সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে আমার বিদায় অর্ঘ্য

লে. জে. মাহবুবুর রহমান (অব.)

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে আমার বিদায় অর্ঘ্য

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা এ বছরের এই জানুয়ারিতেই তার দীর্ঘ আট বছরের বৈচিত্র্যময় ঘটনাবহুল নান্দনিক রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটালেন। তার বিদায় বেলার শেষ ভাষণটি আমি টেলিভিশনে দেখেছিলাম। অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী আবেগব্যঞ্জক হৃদয় নিংড়ানো জাতির উদ্দেশ্যে এক সমৃদ্ধ ভাষণ। তিনি কাঁদলেন। অশ্রুসিক্ত চোখ। আড়ালে রুমালে মুছলেন। আমেরিকাবাসীকে কাঁদালেন। কাঁদল বিশ্ববাসীও। ওবামা ইতিহাস গড়লেন। কৃষ্ণবর্ণের মানুষ তিনি আফ্রিকান আমেরিকান। যুক্তরাষ্ট্রে সেবারই প্রথমবারের মতো এক কৃষ্ণাঙ্গ এক শ্বেতাঙ্গ প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর, সবচেয়ে বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। পরবর্তীতে তিনি শান্তিতে নোবেলও জয় করলেন।

রাষ্ট্রপতি  প্রণব মুখার্জির সঙ্গে একান্তে লেখক

এ বছর বারাক ওবামার বিদায়ের পথ ধরে আরেকজন মহান রাষ্ট্রপতি বিদায় নিতে যাচ্ছেন। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ ভারত। তার গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী। প্রণব মুখার্জি এ বছরের জুলাই মাসে ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চলেছেন। আমার মনে পড়ছে, ২০১২ সালের ২৫ জুলাই তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতির আসনটিতে প্রতিযোগিতা হয়েছিল। বিরোধীদলীয় প্রার্থী ছিলেন লোকসভার সদ্য বিদায়ী স্পিকার পিএস সাংমা। প্রণব মুখার্জি বিপুল ভোটে তাকে পরাজিত করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর তিনি রাষ্ট্রপতির আসনে গণতন্ত্রের সর্ববৃহৎ দেশটিতে আসীন থেকে গণতন্ত্রের ঐতিহ্যকে নতুন মাত্রা দিয়েছেন। বিশ্বসভায় ভারতের মর্যাদা বাড়িয়েছেন।

আজকে আমার লেখার আনন্দের যে জায়গাটি, তা হলো প্রণব মুখার্জি একজন বাঙালি। তিনি বাংলাদেশের গর্বিত জামাতাও বটে। প্রয়াত স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির পৈতৃক বাড়ি ছিল যশোরের নড়াইলে। প্রণব মুখার্জি তখন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল, তার আমন্ত্রণে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার এবং এক দুর্লভ সাক্ষাৎকার লাভের। সে এক চমকপ্রদ স্মরণীয় কাহিনী, যা কখনো বিস্মৃত হওয়ার নয়, আমার স্মৃতির মণিকোঠায় তা সদা লালিত, সদা ভাস্বর। প্রণব মুখার্জির যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছিল, মন ছুঁয়ে গিয়েছিল তা ছিল তার অমায়িক আচরণ, স্নেহশীল বিনম্র ব্যবহার। তার মধ্যে আমি প্রত্যক্ষ করেছিলাম খাঁটি অকৃত্রিম এক বাঙালি মন ও বাঙালি মনন। প্রণব মুখার্জি চিন্তায়-চেতনায় আচার-আচরণে বেশ-ভূষায় একজন নিশ্চিতভাবে খাঁটি বাঙালি। তার জীবন ও জীবনাচার আমার কাছে মনে হয়েছে ষোলো আনাই বাঙালিপনা। এতটুকুও কোথাও কোনো কৃত্রিমতা নেই। ব্যতিক্রম নেই। চ্যুতি নেই। ধন্য বাঙালি প্রণব মুখার্জি। তোমাকে নিয়ে বাংলাদেশের বাঙালিরাও যে যেখানে আছে ধন্য। বাংলাদেশের মানুষ, পশ্চিম বাংলার মানুষ, আসামের মানুষ, ত্রিপুরার মানুষ, গোটা বিশ্বের তাবৎ বাংলা ভাষাভাষী কোটি কোটি মানুষ ধন্য-গর্বিত, পুলকিত।

স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন রাজেন্দ্র প্রসাদ (২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ থেকে ১৩ মে ১৯৬২)। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতির সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়েছিলেন জীবনের পরিপূর্ণতার এক মহালগ্নে ছিয়াত্তর বছর বয়সে প্রণব মুখার্জি। ইতিমধ্যে দীর্ঘ তেত্রিশ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন প্রণব মুখার্জি। তিনি একাধারে সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে (অর্থ, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা) তার কৃতিত্বের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছিলেন। ভারতকে উচ্চ থেকে উচ্চতর সোপানে উন্নীত করেছিলেন। নিঃসন্দেহে তিনি একজন অত্যন্ত বিচক্ষণ, প্রজ্ঞাবান, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। গোটা ভারতে তিনি তখন সার্বজনীন ব্যক্তিত্ব, সবার কাছে সমাদৃত, শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত। স্বাধীন ভারতের পঁয়ষট্টি বছরের জাতীয় ইতিহাসে তিনিই প্রথম বাঙালি যিনি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় আসনটি লাভ করেছিলেন। 

ব্রিটিশ ভারতে বাংলার বাঙালিরাই জ্বালিয়েছিল আলোর মশাল। রেনেসাঁর উত্থান ঘটিয়েছিল সাহিত্যে, শিল্পে, বিজ্ঞানে এবং রাজনীতিতে- যা ভারত ছাপিয়ে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। মহামতি গোখলে বলেছিলেন, what Bengal thinks today, India will think tomorrow. আমরা লক্ষ্য করেছি স্বাধীনতা-পরবর্তী ভারতে ‘বেঙ্গলের’ সে মহান রেনেসাঁর ঐতিহ্যকে ধরে রাখা যায়নি, ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে যদিও তার যথেষ্ট সুযোগ অতীতে এসেছিল। যুগস্রষ্টা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, পরবর্তীতে জ্যোতি বসুকে ভারত যোগ্য মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়। জ্যোতি বসুকে ভারতের লোকসভা প্রধানমন্ত্রীর আসনটি অলঙ্কৃত করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সিপিএম-এর সম্মতি না থাকায় জ্যোতি বসু দলীয় মতের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন।

আমরা বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। আমরা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ করেছি। মুক্তি ছিনিয়ে এনেছি। প্রতিষ্ঠিত করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এখানে বাংলার শ্রেষ্ঠত্ব বাঙালির শ্রেষ্ঠত্ব আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছি। আমরা রবীন্দ্রনাথকে বরণ করেছি। তার সোনার বাংলাকে ভালোবেসেছি। তার সোনার বাংলা কবিতাকে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দিয়েছি। নজরুলের চেতনাকে (চির উন্নত মম শির) ধারণ করেছি। পঁয়ষট্টি বছর পরে হলেও বাঙালি প্রণব মুখার্জি সম্ভাবনাময় শক্তিশালী সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ ভারতের সাংবিধানিক শীর্ষ পদটি অলঙ্কৃত করেছিলেন।

প্রণব মুখার্জিকে বাংলাদেশে দেখেছি ২০০৭ সালে আইলার ছোবলে যখন বাংলার গোটা উপকূলীয় অঞ্চল তছনছ হয়ে গিয়েছিল। প্রাকৃতিক সেই মহাদুর্যোগে লাখ লাখ মানুষ যখন গৃহহারা, স্বজনহারা, সর্বস্বহারা, অসহায় ... তখন সান্ত্বনা, সহানুভূতি ও সাহায্যের বার্তা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন প্রণব মুখার্জি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত মিত্র বাহিনীরূপে আমাদের সঙ্গে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর তরুণ সহযোগী হিসেবে তখন চৌত্রিশ বছরের এই টগবগে যুবক মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রভূত সহযোগিতা করেছিলেন। ভারতীয় লোকসভায় তিনি বাংলাদেশের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের জয়গাথা গেয়েছিলেন। পাকিস্তানের নির্মম নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে তুলে ধরেছিলেন। ভারতকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।

আমার মনে পড়ছে আমি অষ্টম সংসদে তখন সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলাম। ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে এক সরকারি সফরে ভারতে যাই। প্রণব মুখার্জি তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে আমার এক সাক্ষাৎকারের সুযোগ হয়েছিল। আমার সঙ্গে ছিলেন ভারতে আমাদের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী ও দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফেরদৌস। সাক্ষাতে প্রথমেই তিনি বলেছিলেন, আপনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন, বাংলাদেশ থেকে এসেছেন আমি ভীষণ আনন্দিত। আসুন আমরা দুজনে বাংলায় কথা বলি। এখানে তো সব সময় এমন সুযোগ হয় না। তিনি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন ভারতের জাতীয় সংগীত কবিগুরু রচিত কবিতা। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতও তার রচিত। তিনি ‘সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’... কয়েক লাইন গড় গড় করে আবৃত্তি করেছিলেন। আমি মুগ্ধ চিত্তে বিনয়ের সঙ্গে বলেছিলাম, ‘আরও আছে। শেষ লাইন কটি আরও সুন্দর, আরও অর্থবহ, আরও হৃদয় নিংড়ানো। ওমা তোমার বদনখানি মলিন হলে আমি আঁখি জলে ভাসি’। 

আমি বলেছিলাম, ‘আপনি রবীন্দ্রভক্ত। রবীন্দ্রনাথকে আপনি অনেক ভালোবাসেন। বাংলাদেশের শ্রীহানি হলে, বাংলা মায়ের মুখ মলিন হলে রবীন্দ্রনাথ কষ্ট পেতেন। অশ্রুপাত করতেন। বাংলা মায়ের মুখ যেন সদা প্রসন্ন থাকে, যেন তার বদন কখনো মলিন না হয় সে জন্য আপনার কাছে আমি বিনীত সহযোগিতা চাইব, শুভ কামনা চাইব’। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চয়ই আপ্রাণ চেষ্টা করব বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে থাকতে, তার কল্যাণে, তার মঙ্গলে যথাসাধ্য করতে’। তার কথাগুলো এখনো আমার কানে অনুরণিত হয়। আমি পুলকিত হই। আশান্বিত হই।

জুলাই-২০১২ সালে প্রণব মুখার্জির রাষ্ট্রপতির আসনে আরোহণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ভারতের শান্তি, সমৃদ্ধি ও সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ের বাতাবরণ হয়েছিল। অমীমাংসিত জাতীয় সমস্যাগুলো সমাধানের দিশা পেয়েছিল। ছিটমহল হস্তান্তর সমস্যা, অপদখলীয় ভূমি, সমুদ্রসীমা ইত্যাদি ব্রিটিশ ঔপনিবেশের রেখে যাওয়া অতীতের লিগাসিগুলোর উইন উইন সমাধান তিনি দিতে পেরেছিলেন। তিনি তার কথা রেখেছেন। একটাই গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা এখনো তার প্রতি গভীর প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছি। তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ এখনো বাংলাদেশ পায়নি। সমস্যার সমাধান এখনো আসেনি। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এটা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বড় সমস্যা। পানির অপর নাম জীবন। তিস্তার পানি বাংলাদেশের উত্তর জনপদের তাই জীবনের সমস্যা। মরা-বাঁচার সমস্যা। জীব-বৈচিত্র্যের টিকে থাকার সমস্যা। অনেকবার সমস্যাটার সমাধান হবে হবে করেও তা এখনো অধরাই থেকে গেছে। বাংলাদেশ গভীর প্রত্যাশা নিয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি দায়িত্ব থেকে অবসরের আগেই তার অঙ্গীকারের কথা মনে রেখে সমস্যাটির চিরস্থায়ী সমাধান দিয়ে যাবেন। দুই প্রতিবেশী দেশের স্থায়ী মৈত্রী ও সম্প্রীতির যে বাতাবরণ তিনি ঘটিয়েছিলেন তার চূড়ান্ত পরিণতিতে তিনি তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের দলিলে ঐতিহাসিক স্বাক্ষর রেখে যাবেন। আর আমরা এটাও বিশ্বাস করি, এটা একমাত্র রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পক্ষেই সম্ভব আর কারও পক্ষে নয়।

আমার মনে পড়ছে, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ... প্রণবদা আমার শিক্ষক, আমার অভিভাবক, আমার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। আমি দিল্লিতে কখনো আগে থাকিনি। দিল্লি আমার অপরিচিত। এর রাস্তাঘাট কিছুই আমি চিনতাম না। এবারই আমি দিল্লিতে প্রথম এসেছি। প্রণবদা আমাকে হাত ধরে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে দিল্লি চিনিয়েছেন। আমাকে সাহস জুগিয়েছেন, আশা দিয়েছেন, ভরসার জায়গাটা শক্ত করেছেন। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের কিছু কিছু সমস্যায় কেন্দ্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থানে বিব্রত হয়েছি। সমাধান দিতে পারিনি। প্রণবদা সবাইকে ডেকে সমস্যাগুলো আলোচনায় নিয়ে সমাধান দিতে পেরেছিলেন। তিনি সর্ববিজ্ঞ, সর্বপ্রিয়, সর্বশ্রদ্ধেয়।

প্রণব মুখার্জিকে আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার ভক্তি ও ভালোবাসা। দিল্লির সাউথ গেটে আমার কাছে বলা কথাগুলো তিনি রাইসিনা হিলসে ভুলে যাননি। তিনি মনে রেখেছেন, কথা রেখেছেন। আমার বিশ্বাস এবং আমার সঙ্গে বাংলাদেশের সাড়ে ষোলো কোটি প্রতিটি মানুষের গভীর বিশ্বাস তিনি তার দায়িত্বভার শেষ করার আগে বাংলাদেশ ও ভারতকে সম্প্রীতি ও সৌহার্দের এক অনন্য আসনে অধিষ্ঠিত করে যাবেন যা কখনো ম্লান হবে না, তমশাচ্ছন্ন হবে না, ঔজ্জ্বল্য হারাবে না। চির উন্নত থাকবে। জয়তু প্রণব মুখার্জি। তোমার যশ, কৃতী আর খ্যাতি অব্যাহত থাকুক, আকাশ ছুঁয়ে থাকুক।          লেখক : সাবেক সেনাপ্রধান

সর্বশেষ খবর