শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

আনোয়ারার শিল্পাঞ্চল

বিদেশি বিনিয়োগের পথ দেখাবে

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নির্মাণাধীন চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে এমনটিই আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি যৌথভাবে জি টু জি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ৭৭৪ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এ শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগ করা হবে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। ৩৭১টি শিল্প কলকারখানায় ৫৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের আনোয়ারার এ শিল্পাঞ্চলে শতভাগ বিনিয়োগ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান। তবে প্রকল্পে সরকারের ৩০ শতাংশ আর চীনা বিনিয়োগকারীদের ৭০ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকবে। এ শিল্পাঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করা হবে ৩৭১টি শিল্প-কারখানা। এর মধ্যে ২৫০টিই বরাদ্দ থাকবে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য। অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এখানে গড়ে তোলা হবে তৈরি পোশাকশিল্প, রাসায়নিক, ফার্মাসিউটিক্যালস, টেলিযোগাযোগ, কৃষিনির্ভর শিল্প-কারখানা, যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক পণ্য টেলিভিশন-মনিটর, চিকিৎসা-অপারেশন যন্ত্র, প্লাস্টিক, আইটি ও আইটি সম্পর্কিত শিল্প-কারখানা। চলতি বছর শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা। স্মর্তব্য, ২০১৫ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনের প্রস্তাব দেন। পরে এ নিয়ে বেজা ও চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চায়নিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতসহ আরও কিছু দেশ একই ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আগ্রহ দেখিয়েছে। দেশে ব্যাপকভাবে বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত হলে তা লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানে যেমন অবদান রাখবে তেমন দেশের অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে।  এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে গড়ে উঠবে দক্ষ জনশক্তি। উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর