বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অপারেশন থান্ডারবার্ড

তিন আপদের বিরুদ্ধে লড়াই সফল হোক

চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে এ মাস থেকেই শুরু হচ্ছে বিশেষ অভিযান। অপারেশন থান্ডারবার্ড নামের এই অভিযানে চোরাচালানি, শুল্ক ফাঁকি এবং অর্থ পাচারকারীদের ছাই দিয়ে ধরার চেষ্টা করা হবে। চলতি মাসের ৩০ জানুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশসহ ৩৩টি দেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে রিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজোঁ অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (রাইলো এপি)-এর উদ্যোগে। যৌথ এই অভিযানে পুলিশ ও কাস্টমস সক্রিয় থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি ও অর্থ পাচার একটি বিশ্বজনীন সমস্যা। বাংলাদেশসহ ৩৩টি দেশ অর্থনীতির আপদ হিসেবে আবির্ভূত এ বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করলে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে তা অবদান রাখবে। চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি ও অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিচ্ছে। বাংলাদেশের পরিশ্রমী মানুষ  দেশে-বিদেশে গতর খেটে যে অর্থ উপার্জন করছে তা নির্বিবাদে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। এই তিন বিপদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করা সম্ভব হলে অবৈধ বাণিজ্যের রাশ টেনে ধরা এবং দেশে বৈধ বাণিজ্যের সুযোগ বাড়ানো সম্ভব হবে। এ অভিযানে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। এনবিআর চেয়ারম্যান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, অপারেশন থান্ডারবার্ড চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি ও অর্থ পাচারের পাশাপাশি বাণিজ্য নিরাপত্তা, বাণিজ্য সহায়তা ও আঞ্চলিক সহায়তা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করবে। সরকার উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে অবৈধ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ উদ্দেশ্যে বিশ্ব শুল্ক সংস্থার অধীনে রাইলো এপি গত বছরের ৪ থেকে ২৩ জুলাই অপারেশন আইরিন নামের অভিযান চালায়। ওই অভিযানে কাস্টমসের সঙ্গে জড়িত ছিল র‌্যাব। এবার থাকবে পুলিশ। গত বছর পরিচালিত অপারেশন আইরিনে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ব্যাপক অবৈধ পণ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়। অপারেশন থান্ডারবার্ড যাতে আরও কার্যকর অভিযানে রূপ নেয় তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।  অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপদ সৃষ্টিকারী তিন আপদের বিরুদ্ধে এ অভিযান বৈধ ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সুনাম বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়। তা নিশ্চিত করতে অভিযানকারীদের দেশপ্রেম সুলভ মনোভাব নিয়েই এগোতে হবে।

সর্বশেষ খবর