সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ

গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে

মাঘের শীত বাঘের গায় এই প্রবচনকে সার্থক করে মাসের প্রথম দিনেই দেশের উত্তর ও দক্ষিণে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। গত শনিবার রংপুরের তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে তাপমাত্রা নেমে আসে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাজধানীর পড়শি টাঙ্গাইলেও তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একদিকে শীত অন্যদিকে কুয়াশায় জনজীবনে নেমে আসে অসহনীয় ভোগান্তি। শীত বাড়ার সঙ্গে সারা দেশে শীতজনিত অসুখ-বিসুখের বিস্তার হাজার হাজার মানুষের কষ্ট বাড়িয়েছে। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর কোনো কোনো এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহভাবে। বিশেষ করে দরিদ্রজনদের জন্য শৈত্যপ্রবাহ সীমাহীন দুর্ভোগ বয়ে এনেছে। শীতের কারণে হাজার হাজার শিশু ফুসফুস ও শাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বৃদ্ধদের জন্যও প্রচণ্ড শীত কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীতে শনিবার সকালে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হলেও দেশের অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রা ছিল আরও কম। শীত ও কুয়াশায় দিনমজুরসহ সাধারণ শ্রমিকদের অনেককেই বেকার হয়ে ঘরে অবস্থান করতে হয়েছে। কুয়াশায় ফেরি যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে। নৌযান চলাচলেও সৃষ্টি হচ্ছে বাধাবিঘ্ন। সড়কপথেও বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। শীত শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করেছে সারা দেশে। শৈত্যপ্রবাহ দেশের গরিব মানুষের জন্য অবর্ণনীয় দুর্ভোগ বয়ে এনেছে। শীত নিবারণের পোশাক ও কাঁথা কম্বলের অভাব তাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলছে। এ সময় দেশের সম্পন্ন মানুষের উচিত শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো। সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হলেও সন্দেহ নেই গরিবদের এক ক্ষুদ্র অংশের প্রয়োজন মিটাতে তা সাহায্য করছে। সমাজের অবস্থাপন্ন মানুষ এ ব্যাপারে হাত বাড়ালে তা শীত নিবারণে সহায়ক হবে। শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি শীতে যেসব ক্ষেত্রে অভাবী মানুষদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে তাদের পাশে দাঁড়াতে সবারই এগিয়ে আসা উচিত। মানুষ মানুষের জন্য। শীত আমাদের মানবিকতার দুয়ার খুলে দিলে তা গরিব মানুষদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তি বয়ে আনবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর