সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অশনি সংকেত

খুনিদের বিচারের আওতায় আনুন

বিদায়ী বছরের শেষ দিনে দেশের দুই প্রান্তে সংঘটিত দুটি হত্যাকাণ্ডকে জনমনে অশনি সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর একটি ঘটেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গায়। সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনকে ফিল্মি কায়দায় গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যায় মোটরসাইকেলে আসা কিলিং মিশনের সদস্যরা। আরেক ঘটনায় খুলনা মহানগরীর ইসলামপুর সড়কের শীতলাবাড়ী মন্দিরের কাছে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেড এ মাহমুদ ডনকে লক্ষ্য করে দুই মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তকারীরা গুলি ছুড়লে সে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে শিপ্রাকুণ্ডু নামের এক পথচারী বৃদ্ধার বুকে লাগে ও তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে কিলিং মিশনের সদস্যরা পালিয়ে যায়। দেশের দুই প্রান্তে সংঘটিত দুটি বিয়োগান্ত ঘটনার একটিতে একজন সংসদ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, অন্যটিতে হত্যাকাণ্ডের টার্গেট নগর আওয়ামী লীগের নেতা রক্ষা পেলেও প্রাণ হারিয়েছেন একজন বৃদ্ধা মহিলা। সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ১৫ মাস আগে সৌরভ নামের এক শিশুকে গুলি করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। এ সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতারও হন তিনি, পরে আদালত থেকে জামিন পান। লিটন সমর্থকদের ধারণা, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর ক্যাডারদের সন্দেহ করা হচ্ছে। যে কারণেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটুক না কেন, তা একটি উদ্বেগজনক বিষয়। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে অদৃশ্য কোনো মহল দেশে সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে এমন ধারণাও করছেন অনেকে। আমরা আশা করব দুই হত্যাকাণ্ডের গ্রন্থিমোচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সচেষ্ট হবে এবং কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী ও তাদের নির্দেশদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় সোপর্দ করবে। হত্যা ষড়যন্ত্রের অপরাজনীতি সভ্য সমাজে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ অপকর্মের হোতাদের খুঁজে বের করতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা সাধ্যের সব চেষ্টা চালাবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর