তৈমুরের আক্রমণের ফলে ভারতীয় শিল্পকলার যথেষ্ট ক্ষতি হয়। তিনি এ দেশের বহু শহর ও অট্টালিকা ধ্বংস করেছিলেন। কিন্তু ভারতে বহু নগর ও অট্টালিকা বিধ্বস্ত হলেও তার আক্রমণের ফলে মধ্য এশিয়া ভারতীয় শিল্পকলা বিস্তার লাভ করে। তৈমুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের সময় এ দেশ থেকে অনেক শিল্পী ও নির্মাতা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। এসব শিল্পী সমরকন্দে সুন্দর সুন্দর অট্টালিকা নির্মাণ করেছিলেন। এভাবে মধ্য এশিয়ায় ভারতীয় শিল্পকলা প্রবেশ লাভ করে। তৈমুরের আক্রমণ তুঘলক বংশের ওপর একটি মারাত্মক আঘাত হানে। সুলতান মাহমুদ শাহের পরাজয়ের পর সাম্রাজ্যে নিদারুণ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন প্রদেশের শাসনকর্তারা স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এতে কেন্দ্রীয় শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তৈমুর ভারত ত্যাগ করলে মাহমুদ শাহ দিল্লিতে ফিরে আসেন। ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করলেও তিনি তা ভোগ করতে পারেননি। ১৪১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন।