রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে

বিপদ এড়াতে সতর্কতার বিকল্প নেই

দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে চলেছে। বাড়ছে জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। বেশির ভাগ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে। ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক উপকরণ ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলা বিপর্যয় ডেকে আনছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছর গড়ে অন্তত ১৬ হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। গত ৮ বছরে সারা দেশে ১ লাখ ৩০ হাজার ২১৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৯২৮ জন। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৮২৫ জন। ক্ষতির পরিমাণ সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে ঘটছে। দেশে বিদ্যুৎ ও আগুনের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও বাড়ছে। অগ্নিকাণ্ড কখন ঘটবে সে বিষয়টি অনুমান করার উপায় নেই। তবে সচেতন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। এ জন্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, তার ইত্যাদি ব্যবহারের সময় তার মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। বাড়িঘর কলকারখানায় অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা থাকতে হবে।  কোথাও আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে জানালেও প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির কারণে বড় অগ্নিকাণ্ড সবার দৃষ্টি কাড়লেও প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও আগুনের ঘটনা ঘটছে। বৈদ্যুতিক ত্রুটির পাশাপাশি সিগারেটের আগুন, গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার, রাসায়নিক দ্রব্য, বিস্ফোরণ, আগুন নিয়ে খেলা ও অসতর্কতাসহ নানা কারণে ঘটছে প্রলয়ঙ্করী অগ্নিকাণ্ড। নাশকতার কারণেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, সব কিছু পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে বিপুল সংখ্যক মানুষের হতাহতের ঘটনা যেমন ঘটছে তেমন ভস্মীভূত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। বছরে গড়ে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। পাঁচ বছরের মধ্যে গত বছর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কিছুটা কমে এলেও চলতি বছরের শুরুতেই গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষয়ক্ষতি

হয়েছে তার পরিমাণ পাঁচ থেকে ছয়শ কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে।  এ দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত নির্ণয় করা না গেলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে ঘটেছে এ বিপর্যয়।  এ ব্যাপারে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা যে কিছুটা হলেও কমানো যাবে সহজেই অনুমেয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর