শিরোনাম
শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেয়ারবাজারের উত্থান

সরকারকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে

শেয়ারবাজারে গহনা-জমি বিক্রি করে বিনিয়োগের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে দিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে তারা বলেছেন, বর্তমানে সূচক যে পর্যায়ে গেছে তা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। শেয়ারবাজারের লেনদেন যেখানে পৌঁছেছে তা সামাল দেওয়ার দক্ষতা ও সক্ষমতাও তাদের আছে। শেয়ারবাজারে হুজুগে পড়ে বিনিয়োগ করে ২০১০ সালে লাখ লাখ মানুষ দেউলিয়ার শিকার হন। সে প্রেক্ষাপটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এই হুঁশিয়ারি নিঃসন্দেহে একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। সম্প্রতি শেয়ারবাজারে হঠাৎ করে মূল্য উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই সতর্ক বাণী উচ্চারণ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কেবল তাদেরই শেয়ারবাজারে আসা উচিত, যাদের উদ্বৃত্ত অর্থ রয়েছে। উদ্বৃত্ত অর্থের পুরোটাও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা উচিত নয়। কারণ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও প্রতিটি শেয়ারের অপর নাম ঝুঁকি। সাম্প্রতিক সময়ে লেনদেন বাড়ার কারণ হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, ২০১০ সালে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ৮ হাজার ৭০০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ২১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ায় তার একটা স্বাভাবিক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। আমাদের দেশে অর্থবাজারের সঙ্গে পুঁজিবাজারের তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে অর্থবাজারের কারণে। দেশে শিল্প-বাণিজ্য যা কিছু হচ্ছে তার সিংহভাগই হচ্ছে অর্থবাজারের মাধ্যমে। তাই দেশের অর্থনীতি ভালো বলে পুঁজিবাজার চাঙ্গা হচ্ছে, এমন ধারণা যুক্তিযুক্ত নয়। পুঁজিবাজারের মতলববাজ খেলোয়াড়রা যাতে বড় রকমের কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, সে জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তীক্ষ নজর রাখতে হবে। শেয়ারবাজারের উত্থান প্রবণতাকে ডিএসইর পক্ষ থেকে ভয়ের কিছু নেই বলা হলেও এটিকে খুব বেশি স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত বলে ভাবার অবকাশও নেই।  ২০১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির তিক্ত অভিজ্ঞতায় এ বিষয়ে সরকারকেও চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর