শিরোনাম
রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

জ্ঞানার্জনে উৎসাহ জোগায় ইসলাম

আবদুর রশিদ

ইসলামে জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। পবিত্র কোরআন মানব জাতিকে জ্ঞান অর্জনে উদ্বুদ্ধ করেছে। কোরআনের যে আয়াতটি প্রথম মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর অবতীর্ণ হয় তার শব্দার্থ হলো পড় তোমার প্রভুর নামে। (সূরা আল আলাক-১) পবিত্র কোরআনের সূরা কলমে আল্লাহ কলম ও লেখার শপথ ব্যক্ত করে জ্ঞানচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন জ্ঞানার্জন প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। পবিত্র কোরআনে জ্ঞানচর্চাকে তাকওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল তাকে ভয় করে (সূরা ফাতির-২৮) জ্ঞানী ও অজ্ঞ ব্যক্তিদের পার্থক্য নির্ণয় করে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘বলুন যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান হতে পারে।’ (সূরা জুমার-৯) জ্ঞান মানুষকে আলোকিত করে, মনের অন্ধকার দূর করে। মনের অন্ধকার দূর করার জন্য আল্লাহর সহায়তা চাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘বলুন হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন’ (তোয়াহা-১১৫)

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিপুল সংখ্যক হাদিসে জ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : জ্ঞানের কথা জ্ঞানী ব্যক্তির হারানো সম্পদ। যেখানেই সে তা পাবে সেই হবে এর যোগ্য অধিকারী (তিরমিজি থেকে মিশকাতে)।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে ইরশাদ করা হয়েছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : একজন বিজ্ঞ আলেম (ফকীহ) শয়তানের কাছে ইবাদতে লিপ্ত এক হাজার আবেদ লোকের চেয়েও অধিক ভয়ঙ্কর (তিরমিজি থেকে মিশকাতে)।

উক্ত হাদিসের আলোকে বলা যায়, একজন আবেদ ও জাহেদ (কঠোর সাধনায় লিপ্ত ব্যক্তি) নিজের সীমা পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে ইসলামি শরিয়তের অল্পবিস্তর মাসআলা-মাসায়েলের ওপর আমল করতে পারে। কিন্তু সে তার এই নেক আমলের দ্বারা একটা সমাজ-পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে না। শয়তানের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করাও তার সাধ্যের বাইরে। এ জন্য ইসলামী শরিয়তের সঠিক এবং ব্যাপক জ্ঞানের অধিকারী আলেম ব্যক্তিই শয়তানের জন্য বিচলিত হওয়ার কারণ হতে পারেন।

লেখক : ইসলামী গবেষক

সর্বশেষ খবর