মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

এমপির নিরাপত্তা নেই জনগণের উপায় কী?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

এমপির নিরাপত্তা নেই জনগণের উপায় কী?

শুভ ইংরেজি নববর্ষ ২০১৭ শুভ হোক। ২০১৬-এর সব মালিন্য, সব কালিমা ধুয়েমুছে ২০১৭ প্রস্ফুটিত তরতাজা গোলাপের মতো সৌরভ ছড়িয়ে দিক দশ দিক। অশান্তি, অস্বস্তি আর অশুভ অতিক্রম করে শুভ জয়যাত্রার শুরু হোক।

২০১৬ সালের শেষ দিনে ঘাতকের হাতে সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনের হত্যা— এ বছরের সবচেয়ে বড় ঘটনা। রাষ্ট্র যদি একজন সরকারি দলের সংসদ সদস্যের নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা কোথায়? এমন অবস্থায় রাষ্ট্রীয় সুস্থিতি নিয়ে কথা বলা কতটা শোভন? রাষ্ট্র বলছে সব ভালো। সব ভালো অথচ বছরের শেষ দিন একজন সংসদ সদস্য তার নিজের ঘরে নিহত হলেন! কী বলার থাকে পুলিশের? কী বলার থাকে গোয়েন্দাদের? কোনো কিছু ঘটার পর জামায়াত-বিএনপিকে দোষ দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাতে কোনো সমাধান পাওয়া যাবে না। জামায়াত-বিএনপি ঘটালেও যারা প্রত্যক্ষ হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত না করে গয়রহ বলা হত্যাকারীদেরই শুধু উৎসাহিত করে না, সমাজে বিশৃঙ্খলায় ইন্ধন জোগায়। মনজুরুল ইসলাম লিটন ভালো ছিলেন, কি খারাপ তা অন্য ব্যাপার। তিনি কিছু দিন আগে এক বাচ্চার গায়ে গুলি করেছিলেন সেজন্য ফাঁসি হলেও দুঃখ পেতাম না। কিন্তু সেজন্য তাকে ঘাতকের হাতে নিজের ঘরে নিদারুণভাবে জীবন দিতে হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। এখানেই সভ্যতা আর অসভ্যতার লক্ষণরেখা। এ রেখা অতিক্রমের ক্ষমতা কারও নেই। আমরা সবাই এ দুইয়ের মাঝে বন্দী। অসভ্য কর্মকাণ্ড করে সভ্যতার পাড়ে যেমন যাওয়া যায় না, তেমন শুধু সভ্য হলেই চলে না, কোনো সভ্য মানুষ অথবা গোষ্ঠী যাতে অসভ্য না হয়, সীমারেখা পার না করে তার জন্য দিবানিশি অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকতে হয়। অসতের দুর্নামের কোনো ভয় থাকে না, কিন্তু সভ্যের অসভ্য হওয়া অথবা সুনামির বদনামি হওয়ার ভয় থাকে নিরন্তর। সামান্য অসতর্ক হলেই সর্বনাশ। সেলাকের কষ্ট অনেক, অসতের চেতে শতগুণ। তাই বলে অসতের কোনো যাতনা নেই, কষ্ট নেই তেমন নয়। তাকেও কখনো কখনো অন্তর যন্ত্রণায় জ্বলেপুড়ে খাক হতে হয়। সততার জ্বালা পুড়ে ছারখার করে দেয়। তাই অসৎ হলেই যে সততার দহন থেকে সবাই মুক্তি পাবে তেমন নয়। চোর যতটা পুলিশের ভয়ে থাকে, অসেক তার চেয়ে বেশি সততার ভয়ে থাকতে হয়। সরকারি দল বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গিদের প্রতি আঙুল তুলতে পারে। তাদের গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু তা কোনো সমাধান নয়।

আমরা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে আজ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনের বাড়ি যাচ্ছি। যাচ্ছি কী ধরনের পরিবেশে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে তা দেখতে। যদিও মৃত্যুর পর আর কিছু করার থাকে না। কিন্তু আর যাতে অমনটা না ঘটে সেজন্য যতটা সম্ভব চোখের দেখা দেখতে যাচ্ছি। সরকারি দল একের পর এক বলে চলেছে এটা সরকারবিরোধীদের কাজ। যদি তাও হয় সরকারকে এসবের যথাযথ প্রতিকার করতে হবে। তাই কেন যেন বলতে ইচ্ছা করে এইচ টি ইমামের ‘মতবাদ’— ‘ছাত্রলীগের কোনো ছেলে ছাড়া কাউকে চাকরিতে নেওয়া যাবে না। বিশেষ করে পুলিশ বিভাগে।’ যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা না করে দলকানাদের দিয়ে পদ-পদবি পূরণ করলে কেমন হয় সরকার এখনো যদি তা হাড়ে হাড়ে টের না পায় তাহলে কখন পাবে। তাড়াতাড়ি, অতি তাড়াতাড়ি ধরে ফেলব এসব বলা সোজা, প্রকৃত অপরাধীকে ধরা সোজা নয়। তাই বিশেষ করে পুলিশ বিভাগে শুধু নিজের দলীয় ক্যাডারদের নয়, যোগ্যতা দেখেও লোকজন নেওয়া দরকার। গোয়েন্দাদের কাজ ঘটনার পরে নয়, ঘটনার আগেই চিহ্নিত করে প্রতিরোধ করা। রোগের চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ উত্তম।

বাঙালি জাতির জন্য ২০১৬ সালের শ্রেষ্ঠ কলঙ্ক জেলা পরিষদ নির্বাচন। ষাটের দশকের আইয়ুব-মোনায়েমের ‘বেসিক ডেমোক্রেসি’র নির্বাচন। জেলা পরিষদের পরোক্ষ নির্বাচন শতভাগ সংবিধানবিরোধী হলো। আমরা সারা জীবন প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করেছি অথচ জেলা পরিষদ নির্বাচন পরোক্ষ ভোটে। আগে থেকে নির্বাচিতরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন? ষাটের দশকে আমরা আইয়ুব খানের এমন স্বাদ মিটিয়ে দিয়েছিলাম। সেটাই আমাদের রক্তে-ঘামে অর্জিত স্বাধীন দেশে অনুষ্ঠিত হলো। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে? আইয়ুবের প্রেতাত্মা যদি কবর থেকে বলে, “হে বাঙালি! তোমাদের নেতার কন্যার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত আমি আমার স্বপ্ন ‘বেসিক ডেমোক্রেসি’ বাস্তবায়ন করলাম।” আমাদের উত্তর কী? কিছু দিন যাবৎ কেউ কেউ আদাজল খেয়ে লেগেছেন লুইকানের নকশা বাস্তবায়ন করবেন। লুইকানের নকশা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বাংলাদেশের বুকে আইয়ুব খানকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি না। সবুর খানসহ কয়েকজনের কবর ফেলে দেবেন, তা ভিন্ন কথা, জিয়াউর রহমানের কবর সরাবেন, তাও অন্য ব্যাপার। কেউ কখনো জনপ্রিয় হলেই যত্রতত্র কবর দেওয়া ভালো নয়। তাতে মাটি নষ্ট হয়, যেখানে-সেখানে কবর দেওয়া কোরআনেও বারণ। আর সব কবরই রাখতে হবে, সেখানে নতুনকে কবর দেওয়া যাবে না, তাও ঠিক নয়। এসব করে সমাজে অশান্তি বাড়ে। যে কথা শুরু করেছিলাম, তা হলো ‘বেসিক ডেমোক্রেসি’। কাজটা ভালো হয়নি। এখন হয়তো অনেকেই হাততালি দেবেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রীর কত বড় ক্ষতি যে করলেন শতবর্ষ পর বুঝতে পারবেন। দেশের চরম দুঃসময়ে লিটনের মতো পরপর চারজন সংসদ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে, কাউকে আবার ঈদের মাঠে হত্যা করা হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেশে শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন এনেছিলেন; যা অনেকেই সহ্য করেননি। এখনো নানা জন নানা কথা বলেন। যে যাই বলুন, পরোক্ষ নির্বাচনে জেলা পরিষদ নির্বাচন ভাবীকালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রীর রাজনীতির ওপর মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি করবে।

গত ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহীদস্মৃতি পৌর উদ্যানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭২-এর ২৪ জানুয়ারি বিন্দুবাসিনী স্কুল মাঠে বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিলাম। আর পৌর উদ্যানে পিতা-পুত্র মিলে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। যদিও সেই ভিত এখনো আছে, শুধু প্রস্তরফলকটি সরিয়ে রাখা হয়েছে। বিএনপির সময় সেটি লাগানো হয়নি তাতে বঙ্গবন্ধুর নাম আছে, আওয়ামী লীগের সময় ফলকটি গুদামে পড়ে আছে কারণ তাতে আমার নাম আছে। শিল-পাটায় ঘষাঘষি মরিচের জান ক্ষয়— এটা যে কবে শেষ হবে কেউ জানে না।

যেহেতু একেবারে চোখের সামনে ছিল বিন্দুবাসিনী স্কুল তাই বলেছিলাম, ‘বঙ্গবন্ধুর পায়ের সামনে অস্ত্র বিছিয়ে না দিয়ে যদি কারও ঘাড়ে তুলে দিতাম তাহলেও সে সময় কারও আপত্তি করার কোনো পথ ছিল না। তবে কি পিতা ও নেতাকে অতটা সম্মান দেখিয়ে আমরা ভুল করেছিলাম?’ নবীন সাংবাদিক বন্ধুরা যারা ছোট ছোট নোটবই হাতে লেখেন তারা আমার কথার ভাবার্থ হৃদয়ঙ্গম করেননি বা করতে পারেননি। অনেক ক্ষেত্রেই এমনটা দেখি। সাক্ষাৎকার নিতে এলে যেভাবে যা বলি সেভাবে তা তুলে ধরেন না বা ধরতে পারেন না। কী দোষ দেব তাদের? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি শিক্ষা না হয়, সবাইকে পাস দেওয়া হয় তাহলে তো আর খুব বেশি লতিফ সিদ্দিকী পাওয়া যাবে না। যিনি একবার কলম ধরে ৩০ পৃষ্ঠা লিখলেও নিয়াজির মতো তার কলমের কালি ফুরোয় না। আমার মতো কোনো লেখা তিন-চার বার কেটেছেঁটে পাঠযোগ্য করতে হয় না। ২০১৬ সালের শেষের দিকটা অন্তত আমার খুব উত্কণ্ঠায় কেটেছে। বিমানের নটর-বটর আমি খুব সহজভাবে নিতে পারিনি। সারা জীবন নাট-বল্টু জোড়াতালি দেওয়া মানুষ আমি। কেন অমন হলো? বিমানের নাট কেন খুলে রাখা হলো? তাহলে যারা দেখাশোনা করেন তাদের দেখাশোনা করার চেয়ে না করাই ভালো। বড় বেশি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেননের পদত্যাগ কামনা করেছিলাম। ভেবেছিলাম সোজা আঙুলেই ঘি উঠবে। এখন দেখছি আঙুল বাঁকা না করলে চলবে না। কিন্তু ঘি যে আমাকে তুলতেই হবে। চোখ-কান খোলা রেখে সারা জীবন চলেছি, এখন কি সেসব বন্ধ করলে চলবে? কখনো না। নতুন বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনার এই ব্যর্থ মন্ত্রীকে বরখাস্ত করুন।

আপনার মনে যদি মন্ত্রীকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে ঘোষণা দিন, কে কে আপনার এই রাশেদ খান মেননকে চান, আর কে কে চান না। হাত তুলতে বলতে পারেন। বলতে পারেন, যারা চান তারা দাঁড়িয়ে পড়ুন আর যারা চান না তারা চলতে থাকুন। আরও যদি পরিষ্কার হতে চান, হোক না এই ভদ্রলোককে নিয়ে একটা গণভোট। কে চায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে, কে চায় না। প্রমাণ হয়ে যাক। কিন্তু আর এ বোঝা বয়ে বেড়াবেন না। সময় থাকতে সাবধান হোন। নাকি বিমানের কলাকুশলীদের বার বার যেভাবে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, ঠিক সেভাবে রিমান্ডে নেওয়ার আগে তিনি মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন না— এটা তো খুব একটা ভালো নজির হবে না। তার আগেই তাকে সরিয়ে দিন।

সেদিন মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা করে ফেরার পথে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম ছিল। বিজয় সরণি ফ্লাইওভারের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলাম। একজন লোক গাড়িতে গাড়িতে হাত পাতছিল। কারও হাত পাতা আমার কাছে খুব কষ্ট লাগে। তবু অহরহ হাত পাততে দেখি। অনেকে ভাবে রাস্তাঘাটে ভিক্ষুকের ছড়াছড়ি। আমিও মাঝেমধ্যে ভাবী যারা গাড়ি-ঘোড়ায় চলেন তারা, না যারা রাস্তায় হাত পাতেন তারা আল্লাহর কাছে বড় ভিক্ষুক। লোকটি কাছাকাছি এলে বুঝতে পেলাম দেখতে পান না। কাছে এলে ভদ্রলোককে একটা টাকা দিয়েছিলাম। মনে হয় প্রায় দেড়-দুই মাস টাকাটা বঙ্গবন্ধু কোটের পকেটে ছিল। অত দিন কোনো টাকা আমার পকেটে খুব একটা থাকে না। কেন যেন সেটা ছিল। ১০০ টাকার একটা খুবই ময়লা নোট লোকটির হাতে দিলে মিনিটখানেক পরে কত টাকা তা বুঝতে পেরে তিনি হয়তো একটু অবাক হয়েছিলেন। আমি অনেক আগে থেকে জানি, যারা দেখতে পান না তারা কী করে টাকা চেনেন। ও রকম একটা টাকা বুঝতে পেরে তিনি আবার এসে আমার গায়ে-মাথায় হাত বোলান। গাড়িটা হাতিয়ে হাতিয়ে সামনের দিকে গেলে ফ্ল্যাগস্ট্যান্ডে গামছায় হাত পড়লে ফিরে এসে আবার হাত ধরেন। প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি গামছার লোক? আপনি কি কাদের সিদ্দিকী? আপনি কি প্রতিদিনে লেখেন?’ সবটি প্রশ্নে একে একে যখন হ্যাঁ বলি তখন তার মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, ‘আমি আপনার প্রতিদিনের লেখা পড়ি। লেখাগুলো জমিয়ে রাখি।’ আমি বললাম, আপনি দেখতে পান না, আমার লেখা পড়েন কী করে? তিনি একটু থতমত খেয়ে বললেন, ‘আমি দেখতে পাই না বলে পড়তে পারি না। অন্যকে দিয়ে পড়াই।’ কোথায় থাকেন? ‘র্যাংগসের পেছনে পীর মা মসজিদে।’ তাকে কথা দিয়েছি একদিন দেখতে যাব। আল্লাহ মঞ্জুর করলে অবশ্যই যাব। লোকটির কথা শুনে আমার স্ত্রী বড় অবাক হয়েছিলেন। পেছন থেকে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন, ‘রাস্তায় ভিক্ষা করা ফকিরও তোমায় কত ভালোবাসে। তুমি তাদের জন্য কাজ কর। তুমি তাদের কথা ভাবো আমরা তোমার কোনো বাধা হব না।’ চোখের পানি ফেরাতে পারিনি। মা-বাবা, বড় ভাই-বোনেরা দোয়া করেন। কোনো স্ত্রী স্বামীর মাথায় হাত দিয়ে অমন দোয়া করতে পারেন তা অভাবনীয়।

কবে যেন বিজয় সরণিতে জ্যামে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এক সিএনজি চালক ছুটে এসে হাত ধরে বললেন, ‘আমি সিএনজি চালকদের পক্ষ থেকে বলছি, আপনি মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের কথা বলুন। তাদের দুর্দশা, তাদের আশ্রয় নিয়ে লিখুন।’ তার মাথায় হাত দিয়ে বলেছিলাম, যতক্ষণ শ্বাস থাকবে ততক্ষণ অবশ্য অবশ্যই মানবতা রক্ষায় মুসলিম উম্মাহর দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়াব। সরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বার বার অনুরোধ করব, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জীবন-সম্ভ্রম বাঁচান, মানবতা রক্ষায় বিশ্বজুড়ে জনমত গঠনে সক্রিয় হোন।

    লেখক : রাজনীতিক।

সর্বশেষ খবর