শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত দিল্লি সফরে বেগবান হোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এপ্রিলের প্রথমার্ধেই ভারত সফরে যাচ্ছেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো আমন্ত্রণপত্র গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নেত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন। এ সফরের কর্মসূচি ও আলোচ্যসূচি নিয়ে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের ৬ ও ৭ জুন বাংলাদেশ সফরে আসেন। সে সময় ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাবেন এমন প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কিন্তু সে সফর পিছিয়ে দেওয়া হয় দুই পক্ষের সম্মতিতে। ফেব্রুয়ারিতে সফরের সম্ভাবনা নিয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা এপ্রিল পর্যন্ত গড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে দুই দেশ ব্যাপকভিত্তিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে বেশকিছু চুক্তিতে আবদ্ধ হবে বলে কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি সর্বাধিক অগ্রাধিকার পেলেও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সবুজ সংকেত মেলেনি। তবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বার্তায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দুশ্চিন্তা না রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের আশা জিইয়ে রাখছে বাংলাদেশ। দুই দেশের গভীর সম্পর্কের স্পর্শকাতরতার বিষয়টি মনে রেখে ভারতও যে এ চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে আন্তরিক সন্দেহ নেই। স্থলসীমান্ত ও ছিটমহলসহ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আশাজাগানিয়া সাফল্য অর্জিত হয়েছে। গত চার দশকের মধ্যে দুই দেশের সুসম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিরাজ করছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতও চায় এ সম্পর্ক অটুট থাকুক। যে কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে গড়ে ওঠা আস্থার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তাদের মধ্যেও গরজ রয়েছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার যে চেষ্টা চলছে দুই দেশের পক্ষ থেকে— প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর তাতে নতুন গতি সৃষ্টি করবে, আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর