শিরোনাম
শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মহাসড়কে নৈরাজ্য

দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

দেশের সড়ক মহাসড়কগুলোতে চলছে সীমাহীন নৈরাজ্য। শত শত কোটি টাকা খরচ করে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার যেসব সড়ক মহাসড়ক তৈরি করছে তা শেষ পর্যন্ত অপদখলকারীদের মৃগয়া ক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়ক হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় যানজট মহানগরবাসীর নিয়তির লিখনে পরিণত হয়েছে। হকারদের কাছ থেকে টাউট রাজনৈতিক কর্মী এবং পুলিশ চাঁদা পাওয়ায় এ অশুভ চক্রকে সামাল দিতে সরকারও ব্যর্থ হচ্ছে। দেশের মহাসড়কগুলো দুই লেন থেকে চার লেন করার সুফলও গিলে খাচ্ছে দখলবাজরা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যে যাচ্ছেতাই চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা যেন সব মহাসড়কের অভিন্ন চিত্র। এতে বলা হয়, ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়কের টঙ্গী থেকে ভালুকা অংশের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ দোকানপাট আর স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা। ট্রাক আর কাভার্ড ভ্যানের পার্কিংয়ে সরু হয়ে গেছে মহাসড়কের দুই পাশ। টঙ্গী থেকে ভালুকা পর্যন্ত কিলোমিটারের পর কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পার্কিং করে রাখা হয় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। গাজীপুর চৌরাস্তার সন্নিকটে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে যাত্রীবাহী বাস। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হলেও তার শতভাগ সুফল পাচ্ছেন না সড়ক ব্যবহারকারীরা। টঙ্গী থেকে ভালুকা পর্যন্ত মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি বাজার। কোথাও কোথাও রাস্তায় পর্যন্ত বাজার বসানো হয়েছে। প্রতিদিন বিকালে টঙ্গী, গাজীপুর চৌরাস্তা, জামিয়াদি, বোর্ড বাজার এলাকায় রাস্তার এক লেন দখল করে বসানো হয় বাজার। ফলে মহাসড়কে একদিকে যেমন অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে তেমন সৃষ্টি হচ্ছে অহেতুক যানজট। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সড়ক ব্যবহারকারীরা। দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তর করা হচ্ছে যানজট নিরসন ও সুষ্ঠু যোগাযোগ নিশ্চিত করতে। মহাসড়কে অবৈধ দোকানপাট, অবৈধ পার্কিং কিংবা এলাকার রাজনৈতিক মাস্তান ও পুলিশের অসৎ সদস্যদের চাঁদাবাজির সুযোগ সৃষ্টির জন্য নয়। চার লেন তৈরির সুফল নিশ্চিত করতে অবৈধ দখলদারিত্বের অবসানে কর্তৃপক্ষকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, থানা এবং হাইওয়ে পুলিশের জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর