রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

টাইগারদের সাবাশ

ক্রিকেট দলের পাশে সর্বাবস্থায় থাকতে হবে

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন টেস্টের ফলাফল কী হবে তা জানতে খেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলাফল যাই হোক বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসে ৫৯৫ রান করে প্রমাণ রেখেছে দেশেই শুধু তারা বাঘ নয়, বিদেশেও গর্জনের ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টির ফলাফল দৃশ্যত নেতিবাচক। সবকটি ম্যাচেই হেরেছে টাইগাররা। ভিন্ন পরিবেশে একটা দল কয়েক বছর পর খেলতে নেমেই সাফল্য অর্জন করবে এমন ভাবনা অবিবেচনাপ্রসূত। ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টির সব খেলায় হারলেও টাইগাররা মানসিকভাবে যে পরাজিত হয়নি তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় দিক। টেস্টে তাদের রাজকীয় উত্থান সে সত্যকেই তুলে ধরেছে। বৈরী পরিবেশকে অগ্রাহ্য করে টাইগাররা তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করেছে আট উইকেটে ৫৯৫ রানের সম্বল নিয়ে। এ খেলায় সাকিব ২১৭ রান করে সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তাকে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার বলে অভিহিত করা হয়। সাকিব ও মুশফিক জুটির ৩৫৯ রান নিউজিল্যান্ড সফরকারী কোনো দলের সর্বোচ্চ রান হিসেবে স্থান পেয়েছে রেকর্ড বুকে। নিউজিল্যান্ডের দর্শকরাও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ দলের। ক্রিকেট এমন এক খেলা যা নিয়ে আগেভাগে মন্তব্য করার সুযোগ নেই। ক্রিকেটের তিন ফর্মের মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ান ডে ফর্ম আন্তর্জাতিকমানের। টি-টোয়েন্টিতেও টাইগাররা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। এর বিপরীতে টেস্টে এখনো বাংলাদেশকে শিক্ষানবিস দল হিসেবে ভাবা হয়। কিন্তু সে টেস্টেও বাংলাদেশ আড়ষ্টতা ভেঙে উঠে দাঁড়িয়েছে— ওয়েলিংটনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টাইগারদের প্রথম ইনিংসের দাপুটে খেলা তারই প্রমাণ। বলা যায়, গাইগাররা পৃথিবীর সবচেয়ে উন্মাতাল বাতাসের শহর ওয়ালিংটনে বুক চিতিয়ে খেলে ক্রিকেট বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে তাদের সম্ভাবনার কথা। ক্রিকেটকে বলা হয় অনিশ্চয়তার খেলা। ভদ্রলোকদের এ খেলায় ধৈর্য রাখতে হয়। তা যেমন খেলোয়াড়দের জন্য প্রযোজ্য তেমন সমর্থকদের জন্যও। দেশের ক্রিকেটের প্রতি আমাদের একাংশের ধৈর্যচ্যুতির মনোভাব সে বিবেচনায় অনাকাঙ্ক্ষিত।  দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে ক্রিকেটারদের মনোবল টিকিয়ে রাখার জন্যই জয়-পরাজয় যাই হোক সর্বাবস্থায় তাদের সমর্থন জোগাতে হবে। এ ব্যাপারে সবারই সচেতনতা সময়ের দাবি।  হার না মানা টাইগারদের সাবাশ!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর