বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

গণমাধ্যমে ইসলাম প্রচার

মুফতি মতীউর রহমান

বিদায় হজে সমবেত সাহাবায়ে কেরামকে উদ্দেশ করে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছিলেন, এখানে তোমরা যারা উপস্থিত আছ তারা অনুপস্থিতদের কাছে আমার কথাগুলো পৌঁছে দেবে। (বুখারি)। সে হিসেবে উপস্থিত সাহাবিদের দায়িত্ব স্থির হলো, দীনের দাওয়াত অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে ইসলাম প্রজন্ম পরম্পর আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে আমাদের বিশেষত উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া। আশার কথা, বাংলাদেশসহ গোটা পৃথিবীর বহু উলামায়ে কেরাম এ মহান দায়িত্ব পালনে নিজেদের পক্ষে সম্ভব সব চেষ্টাই করে যাচ্ছেন। ফলে ইসলামের ব্যাপক প্রচার প্রসার হচ্ছে। তবে মাঝে-মধ্যেই একটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তা হচ্ছে, বর্তমানে আধুনিক সব গণমাধ্যম বা মিডিয়ায় ইসলামের প্রচার করা যাবে কিনা? নাকি সেকালের মাধ্যমগুলোই কেবল ইসলাম প্রচারের কাজে ব্যবহার করতে হবে? আসলে আধুনিক গণমাধ্যম বা মিডিয়ায় ইসলাম প্রচার করতে কোনো দোষ নেই। বরং একালে ইসলামের প্রচারের জন্য আধুনিক গণমাধ্যমগুলো ব্যবহার না করে কোনো উপায়ই নেই। তবে এক্ষেত্রে শরিয়তের দিকনির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। ইসলাম প্রচারের জন্য কোনো অনৈসলামি কাজ মোটেই করা যাবে না। শরিয়তের সীমারেখা লঙ্ঘন করা যাবে না। বিশ্ববরেণ্য উলামায়ে কেরাম আধুনিক মিডিয়ায় ইসলাম প্রচারের কাজ আরও আগে থেকেই করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ কেবল মাঝে-মধ্যে এ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক উসকে দেন। এসব বিতর্কে কান না দিয়ে সচেতন উলামায়ে কেরামকে তাদের সঠিক কাজটি করে যেতে হবে। আধুনিক গণমাধ্যমকে ব্যবহার করেই পৃথিবীকে জানিয়ে দিতে হবে। ইসলামই আসল শান্তির ধর্ম। বিশ্ববাসীকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে সব মানুষের ন্যায্য অধিকার কেবল ইসলামই নিশ্চিত করেছে। আজকের অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য উপায় একটাই। তা হচ্ছে ইসলাম, বিশ্ব শান্তির প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম ছাড়া দোসরা কোনো পথ নেই।  সব মিডিয়ার মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত, নির্ভুল বার্তা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিলে বিশ্ববাসী সেটা বুঝতে সক্ষমও হবে।

লেখক : খতিব, মুহাম্মদিয়া দারুল উলুম জামে মসজিদ, পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর