সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মোদির কথায় ঘোড়াও হাসবে

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত

মোদির কথায় ঘোড়াও হাসবে

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সাহিত্যিক, এক সময়ের ব্যস্ত আমলা, রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি শশী থারুর কলকাতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কার্যত তুলাধোনা করেছেন। কংগ্রেসের সাংসদ শশী মোদিকে আক্রমণ করেছেন, খাদি-পণ্যে মহাত্মা গান্ধীর ছবির বদলে প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। নোট বাতিল, ডিমানিটাইজেশনের পর নিজের ছবি সব সরকারি ব্যবস্থায় ব্যবহার করতে শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদি। খাদি বিভাগের ডায়রি ও ক্যালেন্ডারে মহাত্মা গান্ধীর চরকা কাটার ছবি বদলে তিনি নিজে চরকা কাটছেন, এমন ছবি দিয়েছেন। এরপরই হরিয়ানার বিজেপি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছেন এবার নোটেও মহাত্মার ছবির বদলে মোদির ছবি দেওয়া হোক।

শশী বলেছেন, এটা এক ধরনের বিকৃত মানসিকতা। নার্সিসিজম বা ইতিহাস-বিকৃতির মতো সাধারণ দৃষ্টিতে একে দেখলে চলবে না। নরেন্দ্র মোদি গোটা দেশকে একটা বাজারে পরিণত করতে চাইছেন, যেখানে বিজেপি নামক বাণিক গোষ্ঠী একচেটিয়া ব্যবসা করতে পারবে। বাজারি সংস্থা যেমন নতুন কোনো পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে তার বাজার যাচাই করে, ঠিক তেমনই মোদি নিজের ছবি সরকারি ক্যালেন্ডারে ছেপে তার বাজার যাচাই করছেন। শুধু সেটা করলেও কিছু বলার ছিল না। সেটা করতে গিয়ে তিনি মহাত্মা গান্ধীর মতো দেশীয় আইকনকে অপমান করেছেন। যে মহাত্মা দেশবাসীর আত্মার সঙ্গে জড়িত, সেটিকে একটি না চলা ব্র্যান্ডের মতো বাতিল করে দিতে চেয়েছেন। এর থেকে ঘৃণ্য কাজ আর কিছু হতে পারে না। এটাই এখন ভারতবাসীর মূল চিন্তার বিষয়।

নভেম্বর মাসে মহামতি লেনিন সোভিয়েত বিপ্লবের পর ঘোষণা করেছিলেন শ্রমিক শ্রেণির সরকার সোভিয়েত পরিচালনা করবে। তার প্রায় সাড়ে তিন দশক পর চীনের মাও সে তুং চিয়াং কাইশেককে সরিয়ে ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন, চীনের সরকার কৃষক ও শ্রমিকদের সরকার। আর ভারতের গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত এবং জনগণের জন্য এই সরকার। তিনি প্রলেতারিয়েত ডিক্টেটরশিপের কথা না বলে দেশের শ্রমিক-কৃষক, দিনমজুর, চাকরিজীবী— অর্থাৎ সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে লাল চোখ দেখিয়ে, আঙ্গুল তুলে ভারতবাসীকে বলছেন, হয় আমার কথা শোন, না হলে জেলে পুরব। আমি কালো টাকা শেষ করব। ফলে দেশে এখন সম্পূর্ণ নৈরাজ্য। সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন খরচের জন্য ব্যাংকের দরজায় গিয়ে হা-পিত্যেশ করে ফিরে আসছেন। হাজার হাজার লোক লাইনে দাঁড়িয়ে। তাদের মধ্যে ১১০ জন মারাও গেছেন। খেতমজুর ধান কাটতে গিয়ে খেতেই বসে আছেন। ধান কাটার পয়সা পাচ্ছেন না তিনি। তার এই স্বৈরাচারী নির্দেশ ভারতের সব শ্রেণির মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। দেশ-বিদেশের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরা অনেকেই তাকে মুহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছেন।

ভারত এবং বিদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা মোদির এই সিদ্ধান্তে বলেছেন, তিনি যেহেতু বেশি দূর লেখাপড়া করেননি, তাই আর্থিক বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই। এর মধ্যে যেমন আছেন ভারতের আর্থিক স্বাধীনতার জনক এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। ভারতকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ব্যাংক অব স্কটল্যান্ডের চেয়ারম্যান, বাঙালি অর্থনীতিবিদ মীরা সান্যাল, ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর কে সি চক্রবর্তী, প্রাক্তন গভর্নর রঘুনাথ রাজন, বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধানরা। মনমোহন সিং বলেছেন, টাকা বাতিল নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী টাকা বদলাতে চাইছেন তা মারাত্মক। ভারতের মতো গরিব একটি দেশে এই ধরনের পদক্ষেপ যে কি বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, সে ব্যাপারে ওনার কোনো ধারণাই নেই। এই সিদ্ধান্তের ফলে জিডিপি প্রায় ১.৫ শতাংশ কমে গেছে। তিনি বলেছেন, ভারতে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সামাজিক প্রেক্ষাপট যাচাই করে নেওয়া খুব জরুরি। প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরামর্শদাতারা সে কাজটাই করেননি। বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, ভারতকে ঠেলতে ঠেলতে একেবারে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশে অপরাধী শ্রেণি আরও প্রশ্রয় পাবে। যে শ্রেণিগুলোকে এতদিন ধরে অর্থনীতির মূল ধারা থেকে বের করা গিয়েছিল, তাদের আবার ফেরার পথ প্রশস্ত হচ্ছে। অমর্ত্য সেনের সহযোগী অর্থনীতিবিদ জ্য দ্রেঁজ বলেছেন গ্রামীণ ভারতের অর্থনীতি মোদির এই সিদ্ধান্তের ফলে একেবারে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।

রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর কে সি চক্রবর্তী বলেছেন, টাকা কখনো কালো বা সাদা হয় না। টাকা রাখার পদ্ধতিটা কালো বা সাদা হতে পারে। কালো টাকা বাতিল করার জন্য নোটগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া কোনো পদক্ষেপ হতে পারে না। শাসন ও সমাজব্যবস্থা থেকে কালো টাকার উৎস বন্ধ করতে হলে একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ জরুরি। তা না হলে কালো টাকা আবার তৈরি হয়ে যাবে।

শ্রীমতী মীরা সান্যাল বলেছেন, কালো টাকা সাদা টাকায় রূপান্তরিত করতে গিয়ে মানুষকে এভাবে হয়রানি করার কথা কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে আধুনিক অর্থনীতির কোথাও লেখা নেই। এর ফলে ভারতে একটি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এখানে আসতে ভয় পাবেন। ব্যাংক অব স্কটল্যান্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে এই বঙ্গকন্যা ভারতের একটি সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। নোট বদল করে মানুষের কী কল্যাণ হলো তা মোদি সাহেবকে ভারতবাসীর কাছে দিতে হবে। অটল বিহারি সরকারের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা মনে করেন, মোদি না বোঝেন অর্থনীতি, না বোঝেন অন্য কিছু। কিছু কুচক্রী তাকে কুপরামর্শ দিয়ে দেশকে রসাতলে নিয়ে গেছে। কারা এই পরামর্শদাতা যশবন্ত তা স্পষ্ট করে না বললেও, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টিভিতে কয়েকজন সাধু  সন্ন্যাসী বলে যাচ্ছেন, তারাই নাকি মোদিকে নোট বাতিলের পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, সাধু-সন্ন্যাসীরা কি অর্থনীতির একেকজন বিশেষজ্ঞ? তারা তো ভেষজ জড়িবুটি দিয়ে তৈরি প্রসাধনী দ্রব্যের বিরাট বিরাট কারখানা খুলে ফেলেছেন।

মোদি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, আড়াই লাখ টাকার বেশি অর্থ মজুদ থাকলে, অতিরিক্ত টাকা কোথা থেকে এলো তা জানার জন্য আয়কর অফিসাররা তদন্ত করবেন। যশবন্ত প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি আবার আয়কর ইন্সপেক্টর রাজগুরু হতে চলেছে? উল্লেখ্য, যশবন্ত সিংয়ের ছেলে জয়ন্ত সিনহা হার্ভার্ডের অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন। তাকে প্রথমে অরুন জেটলির দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছিল। পরে বনিবনা না হওয়ায় তাকে অন্য একটি দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

পরিস্থিতি ভয়ানক। মানুষের সে দুর্দশা দেখে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের জনস্বার্থে বহু মামলা হয়েছে। এই মামলাগুলোর শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি টিএম ঠাকুরের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মন্তব্য করেছেন, ভারতে শিগগিরই একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক দাঙ্গা হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে। শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ দেখে কংগ্রেসের নেতৃত্বে সব বিরোধী দল (টিএমসি বাদে) প্রশ্ন তুলেছে, ক্ষমতায় আসার আগে মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে এনে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে দেবেন। সেই প্রতিশ্রুতির কী হলো? ৮ নভেম্বর মোদির ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ছুটে যান ৭ নম্বর রেসকোর্স রোডে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে। তিনিও এই পরিকল্পনার বিন্দুবিসর্গ জানতেন না। প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, তুমি তো আইনজ্ঞ। অনেক বড় ব্যবসায়ী তোমার মক্কেল। তাই তোমাকেও কিছু জানাইনি। তাকে বলা হয়, তুমি রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলকে বল ২০০০ আর ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে। ৫০০ টাকার নোট বেশিরভাগ রাজ্যে এখনো আসেনি, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বের সীমান্ত রাজ্যগুলোতে ২০০০ বা ৫০০ কোনো নোটই পৌঁছেনি। মোদি বেঁধে দিয়েছেন, কেউ ৪৫০০ টাকার বেশি সপ্তাহে ব্যাংক থেকে তুলতে পারবেন না। সংসদের উভয় কক্ষ এড়িয়ে মাঠে-ময়দানে তার এই অপকর্মের ঢাকঢোল পেটাচ্ছেন।

চুপ করে নেই লালকৃষ্ণ আদবানির নেতৃত্বে বিজেপির বিরোধী গোষ্ঠীও। সর্বভারতীয় বিরোধী দলগুলো একই ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে মোদিকে সংসদে বক্তব্য পেশ করতে বলছেন। কিন্তু মোদি এখনো সংসদকে এড়িয়েই চলছেন। রাহুল গান্ধীর সুরে সুর মিলিয়ে বিরোধীরা সারা ভারতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ৮ নভেম্বরের আগে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলো ও বিজেপি ইউনিটগুলোকে আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন এই নোট বাতিলের কথা। ফলে আগে থেকেই বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে জমি কিনতে শুরু করে। বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, প্রতি বছরই তারা জমি কিনে থাকে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, একটি রাজনৈতিক দলের এত জমি কেনার দরকারই বা কী? এখানে বলে রাখা দরকার উর্জিত প্যাটেল রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার আগে বিশ্বের অন্যতম ধনী গোষ্ঠী আম্বানিদের আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি অনিল আম্বানির খুবই ঘনিষ্ঠ।

বিরোধীরা আরও প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের মধ্যে প্রায় ২০০ শিল্পপতির ঋণ মওকুব করেছেন মোদি। আরও কিছু শিল্পপতির ঋণ মওকুবও করা হতে পারে। এ ব্যাপারে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছেন তারা। একবিংশ শতাব্দীর এই তুঘলক এ পর্যন্ত খুলে বলছেন না, বিজেপির কত হাজার লক্ষ কোটি টাকা রয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে আমেরিকার প্যাটেল ফাউন্ডেশন থেকে ৩৫০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার প্রস্তাব দিলে দলের বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি বলেন, আমরা বিদেশের  টাকায় নির্বাচন করব না। তখন মোদি বলেছিলেন, বিজেপি না নিক, আমি নেব সে টাকা। এখন বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ওই বিপুল টাকার হিসাব দিন মোদি।

সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলে ওঠা যাবে তা নিয়ে দেশের মানুষ বিচলিত এবং উদ্বিগ্ন। এদিকে বিরোধীরা আরও অভিযোগ করেছেন জলধন প্রকল্পের যে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছিল তাদের অধিকাংশই ছিল আরএসএস ক্যাডার।

বিরোধীদের অভিযোগ প্রায় ১৮ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে ৪৯ হাজার টাকা করে জমা পড়েছে। অনেকের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকাও জমা পড়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, এই টাকা কোথা থেকে এসেছে? এ ব্যাপারে বিজেপির কোনো মুখপাত্র টিভিতে কিছুই বলছেন না। তাহলে কি ধরে নিতে হবে, মোদি ১৮ কোটি ভোটব্যাংক তৈরি করলেন।

মোদি তার মন্ত্রিসভা সদস্যদের বলেছেন, যখনই পারবে, টিভিতে রাইট দিয়ে বলবেন, প্রধানমন্ত্রী যা করেছেন, তা ঠিক কাজই করেছেন। তার মন্ত্রীরাও তোতাপাখির মতো সেই কাজই করে চলেছেন। মোদি ঘোষণা করেছিলেন। সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতেই তিনি টাকা বাতিল করছেন। সন্ত্রাসবাদ কি বন্ধ হয়েছে? প্রতিদিনই তো সন্ত্রাসের নানা খবর এসে পৌঁছুচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের মাছচাষিদের দুরবস্থা উল্লেখ করতে হয়। তারা বলেছেন, আমরা নগদ টাকা দিয়ে মাছ কিনি এবং বিক্রি করি। দীর্ঘদিন ধরে কিছুটা চোরাইপথে মাছ আসত বাংলাদেশ এবং কিছুটা বিহার অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। ধান পড়ে রয়েছে মাঠেই। এককথায় বাঙালির হেঁশেলে মাছ বাড়ন্ত হয়েছে।  মোদি নিজে যেহেতু নিরামিষ খান, তাই তার গায়ে কিছু লাগছে না। মোদি যেভাবে বিভ্রান্ত করছে তাতে অনেকেই ঢাকার কুট্টিদের বলছেন— কত্তা কইবেন না ঘুড়ায়ও হাসব।

            লেখক : ভারতীয় প্রবীণ সাংবাদিক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর