রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইতিহাস

লুটেরা তৈমুর লং

লুটেরা তৈমুর লং

ভারতে অবস্থান করার ইচ্ছা তৈমুরের ছিল না। ২৫ দিন অবস্থান করার পর অসংখ্য ক্রীতদাস ও অগণিত লুণ্ঠিত সম্পাদকসহ তিনি দিল্লি ত্যাগ করেন। প্রত্যাবর্তনের পর তিনি মিরাট বিধ্বস্ত করেন, আগ্রা অধিকার ও জম্মু লুণ্ঠন করেন। তিনি খিজির খানকে মুলতান, লাহোর ও দিপালপুরের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে যান। অতঃপর ভয় ও ধ্বংস, দুর্ভিক্ষ ও সড়কের এক ভীতিপ্রদ কাহিনী পশ্চাতে রেখে তিনি ভারত ত্যাগ করেন।

তৈমুরের ভারত আক্রমণের ফলে এদেশের জনবল ও ধনবলের যে মারাত্মক ক্ষতি হয়, তা পূরণ করতে প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগেছিল। হাজার হাজার নিরীহ লোকের জীবন তিনি বিনষ্ট করেছিলেন। অনেক নগর ও গ্রাম অত্যাচারের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল এবং অনেক জমি মরুভূমিতে পরিণত হয়েছিল। যেসব প্রদেশের ওপর তিনি বিজয়াভিযান পরিচালনা করেছিলেন, সেখানে শাসনব্যবস্থায় অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। গুদামজাত শস্য ও রোপিত শস্যের ব্যাপক ধ্বংসের ফলে দেশে দুর্ভিক্ষের প্রাদুর্ভাব ঘটে এবং সেই সঙ্গে মহামারী দেখা দেয়। ফলে দেশবাসীর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। ঐতিহাসিক বাদাউনী বলেন, যারা তৈমুরের অত্যাচার হতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিল, তারা কিছুদিনের মধ্যেই দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর কবলে পড়ে মৃত্যুবরণ করে। দুই মাস ধরে দিল্লি শহরের আকাশে কোনো পাখি উড়েনি।

তৈমুরের আক্রমণ দিল্লির সালতানাতকেও দুর্বল করে ফেলে এবং পতনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

—জাফর খান

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর