শিরোনাম
রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

মহেশখালীতে অস্ত্র কারখানা

দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আঘাত হানুন

কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের গহিন পাহাড়ি অরণ্যের গোপন অস্ত্র কারখানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত অপরাধী খুলু মিয়া নামের এক অস্ত্র কারিগর নিহত হয়। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ মহেশখালীর গহিন পাহাড়ে আরেকটি গোপন অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালায়। সে অভিযানেও একজন অস্ত্র কারিগর নিহত ও বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়। ১৭ দিনের মধ্যে মহেশখালীর পাহাড়ে দুটি অস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংস ও বিপুল অস্ত্র উদ্ধার পুলিশের একটি দৃষ্টিগ্রাহ্য সাফল্য। উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মহেশখালী দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুর্গম মহেশখালীর পাহাড়গুলো সন্ত্রাসী ও অপরাধী চক্রের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সরেজমিন প্রতিবেদনে মহেশখালীর ১১টি পাহাড়ে ২২টি অস্ত্র কারখানা গড়ে ওঠা এবং সেখানে তৈরি অস্ত্র সমাজবিরোধীদের কাছে সরবরাহের বিষয়টি তুলে ধরলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে এবং তারা অবৈধ অস্ত্র কারখানা ধ্বংসে তৎপর হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের অস্ত্রের প্রধান সরবরাহ যায় মহেশখালীর ১১টি দুর্গম পাহাড়ে গড়ে ওঠা অস্ত্র তৈরির ২২টি কারখানা থেকে। ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের মুদিরছড়া পাহাড়, পাশের দেবাঙ্গীর পাহাড়, আধারঘোনা পাহাড়, হোয়ানক ইউনিয়নের বালুঘোনা, কেরুনতলীর পাহাড়, কালারমার ছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা, ফকিরজোম ও ভাঙ্গামুরা পাহাড়, ইউনুসখালীর ধুয়াছড়ি পাহাড়, বড় মহেশখালীর মুন্সির ডেইল, মাঝের ডেইল, কমলাঘোনা শুরঘোনা পাহাড়, দেবাইঙ্গাপাড়া, বড় ডেইল, শুকরিয়াপাড়া, ফুড়িরঝিড়ি পাহাড়, শিয়াপাড়া, ভারুইতলী পাহাড়, চোলাই পাহাড় ও পানিরছড়া পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি অরণ্যে অভিযান চালিয়ে দুটি অবৈধ অস্ত্র কারখানা ধ্বংস এবং দুই অস্ত্র নির্মাতার মৃত্যু দেশের আইনশৃঙ্খলার জন্য স্বস্তিদায়ক খবর হলেও এতে আত্মসন্তুষ্টির কোনো অবকাশ নেই। মহেশখালীতে আরও যে সব গোপন অবৈধ অস্ত্র কারখানা আছে যেগুলোতে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস এবং এর হোতাদের  গ্রেফতারের উদ্যোগ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর