রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

শিশু সুরক্ষায় আইন

সামাজিক কমিটি গঠনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়

শিশু সুরক্ষায় সমাজভিত্তিক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। শিশু অধিকার রক্ষায় এ কমিটি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে এমনটিও আশা করা হচ্ছে। এ উদ্দেশে শিশু আইন-২০১৩ সংশোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রস্তাবিত সংশোধনীটি পাস হলে শিশু সুরক্ষায় দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে সমাজভিত্তিক কমিটি গঠন করা হবে। ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরকে এ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে। শিশুদের স্কুলগামী করা, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সামাজিক কমিটি অবদান রাখবে। শিশুর ওপর যৌন নির্যাতন, শিশু পাচার ইত্যাদি অপরাধ দমনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এ কমিটি। তারা পুলিশকে এ সম্পর্কিত তথ্যাদি জানাবে। শিশুর ওপর শারীরিক ও মানসিক শাস্তির প্রতিরোধে এর কুফল সম্পর্কে কমিটি পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার চেষ্টা করবে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুর পরিবার যাতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার প্রদত্ত নানা ধরনের সেবা পায় সে জন্যও কমিটি সহায়তা করবে। শিশুদের সুরক্ষায় সামাজিক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক ঘটনা। আজকের শিশুই আগামী দিনের নাগরিক। আগামী দিনের দেশ ও জাতির কর্ণধারও তারা। শিশুদের আমরা কতটা ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারব তার ওপর দেশের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভরশীল। দুনিয়ার সব সভ্য সমাজে শিশু সুরক্ষাকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় বলে ভাবা হয়। শিশুরা যাতে ঠিকমতো স্কুলে যায়, মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে— সে বিষয়ে নজর দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকার শিশু সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে শিক্ষা, বিনামূল্যে বই প্রদান এমনকি খাদ্য প্রদানের কর্মসূচি তারই প্রমাণ। সমাজভিত্তিক কমিটি গঠিত হলে শিশু সুরক্ষায় তারা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের এ কমিটির প্রধান করার সিদ্ধান্তও ইতিবাচক। এর ফলে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলররা শিশু সুরক্ষার ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাবেন।  মাতৃসুলভ মমতায় তারা প্রাপ্ত দায়িত্ব পালনের উদ্যোগ নিলে তা দেশের শিশুদের অধিকার রক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর