শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলা

অপরাধীদের বিশ্ববাসীর ঘৃণা

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং কোনো জাতি যে এ বিপদ থেকে মুক্ত নয় তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চত্বরে সুপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দুই কক্ষের অধিবেশন চলাকালে পার্লামেন্ট চত্বরে সন্ত্রাসী হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং হামলাকারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। এ ঘটনার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার না করলেও পুলিশ এটিকে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে ভাবছে। কারণ গত বছর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বিমানবন্দর ও মেট্রো স্টেশনে একযোগে সন্ত্রাসী হামলার বছর পূর্তির দিনে লন্ডনে এ হামলা চলেছে। ব্রাসেলসে দুনিয়া কাঁপানো ওই সন্ত্রাসী হামলায় ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন। লন্ডনের এই কাণ্ডে একজন মাত্র ব্যক্তি জড়িত বলে অনুমান করা হচ্ছে। হামলাকারী ওয়েস্ট মিনস্টার সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পার্লামেন্টের দিকে এগিয়ে যায়। যাওয়ার পথে গাড়ি পথচারীদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে দুই পথচারীকে হত্যা ও কয়েকজনকে আহত করে। এরপর গাড়িটি পার্লামেন্টের নিরাপত্তা বেস্টনীতে আঘাত হানে। সেখানে হামলাকারী গাড়ি থেকে নেমে আট ইঞ্চি লম্বা ছুরি নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার চেষ্টা করে। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে সে এক পুলিশ সদস্যকে উপর্যুুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। আহত করে আরও তিন পুলিশ সদস্যকে। এ সময় পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়। যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে দুনিয়াজুড়ে সমীহ করা হয়। তারপরও সামান্য আট ইঞ্চি ছুরি নিয়ে একজন হামলাকারী গাড়িচালক কী বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে পার্লামেন্ট চত্বরের ঘটনা তারই প্রমাণ। এ হামলা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সব জাতি তথা সব শান্তিপ্রিয় মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের তাগিদ তুলে ধরেছে। প্রতিটি জাতির বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে তাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাতে হবে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের নামে কোনো জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে যাতে আঘাত হানা না হয় সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।  ব্রিটিশ পার্লামেন্ট চত্বরের সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের প্রতি দুনিয়ার সব শান্তিকামী মানুষের ঘৃণার প্রতিফলন হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।  সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর ঐক্যও এখন সময়ের দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর