শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সংলাপ মধ্যস্থতা আলোচনা ব্যর্থ হয় কেন

আমীর খসরু

সংলাপ মধ্যস্থতা আলোচনা ব্যর্থ হয় কেন

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক সংলাপ ও আলাপ-আলোচনা, এমনকি মধ্যস্থতার ইতিহাস কোনোক্রমেই সুখকর নয়। এ কারণে সব সময়ই পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা কিংবা সংলাপের কথা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বহুবার উচ্চারিত এবং কয়েকবার অনুষ্ঠিত হলেও, কোনোটিতেই সংকটের কোনোই সমাধান আসেনি। এর পেছনে নানা যুক্তি খুঁজে দেখা যেতে পারে এবং অনেকে নানা যুক্তি খুঁজেও থাকেন। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এ পর্যন্ত প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল কখনোই কার্যকর, স্থিতিশীল এবং সচল-সজীব গণতন্ত্রের স্বপক্ষে কোনো ইতিবাচক কাজ করেনি। এ বিষয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা রয়েছে এমনটাও মনে হয়নি। গণতন্ত্রকে শুধু নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধের বিষয়টি এখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

এ কথাটি বলতেই হবে যে, গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনের সামগ্রিক অধিকার প্রাপ্তির লক্ষ্যে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ; কোনোক্রমেই আংশিক নয়। একটি সমাজ ও রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন হচ্ছে একটি পথ এবং পন্থা মাত্র। এই পথ বা পন্থাটি সুচারুরূপে সম্পাদনের পরেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অপরাপর শর্ত অর্থাৎ বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা, মতামত প্রকাশের অবাধ অধিকার, আইনের শাসন, সুশাসন নিশ্চিত করাসহ এ জাতীয় বিষয়গুলো সত্যিকার অর্থেই কার্যকরভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রথম ধাপটি অর্থাৎ ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা এবং সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রজ্ঞা, মেধার ভিত্তিতে, জনগণের কথা মাথায় রেখে শাসন কাজ পরিচালনা করেনি কখনোই। এ কারণে দুর্বল কাঠামোর গণতন্ত্র এ দেশে ক্রমশই দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে। সাধারণ মানুষও এতদিনে এ কথাটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, রাষ্ট্র তাদের জন্য সহায়ক ও সহযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠান নয়। এ কারণে রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব ক্রমাগত বাড়ছেই। রাষ্ট্র ব্যবস্থাটির উদ্ভব ও এটি কিভাবে কার্যকরভাবে চলবে—এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে যেসব রাজনীতিক, বিজ্ঞানী ও দার্শনিক যুগের পর যুগ নিরন্তর কাজ করে গেছেন, তাদের ভাষ্য মোতাবেক রাষ্ট্র জনগণের সঙ্গে একটি ‘সামাজিক চুক্তি’র ফসল। সামাজিক চুক্তিটি হচ্ছে—জনগণ তার সব অধিকার রাষ্ট্রের কাছে সমর্পণ করবে; আর রাষ্ট্র জনগণের ওইসব অধিকার নিশ্চিত করাসহ সামগ্রিক কল্যাণ সাধনে সচেষ্ট হবে। এখানে রাষ্ট্রের পক্ষে সরকার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করবে। এ বিষয়টি স্পষ্ট, জনগণকে জোর-জবরদস্তি করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নির্দিষ্ট সময়ান্তে নির্বাচনই হচ্ছে গণতন্ত্র। শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক ব্যবস্থা যে কোনোক্রমেই পরিপূর্ণ গণতন্ত্র নয়, এ কথাটি শাসকরা কোনোভাবেই মনোজগতে স্থায়ীভাবে ঠাঁই দেননি। আর অধিক দুর্ভাগ্য হচ্ছে, ভোটাধিকারও এখন বিলুপ্তির পথে। এর নানা আলামত বেশ কয়েক বছর মানুষ প্রত্যক্ষ করছে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম আর লড়াইয়ের পেছনে অন্যান্য অনেক কারণ রয়েছে সত্যি, তবে একটি কার্যকর ও স্থিতিশীল গণতন্ত্র সব সময় ক্রিয়াশীল ও জারি থাকবে—জনমনের এই প্রত্যাশাটি ছিল সবচেয়ে বড় মাত্রায়, ব্যাপকভাবে। এ কথা মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চলেছে, তাও গড়ে উঠেছিল দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা সামরিক শাসন থেকে উত্তরণ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। কিন্তু রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ-অবধি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বদলে এর উল্টা কাজগুলোই করেছে শাসকবর্গ। স্বাধীনতার পরপরই জরুরি অবস্থা জারি, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ নানা কালা-কানুন সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এরপর যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, তারাই এসব অব্যাহত রেখেছেন নিজ নিজ স্বার্থে। ওই যে উল্টা যাত্রা শাসকবর্গ শুরু করে দিয়েছিলেন—তা আজও বিদ্যমান।

এ কথাটি বারবার বলা হচ্ছে যে, আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে দীর্ঘকাল সামরিক শাসন প্রত্যক্ষ করেছে, বাংলাদেশসহ এমন অতিদুর্বল গণতন্ত্রসম্পন্ন রাষ্ট্রগুলোতে পারস্পরিক সমঝোতা খুবই জরুরি। দীর্ঘ সামরিক শাসনের পরে বেসামরিক শাসকদের নানাবিধ সমস্যা মোকাবিলা করতে হয় অনিবার্য কারণেই। সামরিক শাসন কি ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে, তার একটি চমৎকার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে আর্জেন্টিনার আদালত। দীর্ঘ সামরিক শাসনের পরে ১৯৮০-এর দশকের মধ্যসময়ে আর্জেন্টিনার সামরিক শাসকদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়—হত্যা, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপকর্মের জন্য। ওই সময়ে আর্জেন্টিনার আদালত যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল তাতে বলা হয়েছে, ‘সামরিক শাসন শুধু রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই চরম ক্ষতির কারণ হয়েছে, তা নয়; ওই শাসন মানুষের মূল্যবোধ, দীর্ঘকালের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ধ্বংসের পাশাপাশি মানুষের ব্যক্তিগত জীবনাচরণের ওপরও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে’। (বিস্তারিত আলোচনার জন্য দেখুন : (Argentina : The Military Juntas And Human Rights; report of the trial of the former junta members, 1985. Amnesty International Publications, UK-1987)

এ কারণেই সামরিক শাসনোত্তর বেসামরিক শাসকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি ওই ক্ষতির হাত থেকে স্থায়ী মুক্তির লক্ষ্যে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। ১৯৫৮ সালে দীর্ঘকাল সামরিক ও কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রত্যক্ষকারী ভেনিজুয়েলা ও কলম্বিয়ার বেসামরিক শাসক দলগুলো এ লক্ষ্যে পৃথক পৃথকভাবে দুই দেশে দুটি ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদন করেছিল। ভেনিজুয়েলার Punto-Fijo-নামের চুক্তিতে বলা হয়—প্রেসিডেন্ট যিনিই নির্বাচিত হবেন তিনি হবেন জাতীয় নেতা, কোনো দলের নেতা নন; ১৯৫৮ সালের নির্বাচনের পরে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক কোয়ালিশন সরকার গঠিত হবে; আর পার্লামেন্টসহ সব পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং সব রাজনৈতিক দলই অরাজনৈতিক, বাধ্যগত ও বেসামরিক শাসকদের অনুগত একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলায় সর্বাত্মক সহায়তা করবে। একইভাবে কলম্বিয়ায়ও প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল প্রায় একই ধরনের চুক্তির মাধ্যমে বেসামরিক শাসনকে দীর্ঘমেয়াদি করার লক্ষ্যে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল।

বাংলাদেশের সঙ্গে এর তুলনা করলে দেখা যাবে, এ দেশটিতে এমন কোনো চিন্তা-ভাবনা কখনোই করা হয়নি এবং এখনো করা হচ্ছে না; ভবিষ্যতে হবে এমন আলামতও দেখা যাচ্ছে না। ১৯৯০ সালে এরশাদের সামরিক শাসনের পরে তৎকালীন তিন জোট একটি রূপরেখা প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরিত ওই রূপরেখা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ কখনোই নেওয়া হয়নি।

অথচ বিরাট সুযোগ এসেছিল গণতন্ত্রকে সুসংহত ও দীর্ঘমেয়াদি করার জন্য। ১৯৯১ থেকে শুরু হওয়া বেসামরিক শাসন সম্পর্কে জনমনে উচ্চাশার জন্ম নিলেও কালক্রমে তা হতাশায় রূপ নিয়েছে। প্রধান দুটো রাজনৈতিক দল ঝগড়া-ফ্যাসাদের পাশাপাশি গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যে পাল্লা দিয়ে কাজ করেছে ও করছে।

বর্তমান সময়ের ‘গণতন্ত্রে’র হাল-হকিকত সম্পর্কে এ দেশের প্রতিটি মানুষ অবহিত এবং তারা উপলব্ধি করতে পারছেন সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে। ভোটাধিকার, আইনের শাসন, সুশাসন, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতাসহ সর্বজনের ন্যায্য অধিকারগুলো কোন পর্যায়ে রয়েছে তা তাদের ভালোভাবেই জানা আছে। কাজেই এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।

বর্তমান সময়ে এসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরেক দফা জটিলতার মধ্যে পড়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে যাবে—এমন প্রেক্ষাপটে একটি স্বাধীন, দলনিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। রাষ্ট্রপতি ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক পৃথকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘আলোচনা বা সংলাপ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমাতে পারে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে।’

কিন্তু ক্ষমতাসীন পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির ওই বক্তব্যের পরেও বলা হয়েছে—‘আলাপ-আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই, রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।’ এখানেই জটিলতার কেন্দ্রবিন্দু। সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে— ‘... বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’

কিন্তু ৪৮(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে—‘এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও  ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাঁহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন।’

আর এ কারণেই ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা নেবেন। রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার যে তাগিদ দিয়েছেন, তা ক্ষমতাসীন পক্ষ কার্যত নাকচ করে দিয়েছে। কাজেই রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে আলোচনা করেছেন তার ভবিষ্যৎ কী—তা সহজেই অনুমান করা যায়।

আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ ও মধ্যস্থতার ইতিহাস কোনোক্রমেই ইতিবাচক নয়। তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০-এর শেষ দিকে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে কমনওয়েলথের বিশেষ দূত হিসেবে স্যার নিনিয়ান স্টিফেন ঢাকায় এসেছিলেন। ১৯৯৪ সালের নভেম্বরে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপির সঙ্গে তিনি দফায় দফায় আলোচনাও করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো ইতিবাচক ফল লাভ হয়নি।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত হিসেবে ঢাকা সফর করেছিলেন অস্কার ফার্ন্দানেজ তারানকো। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরও তার মিশন ব্যর্থ হয়েছিল। ওই সময়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সংকট নিরসনে জাতিসংঘ মহাসচিব নিজে টেলিফোনে আলাপ এবং চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধান দুই নেত্রীর কাছে। ২০০৬ সালের শেষ দিকে সে সময়ের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল এবং বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার মধ্যে সংলাপও ব্যর্থ হয়েছিল।

‘গণতন্ত্র হচ্ছে, আলোচনাভিত্তিক শাসন’—দার্শনিক ও রাজনীতি বিজ্ঞানী জন স্টুয়ার্ট মিলের এ বিখ্যাত পর্যবেক্ষণ বোধকরি বাংলাদেশে অচল। কাজেই যতক্ষণ পর্যন্ত না গণতন্ত্র বিষয়টি ক্ষমতাসীনসহ শাসকবর্গের মনোজগতে স্থায়ীভাবে ঠাঁই পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংলাপ, মধ্যস্থতা কিংবা আলাপ-আলোচনা ব্যর্থ হতেই থাকবে।            

            লেখক : সাংবাদিক।

সর্বশেষ খবর