শিরোনাম
সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রস্তাবিত তিস্তা চুক্তি

বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন কাম্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরকালেই তিস্তাচুক্তি সম্পাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, এ চুক্তির জন্য অভ্যন্তরীণ ঐকমত্যের চেষ্টা চলছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মতৈক্যের ব্যাপারেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিস্তাচুক্তি সম্পাদনে সময় ক্ষেপণ দুই বন্ধুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কালো মেঘ হয়ে বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালেই এ চুক্তি সম্পাদনের কথা ছিল। দুই দেশ পানির কতটুকু হিস্যা পাবে সে ব্যাপারেও কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রস্তাবিত সে চুক্তি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তিতে। সে সময় বলা হয়েছিল তিস্তাচুক্তির বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তরিকতায় ঘাটতি নেই। সময়মতো এ চুক্তি সম্পন্ন করার ব্যাপারে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ডিসেম্বরের ভারত সফর স্থগিত রাখা হয় দুই পক্ষের সম্মতিতে। প্রকাশ্যে এ বিষয়ে আলোকপাত করা না হলেও সফর স্থগিতের কারণ ছিল তিস্তাচুক্তির প্রস্তুতি না থাকা। মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি ইতিমধ্যে দায়িত্ব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে। সমঝোতায় রাজি না হলে মোদি মমতা ব্যানার্জিকে উপেক্ষা করে হলেও তিস্তাচুক্তির উদ্যোগ নেবেন এমন কথাও জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে কূটনীতিক মহলে। উজানে পানি প্রত্যাহার তিস্তা অববাহিকার লাখ লাখ মানুষের জন্য দুর্ভোগ বয়ে এনেছে। তিস্তা চুক্তির অনিশ্চয়তা দুই পক্ষের সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি করছে। স্মর্তব্য, তিস্তা নদীর পানি প্রত্যাহার হচ্ছে গজালডোবা ব্যারাজের মাধ্যমে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প এটি। সেহেতু এ প্রকল্প থেকে কতটা পানি প্রবাহের সুযোগ দেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারেরই হাতে। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের স্বার্থে ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে দ্রুত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর