মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

রেলক্রসিং দুর্ঘটনা

সতর্কতার বিকল্প নেই

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রবিবার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে একটি প্রাইভেট কার। ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছেন এর আরোহী একই পরিবারের চার সদস্যসহ পাঁচজন। রুবাইদা নুসরাত রিভা নামে এক শিশুর জন্য রবিবার ছিল প্রথম স্কুলে যাওয়ার দিন। মা, চাচি ও চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার সময় কালিয়াকৈর উপজেলার গোয়ালবাথান গ্রামে অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়। কলকাতাগামী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস ধাক্কা দিলে প্রাইভেট কারটি ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে গিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার সামনে চলে যায়। সেখানে ভোঙ্গামারী ব্রিজে ট্রেনটি উঠলে ব্রিজের ফাঁক গলে প্রাইভেট কারের চূর্ণবিচূর্ণ অংশসহ পাঁচজনের ছিন্নভিন্ন দেহ নিচে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়লে রাজধানীর সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ৫ ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন থাকে। রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। রেলক্রসিংগুলোর একাংশে ট্রেন অতিক্রম করার সময় সড়ক পারাপার বন্ধের ব্যবস্থা থাকলেও বেশির ভাগ রেলক্রসিংই অরক্ষিত। যানবাহন চালকদের অসতর্কতায় এসব অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। রবিবার কালিয়াকৈরের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা তারই একটি অংশ। সংশ্লিষ্ট রেলক্রসিংয়ে গত বছর এক বাবা ও মেয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। ধারেকাছের এলাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে এ রেলক্রসিং পার হতে হয়। রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান থাকলে এ ধরনের দুর্ঘটনা যে এড়ানো যেত তা সহজেই অনুমেয়। আমরা আশা করব রেলক্রসিংয়ের দুর্ঘটনা রোধে রেলওয়ের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি রেলক্রসিং পারাপারে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর