বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির মহোৎসব

জনভোগান্তির অবসানে উদ্যোগ নিন

রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরবাসী। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি রাজধানীর সেবামূলক বিভিন্ন সংস্থার মজ্জাগত অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীতে এ মুহূর্তে ওয়াসা ও বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের নামে চলছে রাস্তা কাটার কাজ। ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্যও কোনো কোনো সড়কে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। মাসের পর মাস কাজ চলার পরিণামে বেশকটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়কে যানবাহন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যানজটেরও কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাস্তা কাটাকাটির ঘটনা। কাটাকাটির জন্য মৌচাক, মালিবাগ, মগবাজারসহ রাজধানীর বেশ কিছু সড়কে চলাচল জীবন ঝুঁকির নামান্তর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় বারবার লেখালেখি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ‘পিঠে বেঁধেছি কুলো আর কানে দিয়েছি তুলো’ নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো সমালোচনাই তাদের নিবৃত্ত করতে পারছে না। ফ্লাইওভারের জন্য মগবাজার, মালিবাগ এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির মহোৎসব। রাস্তার জীর্ণদশার জন্য যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। দেখা দিচ্ছে যানজট। যে রাস্তাটি অতিক্রম করতে ১০ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে সময় লাগছে গড়ে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। রাস্তা কাটাকাটির কারণে প্রতিটি সড়কই ধুলার আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। পথচারী শুধু নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর পক্ষে সুস্থভাবে শ্বাস নেওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাস্তা কাটা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নিয়ম থাকলেও তা মানার যেন কেউ নেই। ঢাকা সিটি করপোরেশনের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো সড়ক খননের প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। বর্ষা মৌসুমের আগেই খোঁড়াখুঁড়ি শেষ করাও এ নীতিমালার অংশ। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। ফ্লাইওভার ও ইউলুপ নির্মাণে যে সময় ক্ষেপণ চলছে তার উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে, তার টার্গেটে পরিণত হচ্ছে সরকার।  সরকারের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানীবাসীকে ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা করতে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা কাটার যথেচ্ছতা বন্ধ হওয়া দরকার। নিজেদের সুনামের স্বার্থে সরকার এ ব্যাপারে সচেতন হবে, এমনটিই কাম্য।

সর্বশেষ খবর