শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাংবাদিকতার একাল-সেকাল

নূরে আলম সিদ্দিকী

সাংবাদিকতার একাল-সেকাল

নতুন প্রজন্মের কাছে এটা কল্পনার আবর্তের অনেক দূরে, নৈতিকতার শিক্ষা ও অনুশীলন থেকে তারা যোজন যোজন মাইল দূরে, কেবল স্বার্থের মরীচিকার পেছনে ছুটছেন। আমরা যারা ষাটের দশকের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা সমস্ত হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছি, যার যার আঙ্গিকে থেকে দেশকে বুক উজাড় করে দেওয়ার জন্য ছিল অনেক মহত্প্রাণের বুকভরা আকুতি।

সিরাজুদ্দীন হোসেন ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু আমাদের কাছে সিরাজ ভাই ছিলেন দেশপ্রেম ও আদর্শের মূর্তপ্রতীক। আজকের প্রজন্ম বিশ্বাসই করতে পারবে না, কোনো প্রলোভন তাদের চেতনা ও মননশীলতাকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করতে পারেনি।

একটা আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তারা কলম ধরতেন। সাংবাদিকতাকে তারা কোনো দিনই অর্থ উপার্জনের নিমিত্ত হিসেবে নেননি। নিয়েছিলেন বাংলার মানুষের হৃদয়ের অভিব্যক্তিকে তুলে ধরার জন্য। ৫ নম্বর চামেলীবাগের একটি ছোট্ট বাসায় সিরাজ ভাই সপরিবারে থাকতেন। আটটি পুত্রসন্তান নিয়ে কোনোরকমে টেনেহিঁচড়ে জীবনটাকে ধারণ করতেন মাত্র। ১৯৬৫ সালের দিকে ‘দৈনিক পাকিস্তান’-এর আত্মপ্রকাশের কথা। তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও লৌহমানব আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট ছাউনিতে (আজকের সুগন্ধায়) এসে উঠলেন। আমার স্পষ্ট মনে আছে, শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেনকে প্রেসিডেন্ট স্বয়ং চায়ের নিমন্ত্রণ করেছিলেন। খবরটা আমাদের কানে পৌঁছাতেই আমরা চরম উত্সুক হয়ে ইত্তেফাক অফিসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। উনি ফিরে এলে শুনলাম— ইত্তেফাকে বার্তা সম্পাদক হিসেবে তিনি যে বেতন পেতেন তার থেকে কমপক্ষে ১০ গুণ বেশি বেতনে, সঙ্গে তার পরিবারের জন্য সার্বক্ষণিক দুটি গাড়ি এবং ধানমন্ডিতে একটি বিলাসবহুল বাড়িসহ দৈনিক পাকিস্তানের সম্পাদক হওয়ার জন্য সিরাজ ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নির্লোভ, নির্মোহ চরিত্রের অমিত সাহসী সিরাজ ভাই ওইখানে বসেই ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্টকে জবাব দিয়েছিলেন— সিরাজুদ্দীন হোসেন তার বিশ্বাস ও চেতনার বিরুদ্ধে কোনো দিন কলম ধরতে পারবে না। তাই কোনো কিছুর বিনিময়েই দৈনিক পাকিস্তানের সম্পাদকের পদ গ্রহণ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। দোতলার একটি উন্মুক্ত কক্ষে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সহকর্মী আসফ উদ-দৌলা রেজা ভাই, মাহমুদ উল্লাহ ভাই, মিজান ভাই, শহীদ তালেব ভাইসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সমভিব্যহারে বসতেন তিনি (এখানে নতুন প্রজন্মকে জানিয়ে রাখি, আমাদের মুজিব ভাই বেকার হোস্টেলে সিরাজুদ্দীন হোসেনের সঙ্গে পাশাপাশি কক্ষে অবস্থান করতেন; কক্ষ নম্বর ২৩, ২৪)। ইত্তেফাকে ফেরত আসার পর তার বন্ধু এবং সহকর্মীরা, বাকী ভাই ও আমি তাকে ঘিরে ধরলাম প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার আলোচনার বিষয়বস্তু জানার জন্য। তিনি তার স্বাভাবিক গাম্ভীর্য বজায় রেখে পুরো বিষয়টি আমাদের বললেন এবং এও বলতে ভুললেন না যে, প্রস্তাবটি তিনি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন। আমার স্পষ্ট মনে আছে, কোনো ক্ষোভ, দুঃখ বা অহংকার তার অবয়বে ফুটে ওঠেনি। সবার মধ্যে আমিই তার একটু কোল নেওটা ছিলাম। অন্যরা সাহস না পেলেও আমার প্রতি তার স্নেহার্দ্র হৃদয়টির দাবিতেই হয়তো সরাসরি বললাম, সিরাজ ভাই চাকরিটা নিলেই ভালো হতো। ভ্রু কুঁচকে সিরাজ ভাই জবাব দিলেন, সিরাজ সাংবাদিকতার জন্য ইত্তেফাকে আছে, চাকরি করে না; অর্থের লোভও তার নাই। চড়-থাপড় খাওয়ার আশঙ্কায় একটু নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়েই আমি কথাটা বলেছিলাম। সাহস করে আবারও বললাম, টাকাটা আপনার প্রয়োজন না হলে, আমাদের দিয়ে দিতেন, ছাত্রলীগ একটু স্বচ্ছন্দে চলতে পারত। ইত্তেফাকে এলে টোস্ট-বিস্কুট আর লাল চা না খেয়ে রেক্সের কাবাব-পরোটা অথবা গুলিস্তান থেকে সুস্বাদু খাবার এনে এখানে মজা করে খাওয়া যেত। অবাক হয়ে গেলাম বা বিস্ময়াভিভূত হলাম। সিরাজ ভাই তার কোনোরকমের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ না ঘটিয়ে স্মিতহাস্যে বললেন, সিরাজুদ্দীন হোসেন চাকরি করার জন্য জন্ম নেয়নি। তার কলমকে কেনার মতো অর্থ আল্লাহ কাউকে দেননি। যা, তোকে অন্তত সপ্তাহে এক দিন ডিম মামলেট খাওয়াব। বিষয়টির এখানেই শেষ হয়।

 

 

১৯৬৪ সালে বিহারিরা একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে। সেটি রুখতে একটি প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলতে হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দমনে নিয়োজিত সিটিএসপি রশীদকে বিহারিরা (মিরপুরে) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। তখন সিরাজ ভাই ইত্তেফাকে আট কলাম জুড়ে কাঠের অক্ষরের হেডিং দেন ‘পূর্ব বাংলা রুখিয়া দাঁড়াও’। মানিক ভাই তার নিজের কক্ষে বসতেন। আমি তখন মানিক ভাইয়ের কক্ষে বসা ছিলাম। সেই কক্ষে সিরাজ ভাইকে ডেকে এনে সসম্মানে মানিক ভাই বললেন, সিরাজ সাহেব! পূর্ব বাংলার পরিবর্তে পূর্ব পাকিস্তান লেখা যায় না? সিরাজ ভাই বিনম্র চিত্তে বললেন, এডিটর সাহেব! আমি ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক; আপনার নির্দেশে শিরোনাম পরিবর্তন করতে হলে আমি আর দোতলায় উঠব না। সোজা চামেলীবাগ চলে যাব। হিমালয়ের মতো অটল ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানিক ভাই সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ভাই! চামেলীবাগ যাওয়া লাগবে না, আপনার হেডিঙে আমি কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে চাই না; এবং ইত্তেফাক যতদিন আছে, বার্তা বিভাগ দেখবেন আপনিই। ইত্তেফাক আপনার নির্দেশনায়ই চলবে। আপনার অভিমতই শেষ কথা। আমি শুধু আমার মুসাফির কলামটা লিখব। আপনি ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক নন, বরং মূল অভিভাবক। রেজা সাহেব (আসফ উদ-দৌলা রেজা) আছেন, তালেব সাহেব আছেন, মাহমুদ উল্লাহ সাহেব আছেন, মিজান সাহেব আছেন, গাফ্ফার চৌধুরী আছেন। আপনি তো জ্বাজল্যমান নক্ষত্র পরিবেষ্টিত। ইত্তেফাকের আজকের অবস্থান বিনির্মাণে আপনাদের অবদানকে অস্বীকার করার বা খাটো করে দেখার মতো হীনমন্যতায় মানিক মিয়া ভোগে না। ইত্তেফাকের নীতিনির্ধারণেও আপনাদের অনবদ্য অবদান রয়েছে। তাও আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করি।

সিরাজ ভাই মানিক মিয়ার প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। শুধু সম্পাদক হিসেবে নয়, পরিবারের বড় ভাই হিসেবে মানতেন ও শ্রদ্ধা করতেন। তিনি স্বভাবসুলভ বিনম্র হাসি দিয়ে বার বার মানিক ভাইকে থামাতে চেষ্টা করছিলেন। বলছিলেন, এডিটর সাহেব, আমাকে লজ্জা দেবেন না। আমি সম্যক উপলব্ধি করেছি। ইজি চেয়ারে বসা মানিক ভাইয়ের লুঙ্গি তখন হাঁটুর ওপরে উঠে গেছে (কথা বলতে বলতে অবচেতন মনে মানিক ভাই পরনের লুঙ্গিটা ওপরের দিকে টানতেন)। উত্তেজিত হলে একটানেই লুঙ্গি হাঁটুর ওপরে তুলে ফেলতেন। মানিক ভাই একটু উচ্চৈঃস্বরেই বললেন, আরে ভাই! আমাকে বলতে দেন। আমার হৃদয়ের জমাটবাঁধা কথাগুলো প্রকাশ করে আমি একটু হালকা হতে চাই। আপনি ওপরে গিয়ে আপনার সহকর্মী ও সতীর্থদের আমার অনুভূতি ও নীতির বিষয়টি তুলে ধরে সবাইকে অবহিত করবেন, ইত্তেফাক মানিক মিয়ার একক মালিকানা নয়। এটা সবার ত্যাগ, তিতিক্ষা, লেখনী ও তাদের প্রতিভাদীপ্ত অবদানে একটি পারিবারিক অটুট বন্ধনে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি বিনির্মাণে আপনি ও আপনার সহকর্মীদের মেধা, আনুগত্য, পরিশ্রম, সততা, এ দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি সবার অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রতিষ্ঠানটিকে আজকের অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে। আমরা সুখ-দুঃখ অকাতরে ভাগ করে নেব। আমার সন্তানদেরও আমি জানিয়ে যাব যে, ইত্তেফাক কোনো ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদ নয়। এটি বাংলার মুখপত্র এবং আপনাদের সযত্ন লালিত্যে গড়ে ওঠা বাঙালির মুখপত্র। সিরাজ ভাই তখন শ্রদ্ধাবিগলিত চিত্তে বললেন, অনেকক্ষণ আমার ডেস্ক খালি পড়ে আছে; আমাকে ছেড়ে দিন। বাকি কাজগুলো গুছিয়ে ডামি ছাড়তে হবে। সিরাজ ভাই তখনকার কাঠের সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে গেলেন। আমার মনে হলো, মানিক ভাইয়ের তখনো ঘোর কাটেনি। তার যেন আরও কিছু বলার ছিল। তিনি অর্ধশায়িত অবস্থায়। আমিও তার কাছ থেকে ছুটি নিয়ে দোতলায় উঠে এলাম। শিরোনামটি তো হুবহু গিয়েছিলই, সিরাজ ভাই সহকর্মীদের মানিক ভাইয়ের বক্তব্যের রেশ ধরে বোঝালেন বাংলাদেশের আকালু শেখদের কথা, তাদের হৃদয়ের অব্যক্ত অভিব্যক্তিকে তুলে ধরা ইত্তেফাকের মূল লক্ষ্য। এডিটর সাহেবের এই প্রত্যয় ও প্রতীতির কথা আমরা সবাই অবগত থাকলেও আজকে তিনি আমার ও আপনাদের প্রতি যে প্রত্যাশা ও প্রতীতির দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছেন, সে সম্পর্কে আমাদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

সত্যি কথা বলতে কি, ঘুঁটেকুড়ানি থেকে শুরু করে ছেলেধরা— সব খুঁটিনাটি সমস্যা সিরাজ ভাইয়ের কারণে অনেক গুরুত্বসহকারে সংবাদ হতো। এখন সাংবাদিকতায় দুই নেত্রীর স্তুতি, স্তাবকতা ও মোসাহেবি ছাড়া অন্য কিছু তেমন গুরুত্ব পায় না এবং প্রায় প্রতিটি সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমই আজ কোনো না কোনো দলের সঙ্গে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত হয়ে আছেন। প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার দুর্দমনীয় আকর্ষণ সাংবাদিকতার জগত্টাকেই আজকে আদর্শ ও দেশাত্মবোধ থেকে অনেকটা সরিয়ে এনেছে। কিছু না হোক, সরকারপ্রধানের সফর তালিকায় সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য তদবির ও ধরনার কোনো শেষ নেই। ২০-দলীয় জোটের আপাতত সফরসঙ্গী হওয়ার বিস্তৃত সুযোগ না থাকলেও ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে দৌড়ঝাঁপে তারাও পিছিয়ে থাকেন না। দুর্ভাগা জাতির জন্য এটা যতই হৃদয়বিদারক হোক না কেন, প্রেস ক্লাব চত্বরের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি— এ ধরনের কার্যকলাপও পরিলক্ষিত হচ্ছে। একমাত্র প্রেস ক্লাবই একটি একক প্রতিষ্ঠান। বাকি সব সংগঠন আজ শুধু দ্বিধাবিভক্তই নয়, খণ্ডিত অবয়বে নিজ নিজ নামে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

মানিক ভাই, সিরাজুদ্দীন হোসেন, আসফ উদ-দৌলা রেজা, জহুর হোসেন চৌধুরী, রণেশ দাশগুপ্ত— এরা বেঁচে থাকলে আজকের এই মর্মান্তিক দৃশ্য সইতেন কীভাবে আমি ভাবতেও পারি না। আজকে রাজনৈতিক অঙ্গনটাই শুধু চাওয়া-পাওয়ার আঙ্গিকে বন্দী নয়; সুশীলসমাজ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী— সবাই নিজ নিজ পরিমণ্ডল ছেড়ে চাওয়া-পাওয়ার প্রতিযোগিতায়, ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার প্রতিযোগিতায় মেধা ক্ষয় করছেন। মূল্যবোধ, নৈতিকতা, দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়।

শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন ও তার সতীর্থদের জমানার সঙ্গে আজকের জমানা সম্পূর্ণ বিপরীত। আজকের দিনে শুধুই আখের গোছানো; আর সেদিন ছিল প্রান্তিক জনতা ও জাতির জন্য বুক উজাড় করে দেওয়া। আমার বলতে দ্বিধা নেই, তখনকার দিনে যারা সরকার সমর্থিত সাংবাদিক ছিলেন তাদেরও চেতনার গভীরে একটা বিশ্বাসবোধ কাজ করত। চেতনার আঙ্গিকে আমরা তাদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও আমাদের প্রজন্ম স্বীকার করতে বাধ্য যে, মূল্যবোধের স্তরটি তাদের ক্ষেত্রেও এতখানি নিম্নগামী ছিল না। এখানে গেলে এতখানি পাব, ওখানে গেলে এই পাব— এই দৌড়ঝাঁপগুলো তখন ছিল না।

উপসংহারে বলাই বাহুল্য, রাজনৈতিক দিগ্দর্শন বা লক্ষ্য সৃষ্টিতে সাংবাদিকতার ভূমিকা কতখানি এখনকার প্রজন্ম বোধ করি তা বিস্মৃত হয়ে বসে আছেন। তাই সিরাজুদ্দীন হোসেনরা মরে বেঁচে গেছেন। সেই আমলের যারা আজও বেঁচে আছেন, আজকের অবস্থা দেখে তারা বেঁচে থেকেও ধুঁকে ধুঁকে মরছেন। কেউবা এই ঘনঘোর অমানিশার কবল থেকে গোটা দেশটাকে, সার্বিকভাবে সাংবাদিকতাকে বের করে আনার জন্য নীরবে নিভৃতে আল্লাহর কাছে মাথা কুটছেন।

     লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর