যটনবান্ধব পরিবেশ

শীত মৌসুম শুরু হতে না হতেই দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে। তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার, সুন্দরবন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সিলেটে দেশি পর্যটকদের আনাগোনা আগের বছরের চেয়ে বেশি। তবে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা আগের তুলনায় খুব একটা বাড়েনি। শীতের আগমন শুরু হতে না হতেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রাঙামাটি। অবকাশ কাটাতে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসছেন নৈসর্গিক এ পাহাড়ি জনপদে। পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে রাঙামাটি যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শহরজুড়ে পর্যটকদের ভিড়। রাঙামাটির নৈসর্গিক পরিবেশ আর দর্শনীয় স্থান ও নিদর্শনগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ করে সহজেই। এসব আকর্ষণীয় স্পট দেখতে প্রতিবছর শীত মৌসুমে পর্যটকরা এসে ভিড় জমান। বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতেও পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তিন পার্বত্য জেলার সবকটি আবাসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসে পর্যটকদের ভিড়ে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা। লেগে রয়েছে অগ্রিম বুকিংও। এ বছর তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের আগমন বেড়েছে ব্যাপকভাবে। সরকার পর্যটন ক্ষেত্রে গতি সৃষ্টি করতে তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন বিভাগের দায়িত্ব পার্বত্য জেলা পরিষদের হাতে ছেড়ে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছ পর্যটনকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো তাত্পর্যপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। বিশ্বের বৃহত্তম বাদাবন সুন্দরবনে চলতি বছর দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। সুন্দরবন এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তায় বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ায় তা বিদেশি পর্যটকদের আগমনে উৎসাহ সৃষ্টি করছে। সুন্দরবনের সঙ্গে রাজধানীর সহজ যোগাযোগ এবং পর্যটকদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত হোটেল-মোটেলের ব্যবস্থা করতে পারলে এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে। বাংলাদেশ নদীনালা আর প্রাণকাড়া সবুজ গাছগাছালির দেশ। পর্যটকদের আকর্ষণের মনোলোভা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ায় পর্যটন খাতে বাংলাদেশের আয় সবচেয়ে কম। পর্যটনবান্ধব সংস্কৃতির অভাবে এ সীমাবদ্ধতা বিরাজ করছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি গঠনেও তা অন্তরায় বলে বিবেচিত হচ্ছে।  পর্যটন ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে হলে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর