মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

এক অনিন্দ্য সুন্দর পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

এক অনিন্দ্য সুন্দর পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন

সারা জীবন যুদ্ধবিগ্রহ সংগ্রাম নিয়ে আছি। মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম, হাজার হাজার যোদ্ধা নিয়ে চলাফেরা নাড়াচাড়া করেছি। তাই কোনো সুশৃঙ্খল বাহিনীর ভালো কাজ দেখলে আনন্দে বুক ভরে যায়। তারা ভালো করলে ভালো লাগে, খারাপ করলে ব্যথা লাগে। গেল কদিন পুলিশ সপ্তাহ ছিল। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে তাদের অনিন্দ্য সুন্দর কুচকাওয়াজ দেখে অভিভূত হয়েছি। দু-চার বছর আগেও পুলিশের মাজার বেল্ট খসে পড়ত। সাধারণত সুন্দর কুচকাওয়াজ বা মার্চ-পাস্ট করবে সেনা-নৌ-বিমান কিংবা বিজিবি। র‌্যাবের সদস্যদের মার্চ-পাস্টও হয়তো দেখার মতো হতে পারে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করা, রাত-দিন রোদে পোড়া, বৃষ্টিতে ভেজা পুলিশ বাহিনীর অমন অনিন্দ্য সুন্দর কুচকাওয়াজ বা মার্চ-পাস্ট ঘুমের ঘোরে স্বপ্নেও কল্পনা করিনি। সেই মার্চ-পাস্ট সেদিন দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলাম। ’৭২-এর ২৪ জানুয়ারি হানাদারদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র বিন্দুবাসিনী স্কুল মাঠে যখন বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে বিছিয়ে দিয়েছিলাম, তখন তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্ব করেছিল মেজর আবদুল হাকিম বীরপ্রতীক ও আবু মোহাম্মদ এনায়েত করিম। মেজর হাকিম বঙ্গবন্ধুকে অস্ত্র পরিদর্শনের যে আহ্বান জানিয়েছিল তার ভঙ্গি, তার আওয়াজ এখনো আমার কানে বাজে। সেদিন রাজারবাগে পুলিশের কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব করেছেন একজন মহিলা এসপি। কুচকাওয়াজের প্রধান অতিথি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্যারেড পরিদর্শনে যে অসাধারণ ভঙ্গিমায় আহ্বান জানিয়েছিলেন তাতে অভিভূত হয়েছি। অমন সাবলীল কণ্ঠ এবং ভঙ্গি সাধারণত খুব একটা দেখা যায় না। মন খুশিতে ভরে গিয়েছিল। আমার দেশের পুলিশ, বিশেষ করে নারী পুলিশ অমন দেখার মতো স্লো-মার্চ করতে পারে, অমন বুক ফুলিয়ে চলতে পারে— এটাই তো স্বাধীনতার ফসল। মনে মনে ভাবছিলাম, যেমন সুন্দর তাদের কুচকাওয়াজ অমন সুন্দর কি তাদের দেশসেবা, মানুষের সেবা হবে না। যে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, সেই পুলিশ কীভাবে আবার মিথ্যে বলে, সাংবাদিক মারে। পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ভালোবাসায় মন ভরে ওঠার পরও এসব কর্মকাণ্ড দেখে বিষিয়ে না গিয়ে পারে না।

প্রায় দুই-আড়াই বছর পর সুন্দরগঞ্জের এমপি লিটন হত্যার বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। একজন চমৎকার মানুষ। ক্ষমতায় বসেও মানুষ স্বাভাবিক থাকে, সাধারণ আচার-আচরণ করে বা করতে পারে এটা আসাদুজ্জামান খান কামালকে না দেখলে খুব একটা বোঝা যায় না। তার মধ্যে দেমাক বলে কিছু আছে মনে হয় না। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের বিচার নিয়ে তার মন্তব্য আমার কাছে মনে হয়েছে এ দশকের শ্রেষ্ঠ মন্তব্য। সরকারি লোকজন এবং মন্ত্রীদের কথাবার্তা অনেক ক্ষেত্রেই সমর্থন করা যায় না। শুধু সমর্থন কেন, যেহেতু আমরাও রাজনীতি করি সেহেতু তাদের কথায় আমাদেরও মাঝে মধ্যে বিব্রত হতে হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের বিচার নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপথগামী সদস্যদের জন্য একটি বড় মেসেজ। এই মেসেজ বুঝতে হবে। কেউ বাদ যাবে না। যারা দুষ্কর্ম করবে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হোক কিংবা যেই হোক কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’ এমন অসাধারণ মূল্যায়ন খুব একটা সরকারি লোকের মুখে শোনা যায় না। ধরাকে সরা জ্ঞান করা উচিত না, বিশেষ করে ক্ষমতা হাতে তো নয়-ই। সবাই ভুল করতে পারে, নেতা-নেত্রীরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। এক্ষেত্রে আসাদুজ্জামান খান কামালের আরও একটা চমৎকার মনের পরিচয় পেলাম। এটিএনের ক্যামেরাম্যান আবদুল আলিম এবং রিপোর্টার এহসান দিদারকে পুলিশি নির্যাতন নিয়ে তিনি প্রথম বলেছিলেন, ‘পুলিশ সাংবাদিকদের নির্যাতন করে না। হঠাৎ ধাক্কাধাক্কি হয়।’ কথাটা সত্যতার ধারের কাছেও ছিল না। তিনি আবার সেদিন বলেছেন, ‘ঘটনাটা আমার জানা ছিল না। তাই ভুল বলেছিলাম।’ ভুল স্বীকার মানুষের জন্য যে কত বড় গুণ, বিশেষ করে ক্ষমতাবানদের ভুল স্বীকার করা। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাই তার সাদা মনের জন্য। কেউ তার মন সাদা, কলিজা পরিষ্কার রাখতে পারলে তার জীবনে আর কিছু লাগে না। আশা করি, আসাদুজ্জামান খান কামাল তার পুলিশ বাহিনীকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে দেশের সেবা করতে পারবেন।

 

 

নতুন বছরের প্রথম মাস। মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছনা-গঞ্জনা নিয়েই শেষ হলো। ভাষার মাসও হয়তো একইভাবে যাবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। মুক্তিযুদ্ধ যেমন গৌরবের, বেঁচে থাকা মুক্তিযোদ্ধা তেমনি অবহেলা অসম্মানের। সময়ের কাজ সময়ে না করলে যা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ক্ষণস্থায়ী মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের কে খবর রাখে। প্রবাদ আছে, ‘কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালে পাজি।’ মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে পুরোপুরি না হলেও প্রবাদের কিছুটা খাটে। পাকিস্তানের ট্রেনিংপ্রাপ্ত বাঙালি সেনা-নৌ-বিমান অথবা পুলিশ-ইপিআর যারা ছিল তাদের তালিকা ছিল। মাছের মা যেমন সন্তানের খবর রাখে না, তেমনি গ্রামগঞ্জের সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো তালিকাও ছিল না। থাকলেই-বা কী? সরকার ছিল মুজিবনগরে। দেশের অভ্যন্তরে যেখানে যুদ্ধ হয়েছে সেখানে পাকিস্তান হানাদার ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। আর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা দিলে সে তালিকার মূল্যায়ন হতো না। হাজার তিনেক পাকিস্তানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাঙালি মিলিটারি-পুলিশ-ইপিআর বীরত্বসূচক খেতাবের ৯৫ ভাগ পেয়েছে, সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা পেয়েছে পাঁচ ভাগ। আমার কাদেরিয়া বাহিনীর কথা ধরলেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়। আজ তালিকা নিয়ে যে ছোটাছুটি দৌড়াদৌড়ি, অস্ত্র জমা দেওয়ার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধার তালিকা দিয়েছিলাম। সেই তালিকা অনুসারে প্রতি মুক্তিযোদ্ধাকে ১০০ টাকা করে সম্মানীও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর সরকার যখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হাতে, তখন আমাদের সেই তালিকাই কাল হয়েছিল। তালিকা ধরে ধরে কতজনকে যে গ্রেফতার করেছে, কতজনকে গুম করেছে তার ইয়ত্তা নেই। গত কয়েক বছর যখন মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে তালিকা বের করছে না। এখন যে সে তালিকা যথাস্থানে আছে সেটাও বলা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নতুন পাকিস্তান করা হয়েছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম তারা অপরাধী ছিলাম। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল তারা ছিল সম্মানে, তাদের ছিল গুরুত্ব। এখন ঢাকঢোল পিটিয়ে না হলেও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর বিরোধীরাই পাদপ্রদীপের নিচে দাপাদাপি করছে। তা না হলে হাসানুল হক ইনু, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান-রা কেউ কেউ মন্ত্রী, কেউ সচিব, কেউ কোনো করপোরেশনের চেয়ারম্যান, এমডি। প্রায় সব পদই তাদের। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নাকের ডগায় মুলো ঝুলিয়েছে। তার জন্য কত নকশা! আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সনদ ইস্যু করেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী এবং সচিব ইস্যু করে। আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির তালিকা বাতিল, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের তালিকার দৈন্যদশা বা বাতিল। এভাবেই চলছে কয়েক যুগ।

এবার আবার তালিকা হচ্ছে। সে তালিকা তৈরির যাচাই-বাছাই কমিটির কাঠামো দেখলে ভিরমি খেতে হয়। যেসব সংসদ সদস্যের বয়স হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন, তারা উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি। সেই অর্থে ময়মনসিংহ-ফুলবাড়িয়ার মোসলেম উদ্দিনও ফুলবাড়িয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি। অথচ ক’দিন আগে মোসলেম উদ্দিনের নামে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে— এর চেয়ে আর নিদারুণ দুঃখজনক ঘটনা কি হতে পারে। মোসলেম উদ্দিনের নামে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে মামলা না হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় ভদ্রলোক পাকিস্তান হানাদারদের সঙ্গে ছিলেন। ময়মনসিংহ জেলা শান্তি কমিটির কোষাধ্যক্ষ, অনেক এলাকার বাড়িঘর জ্বালাও-পোড়াওয়ের নায়ক ছিলেন। তাই এভাবে তাদের মতো মানুষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই তামাশা ছাড়া আর কী? একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে বঞ্চিত করা যেমন ঠিক না, তেমনি তাদের নিয়ে তামাশা করাও ভালো না। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ-জামালপুর-সিরাজগঞ্জ-মানিকগঞ্জ, ঢাকার কিছু অংশ নিয়ে ছিল কাদেরিয়া বাহিনীর বিচরণ ক্ষেত্র। এ অঞ্চলে আর কোনো মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। অথচ এসব অঞ্চলে যারা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের অনেকেই একজন যোদ্ধার অতিরিক্ত কিছু ছিল না, তাদের নিজের দলের সব যোদ্ধাকেও জানার কথা না। আর সরকারি অফিসার যারা দু-চারজন আছেন তাদের তখন জন্মও হয়নি। তাই এভাবে যাচাই-বাছাই করে কি অর্জন করা যাবে? বরং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কিছু মানুষকে পেরেশান করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কত কিছু হচ্ছে। এই ৪৬-৪৭ বছরে কখনো কোনো সরকারের কেউ আমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেনি। আমরা সব খরচের খাতায়। সবার মনে রাখা উচিত, একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আমাদের গর্ব করার তেমন কিছু নেই। তাই মুক্তিযুদ্ধের মহিমাকে ধ্বংস করা কোনোক্রমেই জাতির জন্য কল্যাণ হবে না। আশা করি, সরকার এবং সংশ্লিষ্টরা ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন।

জাতিগতভাবেই হয়তো আমরা এখন কিছুটা অসহিষ্ণু বেপরোয়া হয়ে পড়েছি। ধৈর্য নিয়ে কেউ কিছু করতে চায় না। কারও প্রতি কারও শ্রদ্ধা নেই, মায়া নেই। সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। আমরা কী পরিমাণ বেপরোয়া রাস্তাঘাটে চলাফেরা করলে বোঝা যায়। সামনের গাড়ি পেছনের গাড়িকে রাস্তা দিতে চায় না, সে রিকশা হোক আর বড় গাড়ি হোক। রাস্তার ওপর যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ে। পাছে কারও অসুবিধা হয় ভেবেও দেখে না। আর মোবাইলের কল্যাণে মানুষ পাগলপ্রায়। কানে মোবাইল লেগেই আছে, হাতে মোবাইল টিপছে— এ ছাড়া যেন অন্য কোনো কাজ নেই। ইয়াবা-ফেনসিডিল-হেরোইন আরও কী কী নেশা, আমার তো মনে হয় মোবাইল তারও চেয়ে বড় নেশা। ফেসবুক আর মোবাইল মানুষকে বড় বেশি আক্রান্ত করেছে। রাস্তাঘাটে মোবাইল কানে কথা বলতে বলতে ছেলেমেয়েরা সমান তালে চলে, আমাদের ছোট গাড়ির হর্ন তো দূরের কথা বড় গাড়ির হাইড্রোলিক হর্নে যেখানে কান বয়ড়া হয়ে যাওয়ার কথা তাও তারা শুনে না।

আমাদের কবে যে জবাবদিহিতা আসবে, বেপরোয়া ভাব কাটবে বুঝতে পারি না। কোনো জাতি এমন বেপরোয়া হলে তার পতন কেউ ঠেকাতে পারে না। বিস্মিত হয়ে দেখছি আর ভাবছি, এ্যাপোলোর মতো একটা হসপিটালস যেখান থেকে আমাদের প্রিয় ফটোসাংবাদিক জিয়া ইসলামকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। তাকে পাঠানোর সময় তার মাথার খুলি যা অপারেশন করে খুলে রাখা হয়েছিল তা সঙ্গে দেওয়া হয়নি। এক পণ্ডিত ডাক্তার সাফাই গেয়েছেন, ‘আমরা খুলি পাঠাতে ভুলে গেলেও রিপোর্টে খুলি হিমাগারে আছে বলে দিয়েছি।’ পাঠক বুঝুন সেই প্রবাদের মতো, ‘লোকটা মারা গেছে গেছে, কিন্তু তার চোখটা যে বেঁচেছে।’ মানে রোগী সিঙ্গাপুরে তার মাথার খুলি এ্যাপোলোতে। তারা রিপোর্টে তা উল্লেখ করেছে সেটাই তাদের গর্ব। এমন বেপরোয়া উদাসীনতার জন্য যদি আইন-কানুন থাকত, এ্যাপোলোকে কোটি কোটি টাকা জরিমানা দিতে হতো, ডাক্তারকে কর্মহীন করা হতো। কঠোর শাস্তি থাকলে এমন বেপরোয়া কাজ হতো না। জানি না কবে দেশ ভালো হবে, মানবিক গুণাগুণে পরিপূর্ণ হবে, দেশে আইনের শাসন চলবে। একজন সুনাগরিক হিসেবে সেই শুভদিনের প্রত্যাশা করে আছি। কারণ আমাদের চিন্তা-চেতনা-চৈতন্য এক, আমাদের ভাষা এক, হাসি-কান্না-দুঃখ-বেদনা এক। তাই পচা গভীর খাদ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারলে সাম্য স্বাধীনতা মানবতার সিঁড়ি বেয়ে শান্তি-সৌহার্দ্যের রাজপথে পা রাখতে বেশি সময় লাগার কথা না।

     লেখক : রাজনীতিক।

সর্বশেষ খবর