বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

নকল ভেজাল প্রসাধনী

অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নকল ভেজালের দৌরাত্ম্যে আসল পণ্য খুঁজে পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন কোনো খাদ্যপণ্য নেই যেখানে ভেজাল নেই। ফলমূল কিনেও প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। মাছ-মাংস, ফলমূল, শাক-সবজি তাজা রাখতে এ দেশে অহরহ ব্যবহৃত হয় ফরমালিনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ। ফল পাকাতেও রাসায়নিকের ব্যবহার চলে যথেচ্ছভাবে। নামিদামি বিদেশি প্রসাধন ব্যবহারও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নকলবাজদের দৌরাত্ম্যে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুল্ক গোয়েন্দাদের আটককৃত বিদেশি নকল প্রসাধনীতে মিথানল-হাইড্রোকার্বন নামের বিষাক্ত রাসায়নিক পাওয়া গেছে। রাজধানীতে বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী আটকের পর র‌্যাবের ফরেনসিক ল্যাবের পরীক্ষায় ক্ষতিকর এ বিষের সন্ধান মিলেছে। বাজারে যেসব বিদেশি প্রসাধনী পাওয়া যায়, তা বাইরে থেকে মনে হয় আমদানি করা বিদেশি পণ্য। পণ্যের মোড়ক দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটা আসলে স্থানীয়ভাবে তৈরি নকল পণ্য। এসব পণ্যের কৌটা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এমনকি প্যাকেজিংটাও বাইরে থেকে আনা হয়। এখানে শুধু ছোট্ট একটা মেশিন দিয়ে রিফিল করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের পক্ষ থেকে মানুষের শরীর ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এমন বেশ কিছু পণ্যের নমুনা র‌্যাবের পরীক্ষাগারসহ অন্যান্য পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব পণ্য নকল ও ভেজাল এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। সোজা কথায় দেশের মানুষ যেসব নকল প্রসাধনী বিদেশি পণ্য হিসেবে কিনছে তাতে রয়েছে অত্যন্ত ক্ষতিকর বিষ। মানুষ প্রসাধন ব্যবহার করে সুন্দর থাকার জন্য। কিন্তু নকল ভেজাল বিদেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। জনস্বার্থেই প্রসাধনী নকল ভেজালের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল সব সংস্থাকে সক্রিয় হতে হবে।  নকল ভেজালের মতো জঘন্য অপরাধ দমনে অপরাধীদের কঠিন সাজা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর