শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

মসজিদ নির্মাণ প্রকল্প

ইসলামের সঠিক শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ুক

দেশজুড়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার তোড়জোড় শুরু হয়েছে জোরেশোরে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য একটি সুখবর বলে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। গত বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরকালে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬০টি মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কেরানীগঞ্জে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনেও অর্থ জোগানোর প্রতিশ্রুতি দেয় সৌদি আরব। সৌদি সরকারের অর্থায়নে মসজিদ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। প্রস্তাবিত মসজিদের নকশা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজও চলছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। ঐতিহ্যগতভাবেই এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মসজিদ এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপিত হলে তা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে। অনুসারীদের ইসলামের আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে মসজিদ সংশ্লিষ্ট পাঠাগার এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো। কেরানীগঞ্জে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা দেশের ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে তাত্পর্য অগ্রগতি নিশ্চিত করবে। উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি ইসলাম সম্পর্কে যুগোপযোগী গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করবে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের ভ্রাতৃত্বসুলভ বন্ধনকেও জোরদার করবে ৫৬০টি মসজিদ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সহায়তার ঘটনা। আমরা আশা করব সৌদি সহায়তায় নির্মিতব্য মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো শান্তি ও কল্যাণের জীবন বিধান ইসলাম সম্পর্কে অনুসারীদের সঠিক ধারণা দেওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।  জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের ঘৃণ্য প্রবণতার সঙ্গে শান্তির ধর্ম ইসলামকে জড়িয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র রোধ করে ইসলামের মানবতাবাদী শিক্ষা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট করতেও আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অবদান রাখবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর